০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রোটারীয়ানরা ভূমিকা রাখতে পারে

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে রোটারীয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মানবেতর জীবন যাপনকারীরোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণের জন্য তিনি রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। সফররত রোটারী ইন্টারন্যাশনালের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান পল এ. নেটজেল জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাথে আজ বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে স্পিকার এ আহবান জানান। সাক্ষাতকালে এক বৈঠকে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ৬৩তম সিপিসি, বাংলাদেশে রোটারীর কার্যক্রম ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। স্পিকার বলেন, ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সিপিসি’র সফল আয়োজন বিশ্বে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। ৬৩তম সিপিসি সফলভাবে আয়োজন করায় রোটারী ইন্টারন্যাশনালের চেয়রম্যান স্পিকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন হতে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা চরম বঞ্চিত, যাদের কাছ থেকে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ প্রায় সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তারা সমাজের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। দিশেহরা রোহিঙ্গরা যখন ঠিকানার খোঁজে দিকবিহীন তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভূমিতে তাদের আশ্রয় দিয়ে সূচনা করলেন মানবতার নব দিগন্ত। তিনি জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত পাঁচ দফার আলোকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ বৃদ্ধির জন্য রোটারী ইন্টারন্যাশনালকে সোচ্চার হওয়ারও তাগিদ দেন। পল এ. নেটজেল বলেন, বিশ্বকে পোলিও মুক্ত করতে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এ কার্যক্রমের আওতায় ২০০ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান। এ ধারাবাহিকতায় সুপেয় পানি,স্যানিটেশন, ক্যানসার হসপিটাল, প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন ও আর্সেনিক দূরীকরণে রোটারী ক্লাব বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। রোঙ্গিাদের আবাসন ও অন্যান্য সেবার জন্য রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহযোগিতার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রসংশা করেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল সরকারের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় নানামূখী ভুমিকা রেখে আসছে-যা দৃশ্যমান। রোটারীর কার্যক্রম কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন নয় বরং সংসদ, বেসরকারী অন্যান্য সংস্থা ও সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্য পরিচালনা করলে তার সার্বিক সুফল জনগণ ভোগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় স্পিকার রোটারী কার্যক্রমের সাথে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে করে জনগণের প্রতিনিধিগণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ উন্নয়নের আওতায় আসবে-অর্জিত হবে কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-২০৩০। রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮১’র গভর্নর রোটারীয়ান এফ এইচ আরিফ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশের (আইইউবি) ফ্যাকাল্টি মেম্বার রোটারীযান কান্তারা কে খান, রোটারীয়ান পিডিজি সাফিনা রহমান ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্হিত ছিলেন।

ট্যাগ :

রোটারীয়ানরা ভূমিকা রাখতে পারে

প্রকাশিত : ০৩:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে রোটারীয়ানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মানবেতর জীবন যাপনকারীরোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণের জন্য তিনি রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। সফররত রোটারী ইন্টারন্যাশনালের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান পল এ. নেটজেল জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাথে আজ বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে স্পিকার এ আহবান জানান। সাক্ষাতকালে এক বৈঠকে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ৬৩তম সিপিসি, বাংলাদেশে রোটারীর কার্যক্রম ও রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। স্পিকার বলেন, ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সিপিসি’র সফল আয়োজন বিশ্বে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। ৬৩তম সিপিসি সফলভাবে আয়োজন করায় রোটারী ইন্টারন্যাশনালের চেয়রম্যান স্পিকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন হতে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গারা চরম বঞ্চিত, যাদের কাছ থেকে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ প্রায় সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তারা সমাজের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। দিশেহরা রোহিঙ্গরা যখন ঠিকানার খোঁজে দিকবিহীন তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভূমিতে তাদের আশ্রয় দিয়ে সূচনা করলেন মানবতার নব দিগন্ত। তিনি জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত পাঁচ দফার আলোকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ বৃদ্ধির জন্য রোটারী ইন্টারন্যাশনালকে সোচ্চার হওয়ারও তাগিদ দেন। পল এ. নেটজেল বলেন, বিশ্বকে পোলিও মুক্ত করতে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এ কার্যক্রমের আওতায় ২০০ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান। এ ধারাবাহিকতায় সুপেয় পানি,স্যানিটেশন, ক্যানসার হসপিটাল, প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন ও আর্সেনিক দূরীকরণে রোটারী ক্লাব বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। রোঙ্গিাদের আবাসন ও অন্যান্য সেবার জন্য রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহযোগিতার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রসংশা করেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল সরকারের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় নানামূখী ভুমিকা রেখে আসছে-যা দৃশ্যমান। রোটারীর কার্যক্রম কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন নয় বরং সংসদ, বেসরকারী অন্যান্য সংস্থা ও সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্য পরিচালনা করলে তার সার্বিক সুফল জনগণ ভোগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় স্পিকার রোটারী কার্যক্রমের সাথে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে করে জনগণের প্রতিনিধিগণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ উন্নয়নের আওতায় আসবে-অর্জিত হবে কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-২০৩০। রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮১’র গভর্নর রোটারীয়ান এফ এইচ আরিফ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশের (আইইউবি) ফ্যাকাল্টি মেম্বার রোটারীযান কান্তারা কে খান, রোটারীয়ান পিডিজি সাফিনা রহমান ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্হিত ছিলেন।