১২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ইসিকে বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে হবে

নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আকাঙ্খা রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে একটু বেশি। কারণ জনগণের শাসনকর্তা ও আইন প্রণেতাদের নির্বাচনের মূল দায়িত্ব এই প্রতিষ্ঠানের। এটি অত্যন্ত পবিত্র একটি দায়িত্ব। এজন্যই কমিশনের সকল কর্মকান্ড দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেন। নির্বাচন আসলে বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের মৌসুমে রাজনৈতিক দল, সাধারণ ভোটারসহ সকল অংশীজনের নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে আগ্রহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি থাকে। যদিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরও এক বছর বাকি, তারপরও দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন কমিশনের কর্মকান্ডের দিকে। আগ্রহটা অনেকটা কমিশনই বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর তারা তাদের কর্মযজ্ঞের একটি পথনকশা প্রকাশ করেছে।সে অনুযায়ী অংশীজনদের সাথে কমিশনের সম্পর্ক বাড়ানো, পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য সংলাপসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে কমিশনের দিকে জনগণের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, ইভিএম ব্যবহার, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইনসহ নানা বিষয়ে সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনার ও কমিশন সচিবালয়ের সচিব মিডিয়াতে কথা বলছেন। এটাও দোষের কিছু নয়। বরং সাধারণ মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে কমিশনের কর্মকান্ড সম্পর্কে বার্তা পাচ্ছে। যা কমিশনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধিসহ গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দিক। তবে কথা হচ্ছে বার্তাগুলো যেন সঠিকভাবে জনগণের কাছ পৌঁছে। সিইসি, কমিশনার কিংবা সচিব যিনি যাই বলেন এটা যেন পুরো কমিশনের কথা হয়। যে কোনা কথা বা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অন্য কোনো মত যখনই আসে তখনই দেশের মানুষের কাছে বিভ্রান্তির বার্তা যায়। এটা দেশ তথা গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়। গত কয়েকদিনে কমিশনের কথাবার্তায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে অনেকে কথা বার্তা বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে অতিকথন থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিচ্ছেন। এটা একদিকে সঠিক, যে অতি কথা বললে বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ ব্যাপারে আমার মত হচ্ছে, কথা অবশ্যই কমিশনকে বলতে হবে। না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না, জনগণ কমিশনের কাজ সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যাবে। তবে কথা বলতে হবে হিসাব-নিকাশ করে, জেনে ও বুঝে, শতভাগ নিশ্চিত হয়ে। যেন পরে আবার কথার পিঠে অন্য কথা না আসে। মনে রাখতে হবে কমিশনের দায়িত্ব এই মুহুর্তে দেশের অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি। অতএব কথা বলতে হবে সাবধানে-বুঝেশুনে ও শতভাগ নিশ্চিত হয়ে। যেকোনো সিদ্ধান্তে কমিশন শতভাগ ঐক্যমত হওয়ার পরই তা যেন মিডিয়ায় জানানো হয়। ইসির কোনো কথায় বিতর্ক সৃষ্টি করা যাবে না।

ট্যাগ :

ইসিকে বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে হবে

প্রকাশিত : ০৩:২১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আকাঙ্খা রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে একটু বেশি। কারণ জনগণের শাসনকর্তা ও আইন প্রণেতাদের নির্বাচনের মূল দায়িত্ব এই প্রতিষ্ঠানের। এটি অত্যন্ত পবিত্র একটি দায়িত্ব। এজন্যই কমিশনের সকল কর্মকান্ড দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেন। নির্বাচন আসলে বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের মৌসুমে রাজনৈতিক দল, সাধারণ ভোটারসহ সকল অংশীজনের নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে আগ্রহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি থাকে। যদিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আরও এক বছর বাকি, তারপরও দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন কমিশনের কর্মকান্ডের দিকে। আগ্রহটা অনেকটা কমিশনই বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর তারা তাদের কর্মযজ্ঞের একটি পথনকশা প্রকাশ করেছে।সে অনুযায়ী অংশীজনদের সাথে কমিশনের সম্পর্ক বাড়ানো, পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য সংলাপসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে কমিশনের দিকে জনগণের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, ইভিএম ব্যবহার, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইনসহ নানা বিষয়ে সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনার ও কমিশন সচিবালয়ের সচিব মিডিয়াতে কথা বলছেন। এটাও দোষের কিছু নয়। বরং সাধারণ মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে কমিশনের কর্মকান্ড সম্পর্কে বার্তা পাচ্ছে। যা কমিশনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধিসহ গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দিক। তবে কথা হচ্ছে বার্তাগুলো যেন সঠিকভাবে জনগণের কাছ পৌঁছে। সিইসি, কমিশনার কিংবা সচিব যিনি যাই বলেন এটা যেন পুরো কমিশনের কথা হয়। যে কোনা কথা বা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অন্য কোনো মত যখনই আসে তখনই দেশের মানুষের কাছে বিভ্রান্তির বার্তা যায়। এটা দেশ তথা গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়। গত কয়েকদিনে কমিশনের কথাবার্তায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে অনেকে কথা বার্তা বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেকে অতিকথন থেকে বিরত থাকারও পরামর্শ দিচ্ছেন। এটা একদিকে সঠিক, যে অতি কথা বললে বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ ব্যাপারে আমার মত হচ্ছে, কথা অবশ্যই কমিশনকে বলতে হবে। না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হবে না, জনগণ কমিশনের কাজ সম্পর্কে অন্ধকারে থেকে যাবে। তবে কথা বলতে হবে হিসাব-নিকাশ করে, জেনে ও বুঝে, শতভাগ নিশ্চিত হয়ে। যেন পরে আবার কথার পিঠে অন্য কথা না আসে। মনে রাখতে হবে কমিশনের দায়িত্ব এই মুহুর্তে দেশের অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি। অতএব কথা বলতে হবে সাবধানে-বুঝেশুনে ও শতভাগ নিশ্চিত হয়ে। যেকোনো সিদ্ধান্তে কমিশন শতভাগ ঐক্যমত হওয়ার পরই তা যেন মিডিয়ায় জানানো হয়। ইসির কোনো কথায় বিতর্ক সৃষ্টি করা যাবে না।