০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সেলফিই এখন দুই সুন্দরীর বিপদের কারণ

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১০:২৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
  • 218

মিস ইউনিভার্স ২০১৭ প্রতিযোগিতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিযোগীরা জড়ো হচ্ছেন আমেরিকার লাস ভেগাস শহরে। সেখানে প্রতিযোগীরা যে ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় কাটাবেন তাতে অবাক হবার কিছু নেই।

কিন্তু ইরাক থেকে আসা প্রতিযোগী, মিস ইরাক, সারা ইডান ইসরায়েলী প্রতিযোগী অ্যাডার গ্যান্ডেলস্ম্যানের সঙ্গে সেলফি তুলে সেটা যখন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন তখন তিনি বুঝতে পারেন নি এই সেলফি নিয়ে কীধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।

মিস ইসরায়েল অ্যাডার গ্যান্ডেলস্ম্যানও একইধরনের সেলফি পোস্ট করেছেন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এবং লাইক পেয়েছেন প্রায় তিন হাজার। ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন মিস ইরাক দারুণ মেয়ে।

মিস গ্যান্ডেলস্ম্যান তার ফেসবুক পাতায় অন্যান্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে অনেক ছবি পোস্ট করেছিলেন, তবে এই সেলফিটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে অনেক বেশি।

মিস ইডান বড় হয়েছেন ইরাকে এবং সঙ্গীত নিয়ে এখন পড়াশোনা করছেন আমেরিকায়। তার ফেসবুক পাতায় তিনি লিখেছেন ৪৫ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম ইরাকী যিনি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং এর জন্য তিনি খুবই গর্বিত।

তবে ইরাক এবং ইসরায়েলের মধ্যে যেহেতু কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তাই কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন তাদের ”এই সেলফি সকলের রুচিসম্মত নয়।” সাব্রিনা বেনুই ইউটিউবে তাদের সেলফিটি পোস্ট করে এই মন্তব্য করেছেন।

আরব বিশ্বে ইসরায়েলের বৈরী আচরণের বিরুদ্ধে যারা তারা এই সেলফি নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্তব্য করেছেন।

আমেরিকা থেকে আসাদ আবুখালিল নামে একজন অধ্যাপক টুইট বার্তায় লিখেছেন ”ইরাক সুন্দরী মনের খুশিতে দখলদার ও নিমর্মতা সুন্দরীর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন!”

এসব সমালোচনার জবাবে মিস ইডান ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন মিস ইসরায়েল তার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য তাকে ডেকেছিলেন এবং বলেছিলেন তাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি আসুক এটাই তিনি প্রত্যাশা করেন।

”তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন আমরা একসঙ্গে ছবি তুলতে চাই কীনা। আমি বলেছিলাম শান্তির বার্তা তুলে ধরতে আমি আগ্রহী। ওই ছবির উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব শান্তির জন্য আশার একটা বর্হিপ্রকাশ।”

মিস ইডান বলেছেন ওই ফটো ইসরায়েলের নীতির প্রতি সমর্থন নয়। ”ফিলিস্তিনি অধিকারের জন্য যারা সংগ্রাম করছেন আমার এই ছবি যদি তাদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকে, আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ওই ছবি আর ওই পোস্ট কারোর মনে আঘাত দেবার উদ্দেশ্য করা হয়নি। এটা ছিল শান্তির আহ্বান জানাতে এবং সঙ্কট সমাধানের জন্য একটা আশার বার্তা ছড়িয়ে দিতে।”

এদিকে, ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ছবিটির প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন ”এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা তুলে ধরার জন্য ছবিটি দারুণ।”আরমন্ড নামে একজন একইধরনের টুইট করে বলেছেন ”মানুষই শান্তির বার্তাবহ।”

টাইমস অফ ইসরায়েল পত্রিকা এই ছবি সম্পর্কে মন্তব্য করেছে ”বিভক্ত মধ্যপ্রাচ্যে এধরনের সহাবস্থানের ছবি খুবই ব্যতিক্রমী” এবং সুগ্রিম নিউজ নামে আরেকটি পত্রিকা প্রশ্ন তুলেছে ”মিস ইরাকের সুন্দরী খেতাব কেড়ে নেওয়া উচিত কিনা।”-বিবিসি

ট্যাগ :

সেলফিই এখন দুই সুন্দরীর বিপদের কারণ

প্রকাশিত : ১০:২৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

মিস ইউনিভার্স ২০১৭ প্রতিযোগিতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিযোগীরা জড়ো হচ্ছেন আমেরিকার লাস ভেগাস শহরে। সেখানে প্রতিযোগীরা যে ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় কাটাবেন তাতে অবাক হবার কিছু নেই।

কিন্তু ইরাক থেকে আসা প্রতিযোগী, মিস ইরাক, সারা ইডান ইসরায়েলী প্রতিযোগী অ্যাডার গ্যান্ডেলস্ম্যানের সঙ্গে সেলফি তুলে সেটা যখন সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন তখন তিনি বুঝতে পারেন নি এই সেলফি নিয়ে কীধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে।

মিস ইসরায়েল অ্যাডার গ্যান্ডেলস্ম্যানও একইধরনের সেলফি পোস্ট করেছেন তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এবং লাইক পেয়েছেন প্রায় তিন হাজার। ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন মিস ইরাক দারুণ মেয়ে।

মিস গ্যান্ডেলস্ম্যান তার ফেসবুক পাতায় অন্যান্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে অনেক ছবি পোস্ট করেছিলেন, তবে এই সেলফিটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে অনেক বেশি।

মিস ইডান বড় হয়েছেন ইরাকে এবং সঙ্গীত নিয়ে এখন পড়াশোনা করছেন আমেরিকায়। তার ফেসবুক পাতায় তিনি লিখেছেন ৪৫ বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম ইরাকী যিনি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং এর জন্য তিনি খুবই গর্বিত।

তবে ইরাক এবং ইসরায়েলের মধ্যে যেহেতু কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই তাই কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন তাদের ”এই সেলফি সকলের রুচিসম্মত নয়।” সাব্রিনা বেনুই ইউটিউবে তাদের সেলফিটি পোস্ট করে এই মন্তব্য করেছেন।

আরব বিশ্বে ইসরায়েলের বৈরী আচরণের বিরুদ্ধে যারা তারা এই সেলফি নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্তব্য করেছেন।

আমেরিকা থেকে আসাদ আবুখালিল নামে একজন অধ্যাপক টুইট বার্তায় লিখেছেন ”ইরাক সুন্দরী মনের খুশিতে দখলদার ও নিমর্মতা সুন্দরীর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন!”

এসব সমালোচনার জবাবে মিস ইডান ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন মিস ইসরায়েল তার সঙ্গে ছবি তোলার জন্য তাকে ডেকেছিলেন এবং বলেছিলেন তাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি আসুক এটাই তিনি প্রত্যাশা করেন।

”তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন আমরা একসঙ্গে ছবি তুলতে চাই কীনা। আমি বলেছিলাম শান্তির বার্তা তুলে ধরতে আমি আগ্রহী। ওই ছবির উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব শান্তির জন্য আশার একটা বর্হিপ্রকাশ।”

মিস ইডান বলেছেন ওই ফটো ইসরায়েলের নীতির প্রতি সমর্থন নয়। ”ফিলিস্তিনি অধিকারের জন্য যারা সংগ্রাম করছেন আমার এই ছবি যদি তাদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকে, আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ওই ছবি আর ওই পোস্ট কারোর মনে আঘাত দেবার উদ্দেশ্য করা হয়নি। এটা ছিল শান্তির আহ্বান জানাতে এবং সঙ্কট সমাধানের জন্য একটা আশার বার্তা ছড়িয়ে দিতে।”

এদিকে, ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ছবিটির প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন ”এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার বার্তা তুলে ধরার জন্য ছবিটি দারুণ।”আরমন্ড নামে একজন একইধরনের টুইট করে বলেছেন ”মানুষই শান্তির বার্তাবহ।”

টাইমস অফ ইসরায়েল পত্রিকা এই ছবি সম্পর্কে মন্তব্য করেছে ”বিভক্ত মধ্যপ্রাচ্যে এধরনের সহাবস্থানের ছবি খুবই ব্যতিক্রমী” এবং সুগ্রিম নিউজ নামে আরেকটি পত্রিকা প্রশ্ন তুলেছে ”মিস ইরাকের সুন্দরী খেতাব কেড়ে নেওয়া উচিত কিনা।”-বিবিসি