০৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড় থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেললাইন যাবে: মন্ত্রী

রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণে লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর ডিপিপি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি ডিসেম্বরের আগেই ডিপিপি তৈরির কাজ শেষ হবে।

তিনি বেলন, পঞ্চগড় থেকে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণে দু’দেশর সরকারের আগ্রহ রয়েছে। এতে করে ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ সহজ হবে।

তিনি শনিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভায় এসব বলেন।

বেনাপোলের চেয়েও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দরটি কার্যকরে করতে সরকার কাজ করছে। এই একটিমাত্র বন্দর দিয়ে চার দেশের বাণিজ্য চলে। কাজেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে বন্দরটিকে পরিচালনা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশের একমাত্র চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। কারণ এই পোর্টটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। তিনদিকে সীমান্ত থাকায় বন্দরের জায়গা কম। তাই অবকাঠামোসহ অন্যান্য ব্যাপারে টেকসই চিন্তা করতে হবে।

এ ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহলসহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, দিন দিন রেলের চাহিদা বাড়ছে। শুধু যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নয়, ম্যাঙ্গো এবং ক্যাটল ট্রেন চালু করেছি। শিগগিরই দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ শুরু হবে। ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডবল লাইন নির্মাণ করা হবে। রেল স্টেশনগুলো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। চিলাহাটিতে কালিয়াকৈরের মতো নির্মাণ করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

 

জনপ্রিয়

পঞ্চগড় থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেললাইন যাবে: মন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৬:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০

রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণে লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর ডিপিপি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি ডিসেম্বরের আগেই ডিপিপি তৈরির কাজ শেষ হবে।

তিনি বেলন, পঞ্চগড় থেকে ভারতের শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণে দু’দেশর সরকারের আগ্রহ রয়েছে। এতে করে ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ সহজ হবে।

তিনি শনিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভায় এসব বলেন।

বেনাপোলের চেয়েও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্দরটি কার্যকরে করতে সরকার কাজ করছে। এই একটিমাত্র বন্দর দিয়ে চার দেশের বাণিজ্য চলে। কাজেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে বন্দরটিকে পরিচালনা করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশের একমাত্র চারদেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। কারণ এই পোর্টটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। তিনদিকে সীমান্ত থাকায় বন্দরের জায়গা কম। তাই অবকাঠামোসহ অন্যান্য ব্যাপারে টেকসই চিন্তা করতে হবে।

এ ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহলসহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, দিন দিন রেলের চাহিদা বাড়ছে। শুধু যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নয়, ম্যাঙ্গো এবং ক্যাটল ট্রেন চালু করেছি। শিগগিরই দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ শুরু হবে। ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডবল লাইন নির্মাণ করা হবে। রেল স্টেশনগুলো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। চিলাহাটিতে কালিয়াকৈরের মতো নির্মাণ করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর