রাশিয়ার আরও অভ্যন্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করছে ইউক্রেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রিন সিগন্যালের জন্য চাপ দিয়েছে কিয়েভ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। তবে এসব সামরিক সরঞ্জাম কেবল ইউক্রেনের মাটিতে ও সীমান্ত অঞ্চলে আত্মরক্ষার্থে ব্যবহারের শর্ত জুড়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, খারকিভে শুক্রবার রুশ বিমানের গাইডেড বোমা হামলায় ৬ জন নিহত ও ৯৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবারও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে মস্কো। তার মতে, কেবল রুশ ভূখণ্ডে তাদের সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্রাগার ধ্বংসের মাধ্যমেই এসব হামলা প্রতিহত করা সম্ভব।
শনিবার রাতে একটি ভিডিও ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন আমাদের মিত্রদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলি। আমরা যুক্তির মাধ্যমে তাদের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয়দের সত্যিকারের এবং সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করার জন্য আমাদের পরিপূর্ণ সক্ষমতা প্রয়োজন। আপনাদের দূর পাল্লার অস্ত্রশস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র এবং তা ব্যবহারের অনুমতি, দুটোই আমাদের প্রয়োজন।’
ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু জানাননি জেলেনস্কি। তবে তার প্রতিনিধিরা ইউক্রেনের মিত্রদের কাছে প্রয়োজনীয় সব দাবি তুলে ধরেছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবার বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের নগরাঞ্চলে হামলা চালাতে ব্যবহৃত রুশ বিমানঘাঁটি গুলো দেখানো হয়েছে। তাদের ত্রাস থেকে আমাদের জনগণকে নিরাপদ রাখতে কেমন সক্ষমতা প্রয়োজন, তা ব্যাখ্যা করেছি। আশা করি, আমরা সফল হয়েছি।
বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস