১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আফজালের শতকোটি টাকার সম্পদ!

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সিআইডি’র সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আফজাল হোসেন শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক। এ সম্পদের সিংহভাগ করেছেন বিএনপি-জামাতের (২০০১-২০০৫) আমলে। আর সম্পদকে নিজের মত করে সাজিয়েছেন ২০০৯ সালের পর। বিএনপি ও আওয়ামীলীগের আমলে দাপটের সাথে চাকুরী করে অবৈধ আয়ের টাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন এ শত কোটি টাকার সম্পদ। আফজাল হোসেন ২০২৩ সালের ২২ আগষ্ট অবসরে যান (প্রজ্ঞাপন নং-১২৪৬)।

তবে তিনি অবৈধ অর্থে ক্রয় করা সিংহভাগ সম্পদ করেছেন স্ত্রী এবং দুই মেয়ের নামে। তার অবৈধ শত কোটি টাকার সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করে তার শাস্তি দাবি করে পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করেছেন তাঁরও গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের অভিযোগের কপি সূত্রে এবং অনুসন্ধানে জানা যায়, আফজাল হোসেনের পুলিশে চাকুরি হয় বিএনপি সরকারের সময় (১৯৯১-১৯৯৫ সাল)। তথ্য গোপন করে চাকুরিতে যোগদানের কারণে চাকুরিচ্যুত হন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে (১৯৯৬-২০০১)। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে এক মন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় চাকুরী ফিরে পান। তারপর থেকেই তিনি দাপটের সাথে চাকুরী করে গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়।

সাবেক এএসপি আফজাল হোসেন বিএনপি ও আওয়ামীলীগ উভয় সরকারের আমলে দাপটের সাথে চাকুরী করে এ সম্পদ গড়েছেন। এলাকায় তিনি এবং তার ভায়েরা গোদাগাড়ী-তানোর আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।

তার নিজ গ্রাম রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে কিনেছেন ৫০ বিঘার ওপর জমি। সেসব জমি তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে ক্রয় করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

নারায়নপুর মৌজার এক জায়গায় প্রায় বিশ বিঘা জমির ওপর গড়েছেন বাথানবাড়ি। বাথানবাড়িতে সময় কাটানোর জন্য একটি দ্বোতলা বাড়ি, দুইটি পুকুর, গরুর খামার গড়েছেন। এই বাথান বাড়ির মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মসজিদের দেড় বিঘা জমি জোর করে দখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সরেজমিন তদন্তে জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়নপুর মৌজার ৭৩ নং দাগের ২৫ শতক ধানী জমি নিজের নামে (দলিল নং-৮৪৮০), ৩৪ নং দাগের সাড়ে ১৬ শতক ধানী জমি (দলিল নং-৩১৬৪) ও ৯২ দাগের ৬ শতক (দলিল নং-৩৯৪৮) এবং ৪০৩, ৭৯২, ৭৯৮, ৮০৫, ৩৬১, ৩৬২, ৭৯৩, ৩৮১, ১০৮৩, ১০৮৪ ও ৪০২ দাগের ৫৪ শতক জমি স্ত্রী নাসরিন বেগমের নামে ক্রয় করেছেন (দলিল নং-৪৬০৭)।

এছাড়াও নারায়নপুর মৌজার ১১, ৪৩, ৭৪, ৮৫, ৮৬, ৮৭, ৯০, ৯১ নং দাগে ১.৭৮ একর ধানী জমি মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌসের নামে (দলিল নং-৯৪৫) এবং ১.৭৮ একর অপর মেয়ে জান্নাতুন মাওয়ার নামে (দলিল নং-৯৪৬), ১৩৭ দাগের ৩৩ শতক ধানী জমি দুই মেয়ের নামে ক্রয় করেছেন (দলিল নং-৩৯৪১)। ৩৯৩, ৩৯৪, ৩৯৫, ৩৯৬, ৩৯৭, ৩৯৮, ৩৯৯ দাগে ২৪ শতক জমি স্ত্রী নাসরিন বেগমের নামে (দলিল নং-৮৯৪০), ১৩৭ দাগের ৪১ শতক ধানী জমি মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌসের নামে ক্রয় করেছেন (দলিল নং-২০০১)।

একই মৌজার ১৫০, ৩১৮ ও ৩২০ খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে প্রায় ৯৪ শতক জমি নিজ নামে ক্রয় করেছেন তিনি (দলিল নং-৫৬৬)।

এছাড়াও গোদাগাড়ী উপজেলার পরমান্দপুর, কেশবপুর, নবগ্রাম বালিগ্রামে, পবা থানার কাসিয়াডাঙ্গা, দামকুড়া, লিলি হলের পাশে, হড়গ্রাম অচিনতলায়, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর ও সাপাহার থানায় এবং দিনাজপুর জেলায় নামে-বেনামে আফজাল হোসেনের বিশাল সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিয়োগে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাত নং ওয়ার্ডে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের একটি চারতলা বাড়ি রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার।

তাছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার দাপটে ছোট নারায়নপুর গ্রামের মসজিদ ও গোরস্থান দখলের অভিযোগ রয়েছে আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে। গোরস্থান ও মসজিদ কমিটিকে বাদ দিয়ে ভাইদের দিয়ে দখল করার পর যারা এর প্রতিবাদ করেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিবাদকারী গ্রামবাসীকে কারাভোগ করিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

এবিষয়ে অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আফজাল হোসেন গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২ আগষ্ট তিনি রাজশাহী জেলা পুলিশের একটি নোটিশ পেয়েছেন। অভিযোগের বিপরীতে প্রমানাদিসহ ৪ আগষ্ট তাকে পুলিশ সুপার রাজশাহীর কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তিনি যেতে পারেননি। সুষ্ঠ তদন্ত করলে আফজাল হোসেনের দূর্ণীতির প্রমান পাওয়া যাবে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক।

এবিষয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, তার সকল সম্পত্তি অনেক আগে ক্রয় করা। যখন তিনি এসব সম্পত্তি ক্রয় করেন তখন অনেক কম দাম ছিল। বর্তমানে এসকল সম্পত্তি মূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি তিলে তিলে এসব সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন। কোন দূর্ণীতি করেননি বলে জানান আফজাল হোসেন।

মসজিদের জমি দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, বাগানের ভিতরে মসজিদের জমি আছে এটা সত্য, তবে বাগানের বাইরে সমপরিমান জমি আমি মৌখিকভাবে মসজিদকে দিয়েছি কিন্তু হস্তান্তর দলিল হয়নি।

মসজিদ দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাকুরীরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং বন্ধুদের নিকট হতে চাঁদা উঠিয়ে মসজিদটি করেছেন। গ্রামবাসীর চেয়ে মসজিদের প্রতি আমার দরদ বেশী। গোরস্থানের বিষয়ে বলেন, ভুয়া কমিটি দেখিয়ে যারা গোরস্থানের জমি বিক্রি করে আত্মসাত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি, আইন তাদের কারাগারে পাঠাইছে।

‘বৈধ কমিটি গোরস্থানের উন্নয়নে জমি বিনিময় করেছে, আর আপনি বলছেন বিক্রি করেছে’, কোনটা সত্য এমন প্রশ্নের উত্তরে আফজাল হোসেন বলেন, এটা আইন দেখবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

আমি কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে নাম লিখতে চাই : নবাগত জেলা প্রশাসক

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আফজালের শতকোটি টাকার সম্পদ!

প্রকাশিত : ১১:৩৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সিআইডি’র সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আফজাল হোসেন শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক। এ সম্পদের সিংহভাগ করেছেন বিএনপি-জামাতের (২০০১-২০০৫) আমলে। আর সম্পদকে নিজের মত করে সাজিয়েছেন ২০০৯ সালের পর। বিএনপি ও আওয়ামীলীগের আমলে দাপটের সাথে চাকুরী করে অবৈধ আয়ের টাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন এ শত কোটি টাকার সম্পদ। আফজাল হোসেন ২০২৩ সালের ২২ আগষ্ট অবসরে যান (প্রজ্ঞাপন নং-১২৪৬)।

তবে তিনি অবৈধ অর্থে ক্রয় করা সিংহভাগ সম্পদ করেছেন স্ত্রী এবং দুই মেয়ের নামে। তার অবৈধ শত কোটি টাকার সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করে তার শাস্তি দাবি করে পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করেছেন তাঁরও গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের অভিযোগের কপি সূত্রে এবং অনুসন্ধানে জানা যায়, আফজাল হোসেনের পুলিশে চাকুরি হয় বিএনপি সরকারের সময় (১৯৯১-১৯৯৫ সাল)। তথ্য গোপন করে চাকুরিতে যোগদানের কারণে চাকুরিচ্যুত হন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে (১৯৯৬-২০০১)। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে এক মন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় চাকুরী ফিরে পান। তারপর থেকেই তিনি দাপটের সাথে চাকুরী করে গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়।

সাবেক এএসপি আফজাল হোসেন বিএনপি ও আওয়ামীলীগ উভয় সরকারের আমলে দাপটের সাথে চাকুরী করে এ সম্পদ গড়েছেন। এলাকায় তিনি এবং তার ভায়েরা গোদাগাড়ী-তানোর আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।

তার নিজ গ্রাম রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে কিনেছেন ৫০ বিঘার ওপর জমি। সেসব জমি তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে ক্রয় করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

নারায়নপুর মৌজার এক জায়গায় প্রায় বিশ বিঘা জমির ওপর গড়েছেন বাথানবাড়ি। বাথানবাড়িতে সময় কাটানোর জন্য একটি দ্বোতলা বাড়ি, দুইটি পুকুর, গরুর খামার গড়েছেন। এই বাথান বাড়ির মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মসজিদের দেড় বিঘা জমি জোর করে দখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সরেজমিন তদন্তে জানা যায়, গোদাগাড়ী উপজেলার নারায়নপুর মৌজার ৭৩ নং দাগের ২৫ শতক ধানী জমি নিজের নামে (দলিল নং-৮৪৮০), ৩৪ নং দাগের সাড়ে ১৬ শতক ধানী জমি (দলিল নং-৩১৬৪) ও ৯২ দাগের ৬ শতক (দলিল নং-৩৯৪৮) এবং ৪০৩, ৭৯২, ৭৯৮, ৮০৫, ৩৬১, ৩৬২, ৭৯৩, ৩৮১, ১০৮৩, ১০৮৪ ও ৪০২ দাগের ৫৪ শতক জমি স্ত্রী নাসরিন বেগমের নামে ক্রয় করেছেন (দলিল নং-৪৬০৭)।

এছাড়াও নারায়নপুর মৌজার ১১, ৪৩, ৭৪, ৮৫, ৮৬, ৮৭, ৯০, ৯১ নং দাগে ১.৭৮ একর ধানী জমি মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌসের নামে (দলিল নং-৯৪৫) এবং ১.৭৮ একর অপর মেয়ে জান্নাতুন মাওয়ার নামে (দলিল নং-৯৪৬), ১৩৭ দাগের ৩৩ শতক ধানী জমি দুই মেয়ের নামে ক্রয় করেছেন (দলিল নং-৩৯৪১)। ৩৯৩, ৩৯৪, ৩৯৫, ৩৯৬, ৩৯৭, ৩৯৮, ৩৯৯ দাগে ২৪ শতক জমি স্ত্রী নাসরিন বেগমের নামে (দলিল নং-৮৯৪০), ১৩৭ দাগের ৪১ শতক ধানী জমি মেয়ে জান্নাতুন ফেরদৌসের নামে ক্রয় করেছেন (দলিল নং-২০০১)।

একই মৌজার ১৫০, ৩১৮ ও ৩২০ খতিয়ানের বিভিন্ন দাগে প্রায় ৯৪ শতক জমি নিজ নামে ক্রয় করেছেন তিনি (দলিল নং-৫৬৬)।

এছাড়াও গোদাগাড়ী উপজেলার পরমান্দপুর, কেশবপুর, নবগ্রাম বালিগ্রামে, পবা থানার কাসিয়াডাঙ্গা, দামকুড়া, লিলি হলের পাশে, হড়গ্রাম অচিনতলায়, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর ও সাপাহার থানায় এবং দিনাজপুর জেলায় নামে-বেনামে আফজাল হোসেনের বিশাল সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিয়োগে উল্লেখ করেছেন অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাত নং ওয়ার্ডে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের একটি চারতলা বাড়ি রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার।

তাছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার দাপটে ছোট নারায়নপুর গ্রামের মসজিদ ও গোরস্থান দখলের অভিযোগ রয়েছে আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে। গোরস্থান ও মসজিদ কমিটিকে বাদ দিয়ে ভাইদের দিয়ে দখল করার পর যারা এর প্রতিবাদ করেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিবাদকারী গ্রামবাসীকে কারাভোগ করিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

এবিষয়ে অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আফজাল হোসেন গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, গত ২ আগষ্ট তিনি রাজশাহী জেলা পুলিশের একটি নোটিশ পেয়েছেন। অভিযোগের বিপরীতে প্রমানাদিসহ ৪ আগষ্ট তাকে পুলিশ সুপার রাজশাহীর কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তিনি যেতে পারেননি। সুষ্ঠ তদন্ত করলে আফজাল হোসেনের দূর্ণীতির প্রমান পাওয়া যাবে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক।

এবিষয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, তার সকল সম্পত্তি অনেক আগে ক্রয় করা। যখন তিনি এসব সম্পত্তি ক্রয় করেন তখন অনেক কম দাম ছিল। বর্তমানে এসকল সম্পত্তি মূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি তিলে তিলে এসব সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন। কোন দূর্ণীতি করেননি বলে জানান আফজাল হোসেন।

মসজিদের জমি দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, বাগানের ভিতরে মসজিদের জমি আছে এটা সত্য, তবে বাগানের বাইরে সমপরিমান জমি আমি মৌখিকভাবে মসজিদকে দিয়েছি কিন্তু হস্তান্তর দলিল হয়নি।

মসজিদ দখলের বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাকুরীরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং বন্ধুদের নিকট হতে চাঁদা উঠিয়ে মসজিদটি করেছেন। গ্রামবাসীর চেয়ে মসজিদের প্রতি আমার দরদ বেশী। গোরস্থানের বিষয়ে বলেন, ভুয়া কমিটি দেখিয়ে যারা গোরস্থানের জমি বিক্রি করে আত্মসাত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি, আইন তাদের কারাগারে পাঠাইছে।

‘বৈধ কমিটি গোরস্থানের উন্নয়নে জমি বিনিময় করেছে, আর আপনি বলছেন বিক্রি করেছে’, কোনটা সত্য এমন প্রশ্নের উত্তরে আফজাল হোসেন বলেন, এটা আইন দেখবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস