০২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়ায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আলোচনা সভা

কুষ্টিয়ায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ‘মায়ের ডাক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স কুষ্টিয়া জেলা নেটওয়ার্কের উদ্যেগে জাতিসংঘ ঘোষিত ৩০ আগষ্ট দিবসটি পালন করে। নেটওয়ার্কের ফোকাল পার্সন মানবাধিকার কর্মী হাসান আলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় গুমের শিকার ব্যক্তি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন সবুজ ও মেডিকেল শিক্ষার্থী জাকির হোসেনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের শোকার্ত-বেদনা ও মানবেতর জীবনের চিত্র তুলে ধরে অবিলম্বে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেন। গুমের শিকার সাজ্জাদ হোসেন সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন- ছোট্ট মেয়ে শেখ সুমাইয়া ফেরদৌস, ছেলে সাহেদ হোসেন,স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া ও মা সাহিদা বেগম। মেডিকেল শিক্ষার্থী জাকির হোসেনের বড় ভাই আতাউর রহমান। মা সাহিদা বেগম সন্তান হারানো কষ্ট ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন; তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে সবুজ গুম হওয়ার মধ্যদিয়ে বুঝলাম যে এই ঘটনা কতবড় অপমান ও বেদনা দায়ক, আমার সবকিছু থেকেও কিছুই নেই, ছেলের রেখে যাওয়া সম্পত্তি মা স্পর্শ করতে পারেনা, এতকিছু থাকতেও আমাকে অভাবের যন্ত্রনায় ছটফট করতে হচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কড়জোড়ে অনুরোধ করছি, আমার ও আমার পরিবারের প্রতি একটু দয়ীশীল দৃষ্টি দিন। আমাদের বাঁচতে দিন’।

এছাড়াও আলোচনা সভায় জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ব্যক্তিগণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ‘মায়ের ডাক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্কের সাথে সংগ্রামরত মানবাধিকার কর্মীগণ সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২০ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুষ্ঠিত আন্তজার্তিক কনভেশনে উত্থাপিত গুম হওয়া ব্যক্তি সুরক্ষায় গৃহীত প্রস্তাবনায় বাংলাদেশকে অনুস্বাক্ষরের দাবি জানানো হয়। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে মায়ের ডাক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক পরিবারের কাছে, সাথে বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের নামে যে সব ব্যক্তিদের বিচার বহির্ভুত হত্যা ও হেফাজতে নির্যাতনসহ সকল রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধের দাবি করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

কুষ্টিয়ায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আলোচনা সভা

প্রকাশিত : ০৩:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

কুষ্টিয়ায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ‘মায়ের ডাক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স কুষ্টিয়া জেলা নেটওয়ার্কের উদ্যেগে জাতিসংঘ ঘোষিত ৩০ আগষ্ট দিবসটি পালন করে। নেটওয়ার্কের ফোকাল পার্সন মানবাধিকার কর্মী হাসান আলী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় গুমের শিকার ব্যক্তি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন সবুজ ও মেডিকেল শিক্ষার্থী জাকির হোসেনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের শোকার্ত-বেদনা ও মানবেতর জীবনের চিত্র তুলে ধরে অবিলম্বে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেন। গুমের শিকার সাজ্জাদ হোসেন সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন- ছোট্ট মেয়ে শেখ সুমাইয়া ফেরদৌস, ছেলে সাহেদ হোসেন,স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া ও মা সাহিদা বেগম। মেডিকেল শিক্ষার্থী জাকির হোসেনের বড় ভাই আতাউর রহমান। মা সাহিদা বেগম সন্তান হারানো কষ্ট ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন; তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে সবুজ গুম হওয়ার মধ্যদিয়ে বুঝলাম যে এই ঘটনা কতবড় অপমান ও বেদনা দায়ক, আমার সবকিছু থেকেও কিছুই নেই, ছেলের রেখে যাওয়া সম্পত্তি মা স্পর্শ করতে পারেনা, এতকিছু থাকতেও আমাকে অভাবের যন্ত্রনায় ছটফট করতে হচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কড়জোড়ে অনুরোধ করছি, আমার ও আমার পরিবারের প্রতি একটু দয়ীশীল দৃষ্টি দিন। আমাদের বাঁচতে দিন’।

এছাড়াও আলোচনা সভায় জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ব্যক্তিগণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ‘মায়ের ডাক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স নেটওয়ার্কের সাথে সংগ্রামরত মানবাধিকার কর্মীগণ সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২০ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুষ্ঠিত আন্তজার্তিক কনভেশনে উত্থাপিত গুম হওয়া ব্যক্তি সুরক্ষায় গৃহীত প্রস্তাবনায় বাংলাদেশকে অনুস্বাক্ষরের দাবি জানানো হয়। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে মায়ের ডাক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হোক পরিবারের কাছে, সাথে বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের নামে যে সব ব্যক্তিদের বিচার বহির্ভুত হত্যা ও হেফাজতে নির্যাতনসহ সকল রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধের দাবি করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর