০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফুলবাড়ীতে আমন খেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আমন ধানের খেতে মাজরা, পাতা মোড়ানো ও কারেন্ট পোকাসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দফায় দফায় খেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকা দমন হচ্ছে না। এতে করে খেতের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কৃষকদের আমন চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ১১ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকেরা জমিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগও শেষ করেছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের খেতে মাজরা, পাতা মেড়ানো ও কারেন্ট পোকার আক্রমণে খেতের অবস্থা অবনতির দিকে। উপজেলার গেটের বাজার এলাকার অনেক কৃষকের জমিতে ব্যাপকহারে পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। ওই এলাকার কৃষক আফজাল হোসেন ও মোজাম্মেল হক বলেন, তারা পাঁচ বিঘা করে জমিতে আমন রোপণ করেছেন। তাদের সব খেতেই পোকা আক্রমণ করেছে। তারা পোকা দমনে দুই দফায় ৬০০০ করে টাকা খরচ করে কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু পোকা দমন হয়নি। বর্তমানে দিশেহারা অবস্থা তাদের।

শাহ্ বাজার এলাকার কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, তিনি এবার আট একর জমিতে আমন রোপণ করেছেন। তার প্রায় সব জমির ধানের খেতে মাজরা, পাতা মোড়ানো পোকা ও কিছু খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। উপসহকারী কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে খেতের পোকা দমনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। এক বিঘা জমিতে এক দফা কীটনাশক প্রয়োগে তার ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়েই চলছে। পোকা দমন করতে না পারলে ফলন কমবে। ফলন ভালো না হলে কি করবেন, বুঝতে পারছেন না।

উত্তর বড়ভিটা গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন। তিনি গত দুই বছর ধরে অন্যের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এবারে আমন ধানে পোকার আক্রমণের বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে আমন খেতে কীটনাশক স্প্রে করে নেওয়ার জন্য আশপাশের চার/পাঁচ গ্রাম থেকে ডাক আসছে। খুব ব্যস্ততায় দিন কাটছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছু খেতে পোকার উৎপাত শুরু হয়েছে। খেতের পোকা দমনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খেতের যে অবস্থা তাতে ফলন বিপর্যয়ের কোন সম্ভাবনা আপাতত নাই।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

ফুলবাড়ীতে আমন খেতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক

প্রকাশিত : ০৩:৫২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আমন ধানের খেতে মাজরা, পাতা মোড়ানো ও কারেন্ট পোকাসহ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দফায় দফায় খেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকা দমন হচ্ছে না। এতে করে খেতের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কৃষকদের আমন চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ১১ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকেরা জমিতে প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগও শেষ করেছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের খেতে মাজরা, পাতা মেড়ানো ও কারেন্ট পোকার আক্রমণে খেতের অবস্থা অবনতির দিকে। উপজেলার গেটের বাজার এলাকার অনেক কৃষকের জমিতে ব্যাপকহারে পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। ওই এলাকার কৃষক আফজাল হোসেন ও মোজাম্মেল হক বলেন, তারা পাঁচ বিঘা করে জমিতে আমন রোপণ করেছেন। তাদের সব খেতেই পোকা আক্রমণ করেছে। তারা পোকা দমনে দুই দফায় ৬০০০ করে টাকা খরচ করে কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু পোকা দমন হয়নি। বর্তমানে দিশেহারা অবস্থা তাদের।

শাহ্ বাজার এলাকার কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, তিনি এবার আট একর জমিতে আমন রোপণ করেছেন। তার প্রায় সব জমির ধানের খেতে মাজরা, পাতা মোড়ানো পোকা ও কিছু খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। উপসহকারী কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে খেতের পোকা দমনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। এক বিঘা জমিতে এক দফা কীটনাশক প্রয়োগে তার ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়েই চলছে। পোকা দমন করতে না পারলে ফলন কমবে। ফলন ভালো না হলে কি করবেন, বুঝতে পারছেন না।

উত্তর বড়ভিটা গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন। তিনি গত দুই বছর ধরে অন্যের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এবারে আমন ধানে পোকার আক্রমণের বিষয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে আমন খেতে কীটনাশক স্প্রে করে নেওয়ার জন্য আশপাশের চার/পাঁচ গ্রাম থেকে ডাক আসছে। খুব ব্যস্ততায় দিন কাটছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছু খেতে পোকার উৎপাত শুরু হয়েছে। খেতের পোকা দমনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খেতের যে অবস্থা তাতে ফলন বিপর্যয়ের কোন সম্ভাবনা আপাতত নাই।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব