০১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চুরি করতে নয়, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সিঁধ কাটা হয়: পুলিশ সুপার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চুরি করতে নয়, গৃহবধূকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে আসামিরা ঘরে ঢোকেন। পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে তাঁরা চুরি করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ তথ্য জানান বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারী )সকালে নিজ কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে করেন ।

জানা যায়, সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মেহেরাজ (৪৮) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিশেষ দল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মামলার প্রধান আসামি চরকাজী মোখলেছ গ্রামের আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বারকে (৬৭) জেলা শহর মাইজদি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই আসামিকে মুখোমুখি করলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, মুন্সি মেম্বার ওই গৃহবধূকে নাতনি বলে সম্বোধন করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই নারীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলেন। নিজের স্ত্রী নেই, তাই তাঁর প্রতি খেয়াল রাখতে গৃহবধূকে একাধিকবার কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন। কিন্তু ওই নারী তাতে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মেম্বার। কিছুদিন আগে হারুনের কাছে গরু বিক্রি করেন গৃহবধূর স্বামী। ওই টাকা ঘরেই আছে, সেটি চুরি করতে মেহেরাজকে সেই লোভ দেখিয়ে আবুল খায়ের ও হারুন ঘরে ঢোকার পরিকল্পনা করেন। যদিও তাঁদের দুজনের উদ্দেশ্য ছিল গৃহবধূকে ধর্ষণ।

আসাদুজ্জামান বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার রাত ২টার দিকে সিঁধ কেটে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢোকেন তাঁরা। এ সময় আবুল খায়ের ও হারুন প্রথমে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ফেলে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেহেরাজ পাশের কক্ষে থাকা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁরা ঘটনাটি চুরি বলে চালিয়ে দিতে ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান। কিন্তু গৃহবধূ ও তাঁর মেয়ে তাদের দুজনকেই চিনে ফেলেন।একজনকে চিনতে পারেনি। পওে মুন্সী মেম্বারের তথ্য অনুযায়ী অপর আসামীকে সনাক্ত করেন গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, সিঁধ কাটায় ব্যবহৃত কোদাল, একটি দা এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত মেম্বারের মানকি টুপি ও প্যান্ট জব্দ করা হয়। আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে এবং রিমান্ডের আবেদন করে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার আরেক আসামি হারুন প্রকাশ গরু হারুন এখনো পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তাওে একাধিক দল মাঠে নামিয়েছে। সেআইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে যদি আন্তসমর্পণ না করে তাহলে লুকিয়ে বাঁচতে পারবে না বলেও পুলিশ সুপার জানান।

উল্লেখ্য, ধর্ষণের ওই ঘটনার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ঐ নারী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS

জনপ্রিয়

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চুরি করতে নয়, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সিঁধ কাটা হয়: পুলিশ সুপার

প্রকাশিত : ০৩:০২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চুরি করতে নয়, গৃহবধূকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে আসামিরা ঘরে ঢোকেন। পরে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে তাঁরা চুরি করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ তথ্য জানান বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারী )সকালে নিজ কার্যালয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে করেন ।

জানা যায়, সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মেহেরাজ (৪৮) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিশেষ দল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মামলার প্রধান আসামি চরকাজী মোখলেছ গ্রামের আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বারকে (৬৭) জেলা শহর মাইজদি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই আসামিকে মুখোমুখি করলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, মুন্সি মেম্বার ওই গৃহবধূকে নাতনি বলে সম্বোধন করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই নারীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলেন। নিজের স্ত্রী নেই, তাই তাঁর প্রতি খেয়াল রাখতে গৃহবধূকে একাধিকবার কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন। কিন্তু ওই নারী তাতে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মেম্বার। কিছুদিন আগে হারুনের কাছে গরু বিক্রি করেন গৃহবধূর স্বামী। ওই টাকা ঘরেই আছে, সেটি চুরি করতে মেহেরাজকে সেই লোভ দেখিয়ে আবুল খায়ের ও হারুন ঘরে ঢোকার পরিকল্পনা করেন। যদিও তাঁদের দুজনের উদ্দেশ্য ছিল গৃহবধূকে ধর্ষণ।

আসাদুজ্জামান বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার রাত ২টার দিকে সিঁধ কেটে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢোকেন তাঁরা। এ সময় আবুল খায়ের ও হারুন প্রথমে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ফেলে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেহেরাজ পাশের কক্ষে থাকা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁরা ঘটনাটি চুরি বলে চালিয়ে দিতে ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান। কিন্তু গৃহবধূ ও তাঁর মেয়ে তাদের দুজনকেই চিনে ফেলেন।একজনকে চিনতে পারেনি। পওে মুন্সী মেম্বারের তথ্য অনুযায়ী অপর আসামীকে সনাক্ত করেন গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, সিঁধ কাটায় ব্যবহৃত কোদাল, একটি দা এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত মেম্বারের মানকি টুপি ও প্যান্ট জব্দ করা হয়। আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে এবং রিমান্ডের আবেদন করে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার আরেক আসামি হারুন প্রকাশ গরু হারুন এখনো পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তাওে একাধিক দল মাঠে নামিয়েছে। সেআইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে যদি আন্তসমর্পণ না করে তাহলে লুকিয়ে বাঁচতে পারবে না বলেও পুলিশ সুপার জানান।

উল্লেখ্য, ধর্ষণের ওই ঘটনার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ঐ নারী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/DS