১২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

কারফিউ সিথিলে স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা বাজারে

টানা কারফিউ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রাজধানীর কাঁচা বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছিলো। তবে কারফিউ শিথিল করায়, নিয়মিত সরবরাহের কারণে সংকট কিছুটা কমে এসেছে। স্বস্তি ফিরেছে সবজি এবং মাছের বাজারে। মাছের কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকা কমেছে এবং সবজির দাম কমেছে কেজি প্রতি ২০-৪০ টাকা।

ব্যবসায়িরা বলেছেন, কারফিউ শিথিল হওয়ায় সবজি এবং মাছের ট্রাকগুলো নিয়মিত ঢাকায় আসছে। ফলে সরবরাহ ঠিক থাকায় দাম কমেছে। যদি ট্রাকের প্রবেশ অব্যাহত থাকে, তবে দাম আরো কিছুটা কমবে।কারওয়ান বাজারেও ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের ভীড় স্বাভাবিক হয়েছে। তবে গরুর মাংসের দোকানদাররা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে তাদের বিক্রি খুবই কমেছে।

গাজর, বেগুন, টমেটো ও করলা দাম তুলনামূলক বেশি হলেও অন্যান্য সবজিগুলো এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে কিনতে পারা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে সবগুলো সবজির দাম ছিল ৭০ টাকার উপরে।

ঢাকার কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার, আজিমপুর বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজির দাম কমে প্রতিকেজি পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়শ ৬০ টাকায়, প্রতিকেজি পেঁপে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকায়, শসা প্রতিকেজি ৮০ টাকায়, কচুমুখী প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো প্রতিকেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, গাজর প্রতিকেজি ২০০-২৩০ টাকায়, লাউ প্রতিপিস সাইজভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি করলা প্রায় ৫০-৭০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১ সপ্তাহ ধরেই সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত শুক্রবার সারাদেশে কারফিউ জারি হলে, যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে যায়। ফলে কাঁচা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত হয়নি। অন্যদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি এই বৈরী পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ার অজুহাত তারা সবকিছুর দাম ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করে দিয়েছিলো। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে কারফিউ শিথিল করার কারণে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ফারুক

জনপ্রিয়

কারফিউ সিথিলে স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা বাজারে

প্রকাশিত : ০৩:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

টানা কারফিউ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রাজধানীর কাঁচা বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছিলো। তবে কারফিউ শিথিল করায়, নিয়মিত সরবরাহের কারণে সংকট কিছুটা কমে এসেছে। স্বস্তি ফিরেছে সবজি এবং মাছের বাজারে। মাছের কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকা কমেছে এবং সবজির দাম কমেছে কেজি প্রতি ২০-৪০ টাকা।

ব্যবসায়িরা বলেছেন, কারফিউ শিথিল হওয়ায় সবজি এবং মাছের ট্রাকগুলো নিয়মিত ঢাকায় আসছে। ফলে সরবরাহ ঠিক থাকায় দাম কমেছে। যদি ট্রাকের প্রবেশ অব্যাহত থাকে, তবে দাম আরো কিছুটা কমবে।কারওয়ান বাজারেও ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের ভীড় স্বাভাবিক হয়েছে। তবে গরুর মাংসের দোকানদাররা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে তাদের বিক্রি খুবই কমেছে।

গাজর, বেগুন, টমেটো ও করলা দাম তুলনামূলক বেশি হলেও অন্যান্য সবজিগুলো এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে কিনতে পারা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে সবগুলো সবজির দাম ছিল ৭০ টাকার উপরে।

ঢাকার কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার, আজিমপুর বাজার ঘুরে দেখা যায় সবজির দাম কমে প্রতিকেজি পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, প্রতিকেজি চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়শ ৬০ টাকায়, প্রতিকেজি পেঁপে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকায়, শসা প্রতিকেজি ৮০ টাকায়, কচুমুখী প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো প্রতিকেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, গাজর প্রতিকেজি ২০০-২৩০ টাকায়, লাউ প্রতিপিস সাইজভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি করলা প্রায় ৫০-৭০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১ সপ্তাহ ধরেই সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত শুক্রবার সারাদেশে কারফিউ জারি হলে, যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে যায়। ফলে কাঁচা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত হয়নি। অন্যদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি এই বৈরী পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে। যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ার অজুহাত তারা সবকিছুর দাম ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করে দিয়েছিলো। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে কারফিউ শিথিল করার কারণে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/ফারুক