০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ব্যাখ্যা পেয়েছি, কিন্তু বলবো না : কাদের

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে জিয়ার গুণগান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককাদের বলেছেন, আমাদের অবস্থান পরিস্কার। পড়ে সব কিছু পাবেন। আমি এখানে আর কোনো কিছু বলতে চাই না।

ইসি থেকে আওয়ামী লীগ ব্যাখ্যা পেয়েছে জানালেও বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

‌তি‌নি ব‌লেন, ব্যাখ্যা আমরা পেয়েছি, কিন্তু এটা বলবো না। যদি কোনো ব্যাখ্যা দিতে হয়, নির্বাচন কমিশন দেবে। তবে তাদের সঙ্গে যে আলোচনা, নির্বাচন কমিশনার থেকে সচিব প্রত্যেকের যে বক্তব্য তাতে পজিটিভ ডায়ালগ আমরা করেছি, কনস্ট্রাকটিভ আলোচনা হয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংলাপে অংশ নেয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ১১ দফা পেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন দ‌লের সাধারণ সম্পাদক।

দলটির পক্ষ থেকে নতুন করে সীমানা পুন:নির্ধারণের বিরোধিতা, ইভিএম চালু, ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো পরিস্থিতি হলে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে’র পক্ষে মতসহ ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

কাদের জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং ইসি নির্ধারিত ভোটের পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ন্যস্ত থাকবে।

তিনি আরও জানান, সীমানা পুননির্ধারণের বিষয়টি বিশেষ করে আদমশুমারির সঙ্গে সম্পর্কিত। সর্বশেষ ২০১১ সালে আদমশুমারির উপর ভিত্তি করে (যা ২০১৩ সালে প্রকাশিত) ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা পুননির্ধারণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ব‌লেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা যাবে ১৮৯৮ সালের প্রণীত ফৌজদারি কার‌্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩১ ধারায় এবং সোনাধিমালা ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার শিরোনামে সুস্পষ্টভাবে তার উল্লেখ রয়েছে। নতুন করে সীমানা পুন|নির্ধারণ করা নিয়ে জটিলতার শঙ্কাও করছে ক্ষমতাসীন দলটি।
তিনি বলেন, নতুন আদমশুমারি ছাড়া পুনরায় সীমানা পুননির্ধারণ কার্যক্রম নিলে বিভিন্ন আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় ৩০০ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের মতো জটিল কাজ শেষ করতে সময় স্বল্পতার কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কিনা বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া অত্যাবশ্যক।

২০১৮ সালের শেষ দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় সরকারের অনেকগুলো নির্বাচনের কথা বিবেচনায় নিয়ে ‘সব দিক ভেবে’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানায় আওয়ামী লীগ।

অন্য সুপারিশগুলো হচ্ছে-

ইংরেজিতে প্রণীত ‘গদ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপ অর্ডার, 1972’ ও ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স, 1976’ এর বাংলা সংস্করণের সুপারিশ; নির্বাচনে অবৈধ অর্থ ও পেশি শক্তির ব্যবহার রোধে নির্বাচনী আইন-বিধির কঠোর প্রয়োগ; নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতদের দায়িত্বে অবহেলা ও অপেশাদার আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা; যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রিজাইডিং, সহকাররি প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ; দলীয় প্রার্থী চড়ূান্তের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে আগ্রহীদের বাছাই; দেশি-বিদেশি পর‌্যবেক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা বিধান; ভোটের দিন গণমাধ্যম কর্মীদের নির্বাচনী আইন-বিধি অনুসরণ এবং উপযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদান; এবং দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদৈর পোলিং এজেন্টদের ভোটের তিনদিন আগে এনআইডি ও ছবিসহ তালিকা দেয়ার সুপারিশ।

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ব্যাখ্যা পেয়েছি, কিন্তু বলবো না : কাদের

প্রকাশিত : ০৩:৫২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে জিয়ার গুণগান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককাদের বলেছেন, আমাদের অবস্থান পরিস্কার। পড়ে সব কিছু পাবেন। আমি এখানে আর কোনো কিছু বলতে চাই না।

ইসি থেকে আওয়ামী লীগ ব্যাখ্যা পেয়েছে জানালেও বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

‌তি‌নি ব‌লেন, ব্যাখ্যা আমরা পেয়েছি, কিন্তু এটা বলবো না। যদি কোনো ব্যাখ্যা দিতে হয়, নির্বাচন কমিশন দেবে। তবে তাদের সঙ্গে যে আলোচনা, নির্বাচন কমিশনার থেকে সচিব প্রত্যেকের যে বক্তব্য তাতে পজিটিভ ডায়ালগ আমরা করেছি, কনস্ট্রাকটিভ আলোচনা হয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংলাপে অংশ নেয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে ১১ দফা পেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন দ‌লের সাধারণ সম্পাদক।

দলটির পক্ষ থেকে নতুন করে সীমানা পুন:নির্ধারণের বিরোধিতা, ইভিএম চালু, ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো পরিস্থিতি হলে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে’র পক্ষে মতসহ ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

কাদের জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং ইসি নির্ধারিত ভোটের পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ন্যস্ত থাকবে।

তিনি আরও জানান, সীমানা পুননির্ধারণের বিষয়টি বিশেষ করে আদমশুমারির সঙ্গে সম্পর্কিত। সর্বশেষ ২০১১ সালে আদমশুমারির উপর ভিত্তি করে (যা ২০১৩ সালে প্রকাশিত) ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা পুননির্ধারণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ব‌লেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা যাবে ১৮৯৮ সালের প্রণীত ফৌজদারি কার‌্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩১ ধারায় এবং সোনাধিমালা ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার শিরোনামে সুস্পষ্টভাবে তার উল্লেখ রয়েছে। নতুন করে সীমানা পুন|নির্ধারণ করা নিয়ে জটিলতার শঙ্কাও করছে ক্ষমতাসীন দলটি।
তিনি বলেন, নতুন আদমশুমারি ছাড়া পুনরায় সীমানা পুননির্ধারণ কার্যক্রম নিলে বিভিন্ন আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। এ অবস্থায় ৩০০ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের মতো জটিল কাজ শেষ করতে সময় স্বল্পতার কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কিনা বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া অত্যাবশ্যক।

২০১৮ সালের শেষ দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় সরকারের অনেকগুলো নির্বাচনের কথা বিবেচনায় নিয়ে ‘সব দিক ভেবে’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানায় আওয়ামী লীগ।

অন্য সুপারিশগুলো হচ্ছে-

ইংরেজিতে প্রণীত ‘গদ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপ অর্ডার, 1972’ ও ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কন্সটিটিউয়েন্সিস অর্ডিনেন্স, 1976’ এর বাংলা সংস্করণের সুপারিশ; নির্বাচনে অবৈধ অর্থ ও পেশি শক্তির ব্যবহার রোধে নির্বাচনী আইন-বিধির কঠোর প্রয়োগ; নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতদের দায়িত্বে অবহেলা ও অপেশাদার আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা; যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রিজাইডিং, সহকাররি প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ; দলীয় প্রার্থী চড়ূান্তের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে আগ্রহীদের বাছাই; দেশি-বিদেশি পর‌্যবেক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা বিধান; ভোটের দিন গণমাধ্যম কর্মীদের নির্বাচনী আইন-বিধি অনুসরণ এবং উপযুক্ত পরিচয়পত্র প্রদান; এবং দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদৈর পোলিং এজেন্টদের ভোটের তিনদিন আগে এনআইডি ও ছবিসহ তালিকা দেয়ার সুপারিশ।