বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। ছাত্র-জনতার বিজয়ে ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এসব প্রবাসী শ্রমিককে ক্ষমা করে দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে শেষে ফরেন একাডেমিতে ব্রিফিংকালে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ ধরনের ক্ষমার ঘটনা বিরল। শুধু ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল বিজয়ী, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার পরিচিতি ও সুনামের কারণে আমিরাতের আমির তাদের ক্ষমতা করে এ দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন।

প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম জানান, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ জনের জেল মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা আমিরকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। আমির তার কথাটা রেখেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আজকে এ সুখবরটি পান এবং জানিয়ে দেন।

তিনি বলেন, তাদের ক্ষমা করানোটি ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এখন তাদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সংযুক্ত আমিরাতে বাংলাদেশের দূরাবাসের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, ওই দেশে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাদের বিষয়ে কী হবে, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সম্ভবত তারা ফিরে আসবেন।

এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছিল, গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/এমএফ