বিশ্বজুড়েই চলছে মহামারি করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব। ইতোমধ্যে ২ লক্ষ ৭১ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ হারিয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ। বাংলাদেশে ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৩১৩৪ জন এবং মারা গেছে ২০৬ জন।
বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন।তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ই মার্চ হতে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে মেসও।কারণ অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছে। তবে মেস বন্ধ থাকলেও ভাড়া ঠিকই দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে বিড়াম্বনায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারের মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা৷
শিক্ষার্থীদের দাবি, “মেস মালিকরা বাড়ি ভাড়া মওকুফ করুক।” বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দিনাজপুরের স্থানীয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাধিকবার মেস মালিকদের সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সমাধান হয়নি। গত ৪ঠা মে মিটিং এ মালিক সমিতি ২০% ভাড়া মওকুফের প্রস্তাব দেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধান হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, “মেসে থাকাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের অধিকাংশই টিউশনি অথবা পার্টটাইম চাকরি করে খরচ বহন করে। করোনার কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ সবচেয়ে কষ্টে রয়েছেন। তাই মানবিক বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কিন্তু বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় তারা চিন্তিত। মেস মালিকেরা প্রতিদিন ফোন দিয়ে ভাড়া চাচ্ছে।” মেস মালিক সমিতির সভাপতি রায়হান শরীফের সাথে কথা হলে তিনি হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন” আমিও মেয়েদের মেসে বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু ছেলেদের মেস হতে কোন অভিযোগ পায়নি, আগামী রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বিষয়টি সমাধানের কথা রয়েছে। আশাকরি সমাধান হবে।সমাধানের পূর্ব পর্যন্ত মেস মালিকদের ভাড়া নেওয়া হইতে বিরত থাকতে আহ্বান করেন।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ বলেন ” আগামী রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মালিক সমিতির সাথে দ্বিতীয় দফায় মিটিং করে, বিষয়টি সমাধান করবে। তিনি আরো বলেন,’ সমস্যাটি সমাধান পূর্ব পর্যন্ত কোন মালিক ভাড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের হয়রানি করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর ভূমিকা পালন করবে।”
উল্লেখ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। যেখানে ৪০% শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পায়। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসের ভাড়া, কারেন্টবিল সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত হলেও ইচ্ছে মত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক






















