০৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

এক বছরেও ফেরেনি জ্ঞান

নার্সের একটি ভুল ইনজেকশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীর জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এক বছর পার হলেও চোখ খুলে তাকানোর চেয়ে বেশি সুস্থ হননি তিনি। এই একটি বছরে শয্যাশায়ী মুন্নীকে পাইপের মাধ্যমে খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

আর এভাবেই চলছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীর জীবন সংগ্রাম।

২০১৯ সালের ২০ মে পিত্তথলিজনিত সমস্যার কারণে মুন্নীকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২১ মে সকালে রোগীর ফাইল না দেখে গ্যাসট্রাইটিসের ইনজেকশন সারজেলের পরিবর্তে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান কারার) ইনজেকশন সারভেক মুন্নীর শরীরে পুশ করেন এক নার্স এবং ভুল ইনজেকশন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মুন্নী। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও ফিরে আসেনি মুন্নীর জীবনের স্বাভাবিক গতি। ফলে বাধ্য হয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে।

মুন্নীর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তার ভাই হাসিবুল রুবেল বলেন, এক বছর পার হয়ে গেলেও মুন্নী এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেনি। চোখ খুলে তাকালেও পরিবারের কাউকে চিনতে পারে না, কোনো কথা বলতে পারে না, চলাফেরা করতে পারে না। আপাতত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শুধু খিচুনি বন্ধের ওষুধ দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া আমার বোনের আর কোনো চিকিৎসা চলছে না। এদিকে এ ঘটনায় মুন্নীর চাচা জাকির হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় চিকিৎসক তপন কুমার মন্ডলসহ দুই নার্স শাহনাজ ও কুহেলিকাকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করলেও এখনো মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নার্স শাহানাজ এবং কুহেলিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় সেবা অধিদপ্তর।

ট্যাগ :

বকেয়া পরিশোধের আশ্বাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখল আদানি

এক বছরেও ফেরেনি জ্ঞান

প্রকাশিত : ০৮:৪২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০২০

নার্সের একটি ভুল ইনজেকশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীর জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। এক বছর পার হলেও চোখ খুলে তাকানোর চেয়ে বেশি সুস্থ হননি তিনি। এই একটি বছরে শয্যাশায়ী মুন্নীকে পাইপের মাধ্যমে খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।

আর এভাবেই চলছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীর জীবন সংগ্রাম।

২০১৯ সালের ২০ মে পিত্তথলিজনিত সমস্যার কারণে মুন্নীকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২১ মে সকালে রোগীর ফাইল না দেখে গ্যাসট্রাইটিসের ইনজেকশন সারজেলের পরিবর্তে অ্যানেস্থেসিয়ার (অজ্ঞান কারার) ইনজেকশন সারভেক মুন্নীর শরীরে পুশ করেন এক নার্স এবং ভুল ইনজেকশন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মুন্নী। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও ফিরে আসেনি মুন্নীর জীবনের স্বাভাবিক গতি। ফলে বাধ্য হয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাকে।

মুন্নীর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে তার ভাই হাসিবুল রুবেল বলেন, এক বছর পার হয়ে গেলেও মুন্নী এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেনি। চোখ খুলে তাকালেও পরিবারের কাউকে চিনতে পারে না, কোনো কথা বলতে পারে না, চলাফেরা করতে পারে না। আপাতত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শুধু খিচুনি বন্ধের ওষুধ দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া আমার বোনের আর কোনো চিকিৎসা চলছে না। এদিকে এ ঘটনায় মুন্নীর চাচা জাকির হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ থানায় চিকিৎসক তপন কুমার মন্ডলসহ দুই নার্স শাহনাজ ও কুহেলিকাকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করলেও এখনো মামলার তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নার্স শাহানাজ এবং কুহেলিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় সেবা অধিদপ্তর।