১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

উদ্ভোধন হল উপজেলা পর্যায়ে দেশের প্রথম করোনা হাসপাতাল

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে উদ্ভোধন হলো স্থানীয় জনসাধারণের আর্থিক অনুদানে কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠা কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতাল। যা দেশে উপজেলা পর্যায়ে গড়ে উঠা প্রথম এবং একমাত্র করোনা হাসপাতাল।

আজ সোমবার (২৭ জুলাই) ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

এসময় সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী তার বক্তব্যে বলেন, ফটিকছড়িবাসীর সুচিকিৎসার কথা বিবেচনা করে হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ এর রোগীর জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। কোন মানুষ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়। সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছি। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ হাসপাতাল উপহার দিলাম।

উপজেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা জহরুল হক হল রুমে অনুষ্ঠিত উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জানে আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জেবুন নাহার, ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, ফটিকছড়ি থানা অফিসার্স ইনচার্য বাবুল আকতার, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ডা. জয়নাল আবেদীন মুহুরী, ডা. আবুল বাশেত প্রমুখ।

হাসপাতালটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে রুপান্তর করতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা এবং প্রতি মাসে খরচ পড়বে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। সাংসদ হাসপাতালটির উন্নয়নে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালে হাসপাতালটির উন্নয়নে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ, সংগঠন, সংস্থা, স্কুল সহায়তায় এগিয়ে আসেন। এমনকি শিশুরাও তাদের ঈদ সালামির জমানো টাকা, বাই সাইকেল কেনার টাকা নিয়ে এগিয়ে আসেন।

এ হাসপতালটি গড়ে তুলেতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র ইসমাইল হোসেন, ডা. জয়নাল মুহুরীসহ আরো অনেকে এ হাসপাতালটি গড়তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।

উল্লেখ্য,এ হাসপাতালটির প্রচার-প্রচারণায় এবং উদ্বুদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কিছু তরুণদের উদ্যোগে ফেইসবুকে গড়ে উঠা প্রচারণা টিম ফটিকছড়ি কোভিড-১৯ হাসপাতাল। এ টিম প্রচারণায় বিশেষ অবদান রাখছে। যা সত্যি প্রশংসনীয়।

২ আগস্ট থেকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন, হাই ফ্লু ন্যাসাল ক্যানুলাসহ আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৩০ শয্যার এ হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হবে। এটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত হলেও রোগীরা সুলভমূল্যে আধুনিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিতে হত্যা মামলায় ২ আসামী গ্রেপ্তার

উদ্ভোধন হল উপজেলা পর্যায়ে দেশের প্রথম করোনা হাসপাতাল

প্রকাশিত : ০৭:০৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে উদ্ভোধন হলো স্থানীয় জনসাধারণের আর্থিক অনুদানে কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠা কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতাল। যা দেশে উপজেলা পর্যায়ে গড়ে উঠা প্রথম এবং একমাত্র করোনা হাসপাতাল।

আজ সোমবার (২৭ জুলাই) ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

এসময় সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী তার বক্তব্যে বলেন, ফটিকছড়িবাসীর সুচিকিৎসার কথা বিবেচনা করে হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ এর রোগীর জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। কোন মানুষ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়। সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছি। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ হাসপাতাল উপহার দিলাম।

উপজেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা জহরুল হক হল রুমে অনুষ্ঠিত উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জানে আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জেবুন নাহার, ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, ফটিকছড়ি থানা অফিসার্স ইনচার্য বাবুল আকতার, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ডা. জয়নাল আবেদীন মুহুরী, ডা. আবুল বাশেত প্রমুখ।

হাসপাতালটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে রুপান্তর করতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা এবং প্রতি মাসে খরচ পড়বে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। সাংসদ হাসপাতালটির উন্নয়নে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালে হাসপাতালটির উন্নয়নে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ, সংগঠন, সংস্থা, স্কুল সহায়তায় এগিয়ে আসেন। এমনকি শিশুরাও তাদের ঈদ সালামির জমানো টাকা, বাই সাইকেল কেনার টাকা নিয়ে এগিয়ে আসেন।

এ হাসপতালটি গড়ে তুলেতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র ইসমাইল হোসেন, ডা. জয়নাল মুহুরীসহ আরো অনেকে এ হাসপাতালটি গড়তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।

উল্লেখ্য,এ হাসপাতালটির প্রচার-প্রচারণায় এবং উদ্বুদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কিছু তরুণদের উদ্যোগে ফেইসবুকে গড়ে উঠা প্রচারণা টিম ফটিকছড়ি কোভিড-১৯ হাসপাতাল। এ টিম প্রচারণায় বিশেষ অবদান রাখছে। যা সত্যি প্রশংসনীয়।

২ আগস্ট থেকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন, হাই ফ্লু ন্যাসাল ক্যানুলাসহ আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৩০ শয্যার এ হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হবে। এটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত হলেও রোগীরা সুলভমূল্যে আধুনিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ