০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বন্ধ ক্যাম্পাসে ফিরছে রাবি শিক্ষার্থীরা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস প্রাথমিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার আক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তীতে ১২ এপ্রিল থেকে রাবি ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মাসের পর মাস চলছে করোনার আক্রমণ কোনো ভাবেই কমছে না বরং পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বন্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাস খোলার আভাস পাওয়া গেলেও মহামারী করোনাভাইরাসের করনে তা আর হয়ে ওঠেনি। সর্বশেষ তথ্য মতে জানা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেপ্টেম্বরে ক্যাম্পাস খুলে দেয়া হবে। কিন্তু করোনা যেন আবার নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছে। আক্রমণের সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।

সেপ্টেম্বরে ক্যাম্পাস খোলার সম্ভাবনার কথা ভেবে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফেরা শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা করোনার এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কেনো তারা ক্যাম্পাসে ফিরছে এ বিষয় নিয়ে ক্যাম্পাসে আগমন পাঁচজন শিক্ষার্থী থেকে মতামত তুলে ধরেছেন- জাকিরুল ইসলাম মিরাজ

করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যাম্পাস বন্ধ। এই অবস্থায় কেনো আপনি ক্যাম্পাসে ফিরলেন এবং শিক্ষার্থীরা কেন ক্যাম্পাসে ফিরছে? এ ব্যপারে রাবির আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী, কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন মুন্নাকে প্রশ্নকরা হলে তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও আমি ক্যাম্পাসে এসেছি। প্রায় ৫ মাস ক্যাম্পাস বন্ধ এমন পরিস্থিতিতে মেসে যে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো এগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা এজন্য। কারন ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে পড়াশোনা কম হয় তাই রাজশাহী এসেছি চাকুরির প্রস্তুতি ভালোভাবে নেয়ার জন্য। সামনে অনেকগুলো চাকুরীর পরীক্ষা।

শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতেছে। তাদের অন্যতম কারণ হলো:১. প্রাইভেট পড়ানোর জন্য। এখন কমবেশি সবাই অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। ২. বাড়িতে থাকতে থাকতে একঘেঁয়েমি চলে আসছে পড়াশোনা ঠিক মতো করতে পারছে না। ৩. অনেকেই পার্টটাইম জব করতে বা খুজতে এসেছে।

অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জাবেদুল ইসলাম মনি বলেন, করোনাকালীন সময় দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল আমরা ওই সময়টাতে বাসাতেই ছিলাম। আমাদের স্নাতক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে ফলাফল হয়তো অতি শীঘ্রই বের হবে। এ সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। বাসায় থেকে পড়াশুনা খুব একটা হচ্ছিল না। তাই শহরের দিকে এসেছি যাতে পড়াশোনা করা যায়।

অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফিরতেছে এ ব্যাপারে বলব, দীর্ঘদিন বাসায় থেকে অনেকেই বিরক্ত হয়ে গেছেন এছাড়াও অনেকের বাড়িতেই পড়াশোনা করার মত পরিবেশ নেই। তাই তারা হলে বা মেসে থাকতে চাচ্ছে। আর ক্যাম্পাসের প্রতি মায়ার ব্যাপারটা তো আছেই এই বিষয়টাও তাদেরকে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসের দিকে টেনে আনছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, ‘Student Rights Association’ এর সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ আছে। কবে ক্যাম্পাস খুলবে, স্বাভাবিক হবে তা বলা মুশকিল। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে আসার পেছনে মূলত কারণ হলো:১. দীর্ঘদিন বাড়িতে অবস্থান করার কারণে স্বাভাবিকভাবে পড়াশুনায় একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এই গ্যাভ থেকে কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় সেই চিন্তাতেই রাজশাহী ফেরা। ২. হোম টিউশনি নতুনভাবে শুরু করা। আর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফেরার পিছনে কারণ হলো: শিক্ষার্থীদের রেখে যাওয়া প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন: একাডেমিক কাগজপত্র, আসবাবপত্র,পোষাক, সাইকেল ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা এসব দেখার জন্য ক্যাম্পাসে আসছে। ইতোমধ্যে মেসগুলোতে চুরির ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন সময়ে টিউশনি বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় অনেকটা বাধ্য হয়েই রাজশাহীতে অবস্থান করতে হচ্ছে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল ফাত্তাহ রাফি বলেন, ১৭ মার্চ ২০২০ সালে মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রানের ক্যাম্পাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর থেকে অবস্থান নিতে হয়েছে বাড়িতে। দীর্ঘ পাঁচ মাস বাড়িতে থাকার কারণে একঘেঁয়ে ভাব চলে এসেছে। একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছাড়া বাংলাদেশের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান, অফিস, অাদালত, কোন কিছুই বন্ধ নেই অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জীবনের বাস্তবতা সময়ের চাহিদা আর বাড়িতে থাকতে দিলো না, আগামী দিনের প্রতিযোগিতায় নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য চিরচেনা ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছি। ক্যাম্পাসের অধিকাংশ ছাত্রও তাদের জীবনের তাগিদে  নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরা শুরু করে দিয়েছে।

রাবির ‘ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)’ এর শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি নিজের ইচ্ছায় ক্যাম্পাসে এসেছি। বিশেষ করে পড়াশোনা ধরে রাখার জন্য। আর অনেক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরছে আর্থিক সমস্যার কারণে বাসা বা মেস ছেড়ে দিতে। অনেকের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট রয়েছে যেগুলো উইপোকা খেয়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো নিতে। যাদের পড়াশোনার শেষের দিকে তারা জব প্রিপারেশন, বিসিএস প্রিপারেশনের জন্য রাজশাহীতে অবস্থান করছে। আবার অনেকেই বাসা ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বন্ধ ক্যাম্পাসে ফিরছে রাবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত : ০৩:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস প্রাথমিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার আক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তীতে ১২ এপ্রিল থেকে রাবি ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মাসের পর মাস চলছে করোনার আক্রমণ কোনো ভাবেই কমছে না বরং পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বন্ধকালীন দীর্ঘ সময়ে মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাস খোলার আভাস পাওয়া গেলেও মহামারী করোনাভাইরাসের করনে তা আর হয়ে ওঠেনি। সর্বশেষ তথ্য মতে জানা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেপ্টেম্বরে ক্যাম্পাস খুলে দেয়া হবে। কিন্তু করোনা যেন আবার নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছে। আক্রমণের সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।

সেপ্টেম্বরে ক্যাম্পাস খোলার সম্ভাবনার কথা ভেবে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফেরা শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা করোনার এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কেনো তারা ক্যাম্পাসে ফিরছে এ বিষয় নিয়ে ক্যাম্পাসে আগমন পাঁচজন শিক্ষার্থী থেকে মতামত তুলে ধরেছেন- জাকিরুল ইসলাম মিরাজ

করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যাম্পাস বন্ধ। এই অবস্থায় কেনো আপনি ক্যাম্পাসে ফিরলেন এবং শিক্ষার্থীরা কেন ক্যাম্পাসে ফিরছে? এ ব্যপারে রাবির আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী, কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন মুন্নাকে প্রশ্নকরা হলে তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও আমি ক্যাম্পাসে এসেছি। প্রায় ৫ মাস ক্যাম্পাস বন্ধ এমন পরিস্থিতিতে মেসে যে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো এগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা এজন্য। কারন ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে পড়াশোনা কম হয় তাই রাজশাহী এসেছি চাকুরির প্রস্তুতি ভালোভাবে নেয়ার জন্য। সামনে অনেকগুলো চাকুরীর পরীক্ষা।

শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতেছে। তাদের অন্যতম কারণ হলো:১. প্রাইভেট পড়ানোর জন্য। এখন কমবেশি সবাই অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে। ২. বাড়িতে থাকতে থাকতে একঘেঁয়েমি চলে আসছে পড়াশোনা ঠিক মতো করতে পারছে না। ৩. অনেকেই পার্টটাইম জব করতে বা খুজতে এসেছে।

অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জাবেদুল ইসলাম মনি বলেন, করোনাকালীন সময় দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল আমরা ওই সময়টাতে বাসাতেই ছিলাম। আমাদের স্নাতক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে ফলাফল হয়তো অতি শীঘ্রই বের হবে। এ সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। বাসায় থেকে পড়াশুনা খুব একটা হচ্ছিল না। তাই শহরের দিকে এসেছি যাতে পড়াশোনা করা যায়।

অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ফিরতেছে এ ব্যাপারে বলব, দীর্ঘদিন বাসায় থেকে অনেকেই বিরক্ত হয়ে গেছেন এছাড়াও অনেকের বাড়িতেই পড়াশোনা করার মত পরিবেশ নেই। তাই তারা হলে বা মেসে থাকতে চাচ্ছে। আর ক্যাম্পাসের প্রতি মায়ার ব্যাপারটা তো আছেই এই বিষয়টাও তাদেরকে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসের দিকে টেনে আনছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, ‘Student Rights Association’ এর সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ আছে। কবে ক্যাম্পাস খুলবে, স্বাভাবিক হবে তা বলা মুশকিল। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে আসার পেছনে মূলত কারণ হলো:১. দীর্ঘদিন বাড়িতে অবস্থান করার কারণে স্বাভাবিকভাবে পড়াশুনায় একটা গ্যাপ তৈরি হয়েছে। এই গ্যাভ থেকে কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় সেই চিন্তাতেই রাজশাহী ফেরা। ২. হোম টিউশনি নতুনভাবে শুরু করা। আর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফেরার পিছনে কারণ হলো: শিক্ষার্থীদের রেখে যাওয়া প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন: একাডেমিক কাগজপত্র, আসবাবপত্র,পোষাক, সাইকেল ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা এসব দেখার জন্য ক্যাম্পাসে আসছে। ইতোমধ্যে মেসগুলোতে চুরির ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীদের করোনাকালীন সময়ে টিউশনি বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় অনেকটা বাধ্য হয়েই রাজশাহীতে অবস্থান করতে হচ্ছে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল ফাত্তাহ রাফি বলেন, ১৭ মার্চ ২০২০ সালে মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসের ভয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রানের ক্যাম্পাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর থেকে অবস্থান নিতে হয়েছে বাড়িতে। দীর্ঘ পাঁচ মাস বাড়িতে থাকার কারণে একঘেঁয়ে ভাব চলে এসেছে। একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছাড়া বাংলাদেশের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান, অফিস, অাদালত, কোন কিছুই বন্ধ নেই অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জীবনের বাস্তবতা সময়ের চাহিদা আর বাড়িতে থাকতে দিলো না, আগামী দিনের প্রতিযোগিতায় নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য চিরচেনা ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছি। ক্যাম্পাসের অধিকাংশ ছাত্রও তাদের জীবনের তাগিদে  নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরা শুরু করে দিয়েছে।

রাবির ‘ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)’ এর শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি নিজের ইচ্ছায় ক্যাম্পাসে এসেছি। বিশেষ করে পড়াশোনা ধরে রাখার জন্য। আর অনেক শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরছে আর্থিক সমস্যার কারণে বাসা বা মেস ছেড়ে দিতে। অনেকের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট রয়েছে যেগুলো উইপোকা খেয়ে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো নিতে। যাদের পড়াশোনার শেষের দিকে তারা জব প্রিপারেশন, বিসিএস প্রিপারেশনের জন্য রাজশাহীতে অবস্থান করছে। আবার অনেকেই বাসা ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/এসএম