০১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শরীয়তপুরে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের পলেস্তরা খসে পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ!

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে

১০০ শয্যাবিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। গত শনিবার রাতের এ ঘটনার পর হাসপাতালে কর্মরত সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে গত সোমবার সকালে সদর হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন করেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, হাসপাতালটির নিচতলায় তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রবিবার সকালে তত্ত¡বাবধায়কের কক্ষে গিয়ে দেখতে পান পলেস্তারা ধসে কক্ষে থাকা ল্যান্ড ফোন, কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাব ভেঙে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ককে জানান।

জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগ ১৯৮৫ সালে ৩০ শয্যা একতলাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালটি নির্মাণ করে। এই একতলা ভবনের ওপরেই ২০০৫ সালে তিনতলা করা হয়। ২০০৮ সালে ভবনটি হাসপাতাল র্কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর থেকে কিছুদিন পরপরই নিচতলা ভবনের বিভিন্ন অংশের ফাটল ও পলেস্তরা খসে পড়তে দেখা যায়।

 

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম মামুন সহ অন্য চিকিৎসকরা জানান, ঘটনাটি তাদের মাঝে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতক্ষণ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন, পুরো সময়টায় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।

হাসপাতালের তত্ত¡বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, হাসপাতালের যে কক্ষে বসি শনিবার গভীর রাতে কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। অনেক সময় রাতেও অফিস করি। ভাগ্য ভালো ওই দিন রাতে ছিলাম না। এর আগেও হাসপাতালের কয়েকটি অংশে পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। পুরো হাসপাতাল এখন ঝুঁকিতে। ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ফিরোজ বলেন, হাসপাতালের নিচতলা ভবনের কক্ষগুলো পরিদর্শন করেছি। তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ ফলস সিলিং থাকার কারণে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। আরএমওর কক্ষটিও ফলস সিলিং থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে। তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ বন্ধ করা হয়েছে। অন্য কক্ষগুলোতে সীমিত আকারে কার্যক্রম চলবে।

শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, হাসপাতালের ভবনটি পরিদর্শন করেছি। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় তত্ত্বাবধায়কের অফিস কক্ষ হাসপাতালের আবাসিক একটি ভবনের কক্ষে শিফট করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

শরীয়তপুরে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের পলেস্তরা খসে পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ!

প্রকাশিত : ০৫:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

১০০ শয্যাবিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। গত শনিবার রাতের এ ঘটনার পর হাসপাতালে কর্মরত সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে গত সোমবার সকালে সদর হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন করেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, হাসপাতালটির নিচতলায় তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রবিবার সকালে তত্ত¡বাবধায়কের কক্ষে গিয়ে দেখতে পান পলেস্তারা ধসে কক্ষে থাকা ল্যান্ড ফোন, কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাব ভেঙে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ককে জানান।

জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগ ১৯৮৫ সালে ৩০ শয্যা একতলাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালটি নির্মাণ করে। এই একতলা ভবনের ওপরেই ২০০৫ সালে তিনতলা করা হয়। ২০০৮ সালে ভবনটি হাসপাতাল র্কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরপর থেকে কিছুদিন পরপরই নিচতলা ভবনের বিভিন্ন অংশের ফাটল ও পলেস্তরা খসে পড়তে দেখা যায়।

 

হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম মামুন সহ অন্য চিকিৎসকরা জানান, ঘটনাটি তাদের মাঝে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতক্ষণ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন, পুরো সময়টায় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।

হাসপাতালের তত্ত¡বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, হাসপাতালের যে কক্ষে বসি শনিবার গভীর রাতে কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। অনেক সময় রাতেও অফিস করি। ভাগ্য ভালো ওই দিন রাতে ছিলাম না। এর আগেও হাসপাতালের কয়েকটি অংশে পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। পুরো হাসপাতাল এখন ঝুঁকিতে। ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ফিরোজ বলেন, হাসপাতালের নিচতলা ভবনের কক্ষগুলো পরিদর্শন করেছি। তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ ফলস সিলিং থাকার কারণে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। আরএমওর কক্ষটিও ফলস সিলিং থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে। তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ বন্ধ করা হয়েছে। অন্য কক্ষগুলোতে সীমিত আকারে কার্যক্রম চলবে।

শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, হাসপাতালের ভবনটি পরিদর্শন করেছি। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় তত্ত্বাবধায়কের অফিস কক্ষ হাসপাতালের আবাসিক একটি ভবনের কক্ষে শিফট করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ