০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

স্বাধীনতা পুরস্কার’প্রাপ্তি¡ অনেক দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে

গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ছবি : গোলাম সাব্বির

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। স্বাধীনতা দিবসের আগেই সাধারণত দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় (বেসামরিক) সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

অবশেষে গেলো ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হাত থেকে উপমহাদেশের বরেণ্য গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, কাহিনীকার, প্রযোজক, পরিবেশক গাজী মাজহারুল আনোয়ার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ গ্রহন করেন। তার এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে তার পরিবারের সবাই’সহ দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গন, সঙ্গীতাঙ্গন’সহ পুরো সাংস্কৃতিক পরিবারের মধ্যেই আনন্দ বয়ে যায়। এর আগে গাজী মাজহারুল আনোয়ার একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। পেয়েছেন বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রাপ্তিতে গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন,‘ এর আগে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলাম। এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেলাম। আমি খুবই আনন্দিত। রাষ্ট্র আমার কাজের মূল্যায়ণ করেছে। আসলে যেকোন স্বীকৃতি সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়।

আমি মনেকরি একুশে পদকের পর আমার স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তি সৃজনশীল কাজে আমাকে আরো বেশি দায়িত্ববান করে তুলবে। আমি আমার এই পুরস্কারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার জন্য এবং আমার পরিবারের সবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’ কিছুদিন আগে গাজী মাজহারুল আনোয়ার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঘরে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। বাবার স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তিতে উচ্ছসিত এবং গর্বিত তার দুই সন্তান উপল ও দিঠি আনোয়ার।

উপল বলেন,‘ রাষ্ট্র আমার আব্বার কাজের মূল্যায়ণ করায় আমি খুউব আনন্দিত। গাজী মাজহারুল আনোয়ার শুধু আমাদের নয়, তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ।’ দিঠি বলেন,‘ আমি গানের মানুষ। আমার বাবা গানের জগতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। এমন বাবার সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত। এর আগে বাবা একুশে পদক পেয়েছিলেন, তখন আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। এবার তার স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে আমি ভাষাহীন। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

 

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

স্বাধীনতা পুরস্কার’প্রাপ্তি¡ অনেক দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে

প্রকাশিত : ১১:৩৬:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। স্বাধীনতা দিবসের আগেই সাধারণত দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় (বেসামরিক) সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

অবশেষে গেলো ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হাত থেকে উপমহাদেশের বরেণ্য গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, কাহিনীকার, প্রযোজক, পরিবেশক গাজী মাজহারুল আনোয়ার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ গ্রহন করেন। তার এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে তার পরিবারের সবাই’সহ দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গন, সঙ্গীতাঙ্গন’সহ পুরো সাংস্কৃতিক পরিবারের মধ্যেই আনন্দ বয়ে যায়। এর আগে গাজী মাজহারুল আনোয়ার একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। পেয়েছেন বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রাপ্তিতে গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন,‘ এর আগে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলাম। এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেলাম। আমি খুবই আনন্দিত। রাষ্ট্র আমার কাজের মূল্যায়ণ করেছে। আসলে যেকোন স্বীকৃতি সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়।

আমি মনেকরি একুশে পদকের পর আমার স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তি সৃজনশীল কাজে আমাকে আরো বেশি দায়িত্ববান করে তুলবে। আমি আমার এই পুরস্কারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার জন্য এবং আমার পরিবারের সবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’ কিছুদিন আগে গাজী মাজহারুল আনোয়ার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঘরে থেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। বাবার স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তিতে উচ্ছসিত এবং গর্বিত তার দুই সন্তান উপল ও দিঠি আনোয়ার।

উপল বলেন,‘ রাষ্ট্র আমার আব্বার কাজের মূল্যায়ণ করায় আমি খুউব আনন্দিত। গাজী মাজহারুল আনোয়ার শুধু আমাদের নয়, তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ।’ দিঠি বলেন,‘ আমি গানের মানুষ। আমার বাবা গানের জগতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। এমন বাবার সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত। এর আগে বাবা একুশে পদক পেয়েছিলেন, তখন আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। এবার তার স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে আমি ভাষাহীন। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার