০৭:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

গুটি কয়েক এনজিও হিন্দু ধর্ম নিয়ে চক্রান্ত করছে: নিরঞ্জন ভট্টাচার্য

মাহফুজ আনামরা হিন্দুদের ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় দাবি করে হিন্দু মহাজোটের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল বলেন, মাহফুজ আনামকে আপনারা জানেন, এক এগারোর সময় হাসিনা বাদ খালেদা বাদ, তারা নিজেরা কর্তৃত্ব করতে চান। মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম সব সময় দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছেন। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। এরা হিন্দুধর্ম ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

রবিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে হিন্দু ধর্মীয় আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল ধর্মীয় সংগঠনের সমন্বয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের সভাপতি কর্নেল (অব.) নিরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, গুটি কয়েক এনজিও হিন্দু ধর্ম নিয়ে চক্রান্ত করছে। ওইসব এনজিও কর্মীর বিচার চাই। কোনো ভাবেই আইন পরিবর্তনযোগ্য নয়। আমরা বিব্রত, সরকারকে বিব্রত করছে, স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে আনন্দ করার কথা, সেখানে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, হিন্দুধর্মে মতপথ রয়েছে, তবে বেদ সার্বভৌম, এর সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। একতাকে ধ্বংস করবো না। অন্যায়ভাবে ভাবে প্রচার করা হয় হিন্দুরা দ্বিধাবিভক্ত, আমরা একতাবদ্ধ। আমাদের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই।

হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী বলেছেন, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে হিন্দু আইন নিয়ে বড় চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত সুদূর প্রসারী। শোকের মাসে আমাদেরকে হিন্দু আইন নিয়ে প্রতিবাদী বক্তব্য দিতে হবে আমরা প্রত্যাশা করিনি। হিন্দু আইন নিয়ে কেউ কেউ পাঁয়তারা করছে। যারা এই আইনের সংস্কার চলছে তাদের মতলব কোথায় সেটি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এই আইনটির পরিবর্তন সরকারও চাচ্ছে না। অথচ কতিপয় এনজিও চাচ্ছে তাদের প্রয়োজনে।

তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবিটি নিয়ে যেতে হবে। আমার যারা আজ এখানে এসেছি তারা আরো সোচ্চার হতে হবে। আরো গতিশীল হতে হবে। আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সারা বাংলাদেশের যত হিন্দু সংগঠন রয়েছে সমস্ত সংগঠন কে একত্রিত করে আমরা আমাদের কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানাবো। তিনি নিশ্চয় আমাদেরকে সুরক্ষা দেবেন। আমাদের বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব তার। সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে আমাদের এই জাগরণ সীমাবদ্ধ নয়, হিন্দু সংগঠনগুলোর সমস্ত নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করব। মাহফুজ আনাম দের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবো। তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে, গতিময় হতে হবে। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

গুটি কয়েক এনজিও হিন্দু ধর্ম নিয়ে চক্রান্ত করছে: নিরঞ্জন ভট্টাচার্য

প্রকাশিত : ০১:১৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

মাহফুজ আনামরা হিন্দুদের ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় দাবি করে হিন্দু মহাজোটের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল বলেন, মাহফুজ আনামকে আপনারা জানেন, এক এগারোর সময় হাসিনা বাদ খালেদা বাদ, তারা নিজেরা কর্তৃত্ব করতে চান। মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম সব সময় দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকেছেন। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। এরা হিন্দুধর্ম ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

রবিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে হিন্দু ধর্মীয় আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল ধর্মীয় সংগঠনের সমন্বয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের সভাপতি কর্নেল (অব.) নিরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, গুটি কয়েক এনজিও হিন্দু ধর্ম নিয়ে চক্রান্ত করছে। ওইসব এনজিও কর্মীর বিচার চাই। কোনো ভাবেই আইন পরিবর্তনযোগ্য নয়। আমরা বিব্রত, সরকারকে বিব্রত করছে, স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে আনন্দ করার কথা, সেখানে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, হিন্দুধর্মে মতপথ রয়েছে, তবে বেদ সার্বভৌম, এর সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। একতাকে ধ্বংস করবো না। অন্যায়ভাবে ভাবে প্রচার করা হয় হিন্দুরা দ্বিধাবিভক্ত, আমরা একতাবদ্ধ। আমাদের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই।

হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী বলেছেন, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে হিন্দু আইন নিয়ে বড় চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত সুদূর প্রসারী। শোকের মাসে আমাদেরকে হিন্দু আইন নিয়ে প্রতিবাদী বক্তব্য দিতে হবে আমরা প্রত্যাশা করিনি। হিন্দু আইন নিয়ে কেউ কেউ পাঁয়তারা করছে। যারা এই আইনের সংস্কার চলছে তাদের মতলব কোথায় সেটি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এই আইনটির পরিবর্তন সরকারও চাচ্ছে না। অথচ কতিপয় এনজিও চাচ্ছে তাদের প্রয়োজনে।

তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবিটি নিয়ে যেতে হবে। আমার যারা আজ এখানে এসেছি তারা আরো সোচ্চার হতে হবে। আরো গতিশীল হতে হবে। আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সারা বাংলাদেশের যত হিন্দু সংগঠন রয়েছে সমস্ত সংগঠন কে একত্রিত করে আমরা আমাদের কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানাবো। তিনি নিশ্চয় আমাদেরকে সুরক্ষা দেবেন। আমাদের বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের সুরক্ষার দায়িত্ব তার। সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে আমাদের এই জাগরণ সীমাবদ্ধ নয়, হিন্দু সংগঠনগুলোর সমস্ত নেতৃত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করব। মাহফুজ আনাম দের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবো। তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে, গতিময় হতে হবে। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার