১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জন্মদিনে দোয়েলের প্রতি শ্রদ্ধা

জন্মদিনে প্রয়াত চিত্রনায়িকা দোয়েলের প্রতি শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পরিবারের । দোয়েল তার পর্দা নাম। ভালো নাম ইফতে আরা ডালিয়া। বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রায় বিস্মৃত এক নায়িকা। তবে, তার কন্যা দীঘিকে চেনেন প্রায় সকলেই। শিশু শিল্পী হিসেবেই তিনি পেয়েছিলেন তারকা খ্যাতি। দোয়েলের এই কন্যা ছিলেন প্রযোজক ও পরিচালকের কাছে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্না শিশু শিল্পী। এখন তিনি নায়িকা, তবে ছবি করেন খুব সচেতন ভাবে। হিসেব করে।
চলচ্চিত্রে দোয়েলের নায়িকা হয়ে পদার্পনের সময়ই উঠেছিলো আলোচনার ঝড়। পত্র পত্রিকা ছিলো সরগরম। কারণ ১৯৮৪ সালে, প্রথিতযশা পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, এই নতুন নায়িকাকে নিয়েছিলেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস নিয়ে নির্মিত “চন্দ্রনাথ” চলচ্চিত্রে। ছবিতে নাম ভূমিকা অর্থাৎ চন্দ্রনাথ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। তার বিপরীতে সরযূ চরিত্রে নতুন নায়িকা দোয়েল। “চন্দ্রনাথ” ছবি নির্মানের শুরুতেই বিষয়টি যেন বিস্ময় হয়ে দেখা দেয় চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট সকল মহলে।
কারণ ১৯৫৭ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস নিয়ে কোলকাতায় “চন্দ্রনাথ” চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন কার্তিক চট্টোপাধ্যায়। সেই ছবির নাম ভূমিকা অর্থাৎ চন্দ্রনাথ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার এবং সরযু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। তাই, চন্দ্রনাথ চরিত্রে নায়করাজ রাজ্জাক চাষী নজরুল ইসলামের সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলের কাছেই বিবেচিত হলেও, সরযু চরিত্রে একজন অচেনা নতুন নায়িকাকে নির্বাচন ছিলো প্রায় সকলের কাছেই বিস্ময়। সুচিত্রা সেনের অভিনয় করা চরিত্রে, দোয়েল নামের একজন নতুন নায়িকা, যেন চলচ্চিত্র বোদ্ধারা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য মনে করছিলেন না। না, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে সে সময়ের নতুন নায়িকা দোয়েলের তুলনা করার মত বালখিল্যতা আমি করবোনা। তবে, এটুকু বলা হয়তো বাতুলতা হবে না, নায়করাজ রাজ্জাক’র বিপরীতে সরযূ চরিত্রে দোয়েলের অভিনয় খারাপ লাগেনি। বরং উৎরে গেছিলেন। ঋদ্ধ দর্শকের প্রশংসা পেয়েছিলো চাষী নজরুল ইসলামের “চন্দ্রনাথ”।
এ দেশে চলচ্চিত্র শিল্পের চিরাচরিত নিয়মেই যেন প্রযোজক ও পরিচালকদের ঢল নামে নতুন নায়িকা দোয়েলকে নিয়ে ছবি বানানোর জন্য। পাশাপাশি সুন্দরী এবং ভালো অভিনয়ের সুবাদে তার ভক্তের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। ১৯৮৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সুদর্শন নায়ক সুব্রত চক্রবর্তীকে। বিয়ের আগে সুব্রত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি নিজের নাম রাখেন শাহরুখ ফারদিন সুব্রত। বিয়ের পর অনেকেই ভেবেছিলেন দোয়েলের অগ্রযাত্রা হয়তো বিঘ্নিত হবে। কিন্তু, সাময়িক থমকে গেলেও বিয়ের পরও দোয়েল ব্যাস্ত থেকেছেন অভিনয়ে। একটি ছবি প্রযোজনাও করছিলেন। কিন্তু, প্রায় শতাধিক ছবির নায়িকা দোয়েল ২০০৯ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে থমকে গেলেন। প্রায় দুই বছর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রয়াত হন তিনি। আজ দোয়েলের জন্মদিন। ১৯৬৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন দোয়েল।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

জন্মদিনে দোয়েলের প্রতি শ্রদ্ধা

প্রকাশিত : ০৩:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

জন্মদিনে প্রয়াত চিত্রনায়িকা দোয়েলের প্রতি শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা আজকের বিজনেস বাংলাদেশ পরিবারের । দোয়েল তার পর্দা নাম। ভালো নাম ইফতে আরা ডালিয়া। বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রায় বিস্মৃত এক নায়িকা। তবে, তার কন্যা দীঘিকে চেনেন প্রায় সকলেই। শিশু শিল্পী হিসেবেই তিনি পেয়েছিলেন তারকা খ্যাতি। দোয়েলের এই কন্যা ছিলেন প্রযোজক ও পরিচালকের কাছে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্না শিশু শিল্পী। এখন তিনি নায়িকা, তবে ছবি করেন খুব সচেতন ভাবে। হিসেব করে।
চলচ্চিত্রে দোয়েলের নায়িকা হয়ে পদার্পনের সময়ই উঠেছিলো আলোচনার ঝড়। পত্র পত্রিকা ছিলো সরগরম। কারণ ১৯৮৪ সালে, প্রথিতযশা পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, এই নতুন নায়িকাকে নিয়েছিলেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস নিয়ে নির্মিত “চন্দ্রনাথ” চলচ্চিত্রে। ছবিতে নাম ভূমিকা অর্থাৎ চন্দ্রনাথ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। তার বিপরীতে সরযূ চরিত্রে নতুন নায়িকা দোয়েল। “চন্দ্রনাথ” ছবি নির্মানের শুরুতেই বিষয়টি যেন বিস্ময় হয়ে দেখা দেয় চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট সকল মহলে।
কারণ ১৯৫৭ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস নিয়ে কোলকাতায় “চন্দ্রনাথ” চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন কার্তিক চট্টোপাধ্যায়। সেই ছবির নাম ভূমিকা অর্থাৎ চন্দ্রনাথ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার এবং সরযু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন। তাই, চন্দ্রনাথ চরিত্রে নায়করাজ রাজ্জাক চাষী নজরুল ইসলামের সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলের কাছেই বিবেচিত হলেও, সরযু চরিত্রে একজন অচেনা নতুন নায়িকাকে নির্বাচন ছিলো প্রায় সকলের কাছেই বিস্ময়। সুচিত্রা সেনের অভিনয় করা চরিত্রে, দোয়েল নামের একজন নতুন নায়িকা, যেন চলচ্চিত্র বোদ্ধারা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য মনে করছিলেন না। না, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে সে সময়ের নতুন নায়িকা দোয়েলের তুলনা করার মত বালখিল্যতা আমি করবোনা। তবে, এটুকু বলা হয়তো বাতুলতা হবে না, নায়করাজ রাজ্জাক’র বিপরীতে সরযূ চরিত্রে দোয়েলের অভিনয় খারাপ লাগেনি। বরং উৎরে গেছিলেন। ঋদ্ধ দর্শকের প্রশংসা পেয়েছিলো চাষী নজরুল ইসলামের “চন্দ্রনাথ”।
এ দেশে চলচ্চিত্র শিল্পের চিরাচরিত নিয়মেই যেন প্রযোজক ও পরিচালকদের ঢল নামে নতুন নায়িকা দোয়েলকে নিয়ে ছবি বানানোর জন্য। পাশাপাশি সুন্দরী এবং ভালো অভিনয়ের সুবাদে তার ভক্তের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। ১৯৮৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সুদর্শন নায়ক সুব্রত চক্রবর্তীকে। বিয়ের আগে সুব্রত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি নিজের নাম রাখেন শাহরুখ ফারদিন সুব্রত। বিয়ের পর অনেকেই ভেবেছিলেন দোয়েলের অগ্রযাত্রা হয়তো বিঘ্নিত হবে। কিন্তু, সাময়িক থমকে গেলেও বিয়ের পরও দোয়েল ব্যাস্ত থেকেছেন অভিনয়ে। একটি ছবি প্রযোজনাও করছিলেন। কিন্তু, প্রায় শতাধিক ছবির নায়িকা দোয়েল ২০০৯ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে থমকে গেলেন। প্রায় দুই বছর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রয়াত হন তিনি। আজ দোয়েলের জন্মদিন। ১৯৬৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন দোয়েল।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ