১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নাঙ্গলকোটে আখ চাষে নতুন সম্ভবনার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ২’শ হেক্টর জমিতে এবার আখ চাষ করেছেন কৃষকরা। ধান চাষে খরচ বেশী হওয়ায় বিকল্প চাষ হিসেবে আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন তারা।

‘অপরদিকে উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম নিজেই জানেন না এবার কত হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে। তিনি সব সময় অফিসের মিটিং ও ফটো শেসন নিয়ে ব্যাস্থ থাকেন। কৃষককের সঙ্গেই নেই কোনো তার সম্পর্ক। অনেক কৃষক কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলামকে চিনেন না। আজকেই তার নাম সুনেছেন। তিনি ব্যাস্থ থাকেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রচারণায় নিয়ে। এতে করে কৃষি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকরা। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন অষধ দোকান থেকে পরামর্শ নিয়ে আখ চাষ করছেন তারা।’

গত বৃহস্প্রতিবার থেকে সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ মৌসুমে পুরো উপজেলা জুড়ে ২০৮, ১২০৮ ও রং বিলাস জাতের আখ বেশি চাষ করছেন। এ সকল জমিতে গত মৌসুমেও ধান চাষ করতেন। শ্রমিক সংকট ও লাভ কম হওয়াই ধান চাষ বন্ধ করে দেন। কম খরচে লাভ জনক হওয়া বিকল্প চাষ হিসেবে আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষক।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় আখের আবাদ বেড়েছে। চলতি বছর কৃষকরা আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য দেখছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভালো ফলনও হয়েছে। এবার আগাম ফলন আসলে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে আশাবাদী তারা। সেই জন্য আখের জমিতে পরিচযায় নিয়ে ব্যাস্থ সময় কাটছেন।

‘কৃষি অফিসের একটি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর হাতেগণা নাম মাত্র কয়েক জন কৃষক প্রনোদনা পায়। যা রাজনীতি করার করণে। আবার বছর গুরলেই তারাই পুনরায় প্রনোদনা পান। কিন্তু প্রকৃত কৃষক এসব প্রনোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
এ বিষয়ে পৌর সদরের বাতুপাড়া গ্রামের আখ চাষি ইউনুস মিয়া বলেন, এ বছর তিনি ৩৬ শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন। জমি তৈরি, চারা কেনা, শ্রমিক, সার, কীটনাশকসহ প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। আশা করছেন তিনি ভালো ফলন হলে ৫ লাখ টাকার অধিক আখ বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে তিনি আখের পরিচর্যা করছেন। তবে কৃষি অফিসের কোন লোকজনের দেখা ও পরামর্শ পাননি। কীটনাশক দোকানের পরামর্শে সার অষুধ দিচ্ছেন।

দৈয়ারা গ্রামের আখ চাষি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি ৩০ শতক জমিতে আখ চাষ করছেন। বাজারে আখের দাম বেশ ভালো। আশা করছি আমি লাভবান হতে পারব। গত ১০ বছর ধরে আখ চাষ করছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের প্রনোদনা পাননি বা কৃষি অফিসার কেও চিনেন না তিনি।

বাংগড্ডা গ্রামের উত্তর পাড়ার কামাল বলেন, ধান চাষ করতেন। খরচের সঙ্গে কোন মিল নেই। লোকসান গুনতে হয় সব সময়। তাই এবার আখ চাষ করছি। কৃষি অফিসের পরামর্শ বা সহয়াতা পাননি।

বাংগড্ডা ইউপি বøকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মো: মোস্তফা কামাল বলেন, এবার এ ইউপিতে ৪-৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে। তবে সেবা তো দুরের কথা, কোন জাতের আখ চাষ হচ্ছে সেটাই তিনি জানেন না।

উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলামের মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি জানান, নাঙ্গলকোটে কত হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে তার জানা নেই

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

নাঙ্গলকোটে আখ চাষে নতুন সম্ভবনার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

প্রকাশিত : ০৪:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ২’শ হেক্টর জমিতে এবার আখ চাষ করেছেন কৃষকরা। ধান চাষে খরচ বেশী হওয়ায় বিকল্প চাষ হিসেবে আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন তারা।

‘অপরদিকে উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম নিজেই জানেন না এবার কত হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে। তিনি সব সময় অফিসের মিটিং ও ফটো শেসন নিয়ে ব্যাস্থ থাকেন। কৃষককের সঙ্গেই নেই কোনো তার সম্পর্ক। অনেক কৃষক কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলামকে চিনেন না। আজকেই তার নাম সুনেছেন। তিনি ব্যাস্থ থাকেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রচারণায় নিয়ে। এতে করে কৃষি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকরা। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন অষধ দোকান থেকে পরামর্শ নিয়ে আখ চাষ করছেন তারা।’

গত বৃহস্প্রতিবার থেকে সরেজমিন ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ মৌসুমে পুরো উপজেলা জুড়ে ২০৮, ১২০৮ ও রং বিলাস জাতের আখ বেশি চাষ করছেন। এ সকল জমিতে গত মৌসুমেও ধান চাষ করতেন। শ্রমিক সংকট ও লাভ কম হওয়াই ধান চাষ বন্ধ করে দেন। কম খরচে লাভ জনক হওয়া বিকল্প চাষ হিসেবে আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষক।
এদিকে গত কয়েক বছর ধরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় আখের আবাদ বেড়েছে। চলতি বছর কৃষকরা আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য দেখছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভালো ফলনও হয়েছে। এবার আগাম ফলন আসলে ভালো দাম পাওয়া নিয়ে আশাবাদী তারা। সেই জন্য আখের জমিতে পরিচযায় নিয়ে ব্যাস্থ সময় কাটছেন।

‘কৃষি অফিসের একটি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর হাতেগণা নাম মাত্র কয়েক জন কৃষক প্রনোদনা পায়। যা রাজনীতি করার করণে। আবার বছর গুরলেই তারাই পুনরায় প্রনোদনা পান। কিন্তু প্রকৃত কৃষক এসব প্রনোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
এ বিষয়ে পৌর সদরের বাতুপাড়া গ্রামের আখ চাষি ইউনুস মিয়া বলেন, এ বছর তিনি ৩৬ শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন। জমি তৈরি, চারা কেনা, শ্রমিক, সার, কীটনাশকসহ প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। আশা করছেন তিনি ভালো ফলন হলে ৫ লাখ টাকার অধিক আখ বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমানে তিনি আখের পরিচর্যা করছেন। তবে কৃষি অফিসের কোন লোকজনের দেখা ও পরামর্শ পাননি। কীটনাশক দোকানের পরামর্শে সার অষুধ দিচ্ছেন।

দৈয়ারা গ্রামের আখ চাষি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি ৩০ শতক জমিতে আখ চাষ করছেন। বাজারে আখের দাম বেশ ভালো। আশা করছি আমি লাভবান হতে পারব। গত ১০ বছর ধরে আখ চাষ করছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের প্রনোদনা পাননি বা কৃষি অফিসার কেও চিনেন না তিনি।

বাংগড্ডা গ্রামের উত্তর পাড়ার কামাল বলেন, ধান চাষ করতেন। খরচের সঙ্গে কোন মিল নেই। লোকসান গুনতে হয় সব সময়। তাই এবার আখ চাষ করছি। কৃষি অফিসের পরামর্শ বা সহয়াতা পাননি।

বাংগড্ডা ইউপি বøকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মো: মোস্তফা কামাল বলেন, এবার এ ইউপিতে ৪-৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে। তবে সেবা তো দুরের কথা, কোন জাতের আখ চাষ হচ্ছে সেটাই তিনি জানেন না।

উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলামের মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি জানান, নাঙ্গলকোটে কত হেক্টর জমিতে আখ চাষ হচ্ছে তার জানা নেই