০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিকে প্রধান খালের ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ \ কর্তৃপক্ষ নিরব

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া – কাদেরপুর এলাকার গঙ্গা কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের প্রধান খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচলের পাশাপাশি ছোট ছোট যান বাহন গাড়ী চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষের এখনো নজরে পড়ছেনা। ইতিমধ্যে বালু বোঝায় একটি ট্রলি নিয়ে পার হতে গিয়ে ব্রিজ ভেঙে আটকে পড়েলে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত পারাপারে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঝুকিপূর্ন ব্রিজটি দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। বর্তমানে বাঁশ দিয়ে ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে কনো রকমে স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা ঝঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত ছোট যানবাহন এবং আশপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। কয়েকবছর ধরে ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে মাঝ বরাবরসহ বিভিন্ন অংশে ব্রিজটির ¯ø্যাব ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এরইমধ্যে বালু বোঝায় একটি ট্রলি পারাপারের সময় আটকে যায়। এ ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় বাজার থেকে পরিবহন করে কোনো মালামাল আনা নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এতে বিভিন্ন সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য বার বার জানিয়েও নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ অনেক কষ্ট করে আসা যাওয়া করে এ ব্রিজ দিয়ে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এখানে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ব্রিজটি মেরামতের দাবী জানান তারা। ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান মামুন বলেন, বিভিন্ন সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ব্রিজ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। নতুন ব্রিজটি নির্মাণ হলে হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানানো হয়েছে। তাঁরা দ্রুতই ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার নজরে ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুতই ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

জিকে প্রধান খালের ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ \ কর্তৃপক্ষ নিরব

প্রকাশিত : ০৩:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া – কাদেরপুর এলাকার গঙ্গা কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের প্রধান খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচলের পাশাপাশি ছোট ছোট যান বাহন গাড়ী চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষের এখনো নজরে পড়ছেনা। ইতিমধ্যে বালু বোঝায় একটি ট্রলি নিয়ে পার হতে গিয়ে ব্রিজ ভেঙে আটকে পড়েলে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত পারাপারে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঝুকিপূর্ন ব্রিজটি দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। বর্তমানে বাঁশ দিয়ে ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে কনো রকমে স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা ঝঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে শত শত ছোট যানবাহন এবং আশপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। কয়েকবছর ধরে ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে মাঝ বরাবরসহ বিভিন্ন অংশে ব্রিজটির ¯ø্যাব ভেঙে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এরইমধ্যে বালু বোঝায় একটি ট্রলি পারাপারের সময় আটকে যায়। এ ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় বাজার থেকে পরিবহন করে কোনো মালামাল আনা নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এতে বিভিন্ন সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য বার বার জানিয়েও নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ অনেক কষ্ট করে আসা যাওয়া করে এ ব্রিজ দিয়ে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এখানে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ব্রিজটি মেরামতের দাবী জানান তারা। ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান মামুন বলেন, বিভিন্ন সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ব্রিজ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। নতুন ব্রিজটি নির্মাণ হলে হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানানো হয়েছে। তাঁরা দ্রুতই ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার নজরে ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুতই ব্রিজ নির্মাণের চেষ্টা করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব