১১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

স্বর্ণযুগ পার করছে বিআরটিসি- তাইজুল ইসলাম

পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর স্বর্ণযুগ চলছে বলে দাবি করেছে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম। বিআরটিসিতে এই প্রথম চেয়ারম্যান যিনি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রকার টাকা না নিয়ে নিজস্ব আয় থেকে খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে বিআরটিসিকে এক অনন্য উচ্চতায় নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বিআরটিসির সভাকক্ষে গণমামাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের সময় চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তাইজুল ইসলাম বিআরটিসিতে যোগদানের পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় ‘আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন’ এর লক্ষ্য নিয়ে যে কাজ শুরু করেছিলেন সেটির ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রেখেছেন।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, একটা সময় বিআরটিসির গাড়ি তেমন একটা রাস্তায় ছিলো না। এখন যে রাস্তাতেই যাবেন বিআরটিসি গাড়ি দেখতে পাবেন। রাস্তায় ছবি তুলতে গেলেই বিআরটিসি চোখে পরে। বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য সামনে আরও ৬শত লোককে নিয়োগ দেব। এভাবেই আমরা বেকারত্ব হ্রাস করছি যা বিআরটিসির ইতিহাসে অকল্পনীয়। দীর্ঘ ২৩ বছরে কোনদিন বিনোদন ভাতা দেয়া হতো না এখন আমরা দিচ্ছি। একটা সময় ম্যানেজমেন্টের জটিলতা ছিল এখন নেই। এখন প্রশিক্ষণের মাত্রাও আগের চেয়ে অনেক উন্নত, কারিগরদের অনেক ভালো প্রশিক্ষণের কারণে আমরা এক দিনেই ছাদখোলা বাস তৈরি করতে পেরেছিলাম। আমরা এখন নাভানা, আকিজের মত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি।

তাইজুল ইসলাম আরও বলেন, বিগত আড়াই বছরে বিআরটিসির যে সকল অর্জন ছিল সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বর্তমানে প্রধান কার্যালয়সহ ডিপো ও ইউনিটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা নিজস্ব আয় থেকে প্রতি মাসের ১ তারিখে পরিশোধ করা হয়। বর্তমানে তিন মাস পর পর গ্র্যাচুইটি সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা অনলাইনে পরিশোধ করা হচ্ছে। গত ২ বছরে সিপি ফান্ড, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়ন বাবদ ১ হাজার ১৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মোট ৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৪ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান যোগদানের পূর্ববর্তী সময়ের বকেয়া বেতন বাবদ ২ বছরে মোট ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ৬৬৩ টাকা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করা হয়েছে। কল্যাণ তহবিল নীতিমালা ২০২২ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২২ সালে কল্যাণ তহবিল ও শিক্ষা সহায়তা তহবিল খাতে মোট ১৮৪ জনকে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। সাফ জয়ী নারী ফুটবল খেলোয়াড়দের বরণের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজস্ব দক্ষ কারিগর দ্বারা ছাদ খোলা বাস প্রস্তুত করা হয়, যা বর্তমান চেয়ারম্যান, বিআরটিসি’র যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিআরটিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৪৭৯৪ জন ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬৯৬২ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। বিটিআরসি-ইসিআইপি প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১০৫৮৩ জন ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৫৭৪৯ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন পদে মোট ৭৪০ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পদে ১৩৮ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনায় অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে ২৬৭ জন চালক-সি’কে চালক-বি পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিআরটিসির ১০টি বাসে প্রাথমিক ভাবে চালকদের জন্য ফ্যাটিগ সতর্কীকরণ ডিভাইস সংযোজন করা হয়েছে। প্রথমবারের মত দপ্তর/সংস্থা প্রধান হিসেবে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে চেয়ারম্যান, বিআরটিসি শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএতে) তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থা সমূহের মধ্যে বিআরটিসি ১ম স্থান অর্জন করে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগের সুবিধার্থে ২১টি জেলার ২৩টি রুটে ৬০টি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিআরটিসির পর্ষদ গঠন ও কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়েছে। বর্তমান গাড়ির নম্বর অনুসারে মেরামত বাজেট প্রদান করা হয় এবং যথাযথ ভাবে মনিটরিং করা হয়। পুরোনো গাড়ি নিলাম বিক্রয়ের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১ বছরে ২টি লটে ২৯৪টি বাস নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানে ৬০৬টি গাড়ি ভারী মেরামত করে বিআরটিসির গাড়িবহরে সংযুক্ত করে রাজস্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রত্যেক ডিপো বা ইউনিটে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে যা দ্বারা ভারী মেরামতের কার্যক্রম চলমান আছে। বর্তমানে কারিগর নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষ করে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসি’র গাজীপুর কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
বর্তমানে বিআরটিসির বহরে সচল বাস সংখ্যা প্রায় ১৩৫০ টি। বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পেট্রোল পাম্পগুলো সচল করা হয়েছে। যার ফলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও জ্বালানি খাতে ব্যয় সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে ১৯১টি এসি বাসে আনলিমিটেড ডরভর সুবিধা চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ১ হাজার দুইশ’র বেশি গাড়িতে ভিটিএস (ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম) প্রক্রিয়ার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নেওয়া হয়েছে আরও অনেক উদ্যোগ।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম বলেন, আমারা শ্রমিক ও ড্রাইভারদের সুরক্ষার গুরুত্ব দিচ্ছি। কোন শ্রমিক মারা গেলে বা আহত হলে তাদেরকে কল্যাণ তহবিল থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। আগে কেউ মারা গেলে ১৫ হাজারের উপর দেয়া হয়নি। এখন কেউ অবসরে গেলে আমাদের পক্ষ থেকে মাত্র ১ মাসের মধ্যে তা পরিশোধ করা হচ্ছে। আমাদের পূর্ববর্তীদের দায় আমি এড়াতে পারিনা। আমরা এখন সেই যায়গা থেকে ফিরে এসে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার চেষ্টা করছি। এই লাল বাসের মায়া জনগণের যেমন আছে, তেমনি আমি যতদিন রয়েছি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিআরটিসির উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকবে।

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

স্বর্ণযুগ পার করছে বিআরটিসি- তাইজুল ইসলাম

প্রকাশিত : ০৯:০০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর স্বর্ণযুগ চলছে বলে দাবি করেছে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম। বিআরটিসিতে এই প্রথম চেয়ারম্যান যিনি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রকার টাকা না নিয়ে নিজস্ব আয় থেকে খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে বিআরটিসিকে এক অনন্য উচ্চতায় নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বিআরটিসির সভাকক্ষে গণমামাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের সময় চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তাইজুল ইসলাম বিআরটিসিতে যোগদানের পর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় ‘আয় বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন ও যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন’ এর লক্ষ্য নিয়ে যে কাজ শুরু করেছিলেন সেটির ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রেখেছেন।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, একটা সময় বিআরটিসির গাড়ি তেমন একটা রাস্তায় ছিলো না। এখন যে রাস্তাতেই যাবেন বিআরটিসি গাড়ি দেখতে পাবেন। রাস্তায় ছবি তুলতে গেলেই বিআরটিসি চোখে পরে। বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য সামনে আরও ৬শত লোককে নিয়োগ দেব। এভাবেই আমরা বেকারত্ব হ্রাস করছি যা বিআরটিসির ইতিহাসে অকল্পনীয়। দীর্ঘ ২৩ বছরে কোনদিন বিনোদন ভাতা দেয়া হতো না এখন আমরা দিচ্ছি। একটা সময় ম্যানেজমেন্টের জটিলতা ছিল এখন নেই। এখন প্রশিক্ষণের মাত্রাও আগের চেয়ে অনেক উন্নত, কারিগরদের অনেক ভালো প্রশিক্ষণের কারণে আমরা এক দিনেই ছাদখোলা বাস তৈরি করতে পেরেছিলাম। আমরা এখন নাভানা, আকিজের মত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি।

তাইজুল ইসলাম আরও বলেন, বিগত আড়াই বছরে বিআরটিসির যে সকল অর্জন ছিল সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বর্তমানে প্রধান কার্যালয়সহ ডিপো ও ইউনিটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা নিজস্ব আয় থেকে প্রতি মাসের ১ তারিখে পরিশোধ করা হয়। বর্তমানে তিন মাস পর পর গ্র্যাচুইটি সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা অনলাইনে পরিশোধ করা হচ্ছে। গত ২ বছরে সিপি ফান্ড, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়ন বাবদ ১ হাজার ১৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মোট ৩৭ কোটি ৫৮ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৪ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান যোগদানের পূর্ববর্তী সময়ের বকেয়া বেতন বাবদ ২ বছরে মোট ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ৬৬৩ টাকা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে পরিশোধ করা হয়েছে। কল্যাণ তহবিল নীতিমালা ২০২২ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২২ সালে কল্যাণ তহবিল ও শিক্ষা সহায়তা তহবিল খাতে মোট ১৮৪ জনকে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। সাফ জয়ী নারী ফুটবল খেলোয়াড়দের বরণের জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজস্ব দক্ষ কারিগর দ্বারা ছাদ খোলা বাস প্রস্তুত করা হয়, যা বর্তমান চেয়ারম্যান, বিআরটিসি’র যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিআরটিসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৪৭৯৪ জন ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬৯৬২ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। বিটিআরসি-ইসিআইপি প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১০৫৮৩ জন ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৫৭৪৯ জন নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
বর্তমানে বিভিন্ন পদে মোট ৭৪০ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পদে ১৩৮ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান। চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনায় অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে ২৬৭ জন চালক-সি’কে চালক-বি পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিআরটিসির ১০টি বাসে প্রাথমিক ভাবে চালকদের জন্য ফ্যাটিগ সতর্কীকরণ ডিভাইস সংযোজন করা হয়েছে। প্রথমবারের মত দপ্তর/সংস্থা প্রধান হিসেবে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে চেয়ারম্যান, বিআরটিসি শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএতে) তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থা সমূহের মধ্যে বিআরটিসি ১ম স্থান অর্জন করে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগের সুবিধার্থে ২১টি জেলার ২৩টি রুটে ৬০টি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিআরটিসির পর্ষদ গঠন ও কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়েছে। বর্তমান গাড়ির নম্বর অনুসারে মেরামত বাজেট প্রদান করা হয় এবং যথাযথ ভাবে মনিটরিং করা হয়। পুরোনো গাড়ি নিলাম বিক্রয়ের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১ বছরে ২টি লটে ২৯৪টি বাস নিলামে বিক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানে ৬০৬টি গাড়ি ভারী মেরামত করে বিআরটিসির গাড়িবহরে সংযুক্ত করে রাজস্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রত্যেক ডিপো বা ইউনিটে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে যা দ্বারা ভারী মেরামতের কার্যক্রম চলমান আছে। বর্তমানে কারিগর নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষ করে তোলা হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসি’র গাজীপুর কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
বর্তমানে বিআরটিসির বহরে সচল বাস সংখ্যা প্রায় ১৩৫০ টি। বিআরটিসির বিভিন্ন বাস ডিপোতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পেট্রোল পাম্পগুলো সচল করা হয়েছে। যার ফলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও জ্বালানি খাতে ব্যয় সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে ১৯১টি এসি বাসে আনলিমিটেড ডরভর সুবিধা চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ১ হাজার দুইশ’র বেশি গাড়িতে ভিটিএস (ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম) প্রক্রিয়ার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নেওয়া হয়েছে আরও অনেক উদ্যোগ।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম বলেন, আমারা শ্রমিক ও ড্রাইভারদের সুরক্ষার গুরুত্ব দিচ্ছি। কোন শ্রমিক মারা গেলে বা আহত হলে তাদেরকে কল্যাণ তহবিল থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। আগে কেউ মারা গেলে ১৫ হাজারের উপর দেয়া হয়নি। এখন কেউ অবসরে গেলে আমাদের পক্ষ থেকে মাত্র ১ মাসের মধ্যে তা পরিশোধ করা হচ্ছে। আমাদের পূর্ববর্তীদের দায় আমি এড়াতে পারিনা। আমরা এখন সেই যায়গা থেকে ফিরে এসে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখার চেষ্টা করছি। এই লাল বাসের মায়া জনগণের যেমন আছে, তেমনি আমি যতদিন রয়েছি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিআরটিসির উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকবে।