০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ছিল নিষ্ঠুর জঘন্যতম: ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এ দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বঙ্গবন্ধু দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তখনই স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ছিল ইতহাসের নিষ্ঠুর জঘন্যতম।
১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি এ কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার কথা ছিল একটি অনুষ্ঠানে। সেদিন আমারও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার কথা ছিল। তখন আমি ইডেন কলেজের ছাত্রী। সকালে গোসল করতেছি হঠাৎ কইরা আমার পাশের রুমের ফৌজিয়া বাথরুমের দরজার ধাক্কাইতে ছিল আর বলছে ইন্দিরা ইন্দিরা তাড়াতাড়ি আসো বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছে। আমি তখন রুমে এসে রেডিওতে শুনতে পাই সম্ভবত অ্যানাউন্স করতেছিল ডালিম।
আজ সেই ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, জাতীয় কালো দিবস, স্বজন হারানোর দিবস, বাঙালি জাতির জীবনের কলঙ্কময় দিন আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর পুত্র দয়, আমার ছাত্র রাজনীতির শিক্ষা গুরু বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাগিনা যুবনেতা শেখ মনি তার অন্ত:সত্তা স্ত্রী বেগম আরজু মনি, সেরনিয়াবাত, কর্ণেল জামিল, বেবি সেরনিয়াবাত, আব্দুল নাইম খান রিন্টু, আরিফ সেরনিয়াবাত,সুকান্ত আব্দুল্লাহকে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ছিল নিষ্ঠুর জঘন্যতম হত্যাকান্ড। যেটা নাকি পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের স্থপতি কে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে দেশটি।

তাই মহান মুক্তিযুদ্ধ পরাজয়ের গ্নানি মোচন করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকান্ড। এই পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্রনায়ক অনেক রাষ্ট্রপ্রধান অনেক সরকার প্রধান হত্যা করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী, লুথার কিং, আব্রাহাম লিংকনসহ অনেককেই হত্যা করেছে। কিন্তু এভাবে সপরিবারে কোন নেতাকে হত্যা করা হয়নি। এমন নেতাকে আমরা কোনদিন ভুলবনা। মনে রাখবে সারা বিশ্ব।
সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক তিনি বলেন, জাতির পিতা তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে চিরকাল বেচে থাকবেন। জাতির পিতা নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। নারী উন্নয়নে জাতির পিতা সংবিধানে স্থান করে দিয়েছে, নারীদের রাজনীতিতে অবদান রাখা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পাশে ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার সময় বিরঙ্গনাদের তিনি সন্মানিত করেছে। বঙ্গবন্ধু নারীদের চাকরির জন্য ১০ শতাংশ কোঠার ব্যবস্থা করেন। মন্ত্রী সভায় ২ জন প্রতিনিধিসহ নারীদের নানা প্রয়োজন তিনি পুরন করেছেন। আর সেই অবদান আরও তরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইভাবে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্টের শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

জনপ্রিয়

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ছিল নিষ্ঠুর জঘন্যতম: ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

প্রকাশিত : ০৪:৩৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এ দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বঙ্গবন্ধু দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তখনই স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ছিল ইতহাসের নিষ্ঠুর জঘন্যতম।
১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি এ কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার কথা ছিল একটি অনুষ্ঠানে। সেদিন আমারও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার কথা ছিল। তখন আমি ইডেন কলেজের ছাত্রী। সকালে গোসল করতেছি হঠাৎ কইরা আমার পাশের রুমের ফৌজিয়া বাথরুমের দরজার ধাক্কাইতে ছিল আর বলছে ইন্দিরা ইন্দিরা তাড়াতাড়ি আসো বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলেছে। আমি তখন রুমে এসে রেডিওতে শুনতে পাই সম্ভবত অ্যানাউন্স করতেছিল ডালিম।
আজ সেই ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, জাতীয় কালো দিবস, স্বজন হারানোর দিবস, বাঙালি জাতির জীবনের কলঙ্কময় দিন আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি স্মরণ করছি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর পুত্র দয়, আমার ছাত্র রাজনীতির শিক্ষা গুরু বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাগিনা যুবনেতা শেখ মনি তার অন্ত:সত্তা স্ত্রী বেগম আরজু মনি, সেরনিয়াবাত, কর্ণেল জামিল, বেবি সেরনিয়াবাত, আব্দুল নাইম খান রিন্টু, আরিফ সেরনিয়াবাত,সুকান্ত আব্দুল্লাহকে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ছিল নিষ্ঠুর জঘন্যতম হত্যাকান্ড। যেটা নাকি পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের স্থপতি কে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে দেশটি।

তাই মহান মুক্তিযুদ্ধ পরাজয়ের গ্নানি মোচন করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকান্ড। এই পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্রনায়ক অনেক রাষ্ট্রপ্রধান অনেক সরকার প্রধান হত্যা করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধী, লুথার কিং, আব্রাহাম লিংকনসহ অনেককেই হত্যা করেছে। কিন্তু এভাবে সপরিবারে কোন নেতাকে হত্যা করা হয়নি। এমন নেতাকে আমরা কোনদিন ভুলবনা। মনে রাখবে সারা বিশ্ব।
সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক তিনি বলেন, জাতির পিতা তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে চিরকাল বেচে থাকবেন। জাতির পিতা নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। নারী উন্নয়নে জাতির পিতা সংবিধানে স্থান করে দিয়েছে, নারীদের রাজনীতিতে অবদান রাখা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পাশে ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার সময় বিরঙ্গনাদের তিনি সন্মানিত করেছে। বঙ্গবন্ধু নারীদের চাকরির জন্য ১০ শতাংশ কোঠার ব্যবস্থা করেন। মন্ত্রী সভায় ২ জন প্রতিনিধিসহ নারীদের নানা প্রয়োজন তিনি পুরন করেছেন। আর সেই অবদান আরও তরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইভাবে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্টের শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।