রাজধানীর আরামবাগে শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ করার সুযোগ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীও আগামীকাল রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বিবৃতিতে এই কর্মসূটি ঘোষণা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম। মহাসমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জামায়াত হরতাল ডেকেছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে পুলিশের ‘হামলার প্রতিবাদে’ এ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। তখনই ধারণা করা হয়েছিল, জামায়াত হরতালে সমর্থন দিতে পারে। কিন্তু দলটির সূত্র জানিয়েছে, শুধু সমর্থন দিলে বিএনপির কাছে ভুল বার্তা যেত। বহু দিন পর কাছাকাছি আসা সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হত। তাই জামায়াতও দলীয়ভাবে হরতাল ডেকেছে।
অভিযোগ করে দলটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহাসমাবেশ বানচাল করার হীন উদ্দেশে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শনিবার জামায়াত এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। সভা-মিছিল করা রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। জামায়াতের মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ বেআইনি, অগণতান্ত্রিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি ছাড়াও বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা এবং জামায়াতের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধা ও মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার শান্তিপূর্ণ হরতাল হবে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ