০৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪

চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচর ও চরকুকরী-মুকরী ইউনিয়নের চর পাতিলা গ্রামে অতি জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। রোববার (২৬ মে) দুপুরে ঢালচর ও চরপাতিলা, মুজিব নগর ইউনিয়নের সিকদার চরের বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পরেছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এলাকার মানুষের মধ্যে।

ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সালাম হাওলাদার জানান, ঢালচর ইউনিয়ন ও চর-পাতিলায় বেড়িবাঁধ না থাকায় অতি জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে মানুষের বসত ঘর। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষকের রবিশষ্য। জোয়ারের তান্ডবে এসব ইউনিয়নের কাঁচা ও পাকা রাস্তার উপর দিয়ে ¯্রােত বয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গেছে। পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। প্লাবিত ইউনিয়নের বেশীরভাগ ঘরভিটার উপর দিয়ে ¯্রােত গড়িয়ে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পরেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। জোয়ারের প্রবল টান আর ঢেউয়ের তোপে সাগরে ভেসে গেছে ঢালচরের শতশত গবাদি পশু। বেশীরভাগ বির্স্তীর্ণ এলাকার মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছেন। আকাশ মেঘছন্ন থাকার কারনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে এসব এলাকার সাধারন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রচার প্রচারনা চালনো হচ্ছে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরিন হক জানান, ঢালচর ইউনিয়ন ও চরপাতিলায় বেড়িবাধ না থাকায় অতি জোয়ারে এসব এলাকার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ২১ টি ইউনিয়নে ঘূর্নিঝড় মেকাবেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাধারন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য চালানো হয়েছে প্রচার প্রচারনা। ১৬৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রোববার দুপুরে এসব প্লাবিত এলাকার জনসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশিত : ১০:০৬:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচর ও চরকুকরী-মুকরী ইউনিয়নের চর পাতিলা গ্রামে অতি জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। রোববার (২৬ মে) দুপুরে ঢালচর ও চরপাতিলা, মুজিব নগর ইউনিয়নের সিকদার চরের বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পরেছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এলাকার মানুষের মধ্যে।

ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সালাম হাওলাদার জানান, ঢালচর ইউনিয়ন ও চর-পাতিলায় বেড়িবাঁধ না থাকায় অতি জোয়ারে এসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে মানুষের বসত ঘর। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষকের রবিশষ্য। জোয়ারের তান্ডবে এসব ইউনিয়নের কাঁচা ও পাকা রাস্তার উপর দিয়ে ¯্রােত বয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গেছে। পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। প্লাবিত ইউনিয়নের বেশীরভাগ ঘরভিটার উপর দিয়ে ¯্রােত গড়িয়ে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পরেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। জোয়ারের প্রবল টান আর ঢেউয়ের তোপে সাগরে ভেসে গেছে ঢালচরের শতশত গবাদি পশু। বেশীরভাগ বির্স্তীর্ণ এলাকার মানুষ পানি বন্ধী হয়ে পড়েছেন। আকাশ মেঘছন্ন থাকার কারনের থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে এসব এলাকার সাধারন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রচার প্রচারনা চালনো হচ্ছে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরিন হক জানান, ঢালচর ইউনিয়ন ও চরপাতিলায় বেড়িবাধ না থাকায় অতি জোয়ারে এসব এলাকার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ২১ টি ইউনিয়নে ঘূর্নিঝড় মেকাবেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাধারন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার জন্য চালানো হয়েছে প্রচার প্রচারনা। ১৬৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রোববার দুপুরে এসব প্লাবিত এলাকার জনসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।