০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বাংলা ব্লকেড: শেকৃবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‌বাংলা ব্লকেডের মিছিল নিয়ে আগারগাঁও মোড়ে অবস্থান নিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সারে ৩ টার দিকে আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে এ সময় মিরপুর থেকে ফার্মগেট এবং শিশুমেলা থেকে মহাখালী তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ শেষে আগারগাঁও মোড়ে এসে থামে। এরপর থেকে আগারগাঁও মোড় অবরোধের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করে। এসময় শিক্ষার্থীরা “সারাবাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করবো কোটা সংস্কার”, “আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “কোটা না মেধা, মেধা মেধা”, “আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে— ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেড) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে সারাদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্র হলে সরকার কোটা বাতিল করতে বাধ্য হয়। ২০২১ সালে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে গত ৫ জুন কোটা বহালের রায় আসে। এরপর থেকেই সারাদেশে আবারও কোটা বিরোধী আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গত কয়েক দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল এবং সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বাংলা ব্লকেড: শেকৃবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত : ০৫:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‌বাংলা ব্লকেডের মিছিল নিয়ে আগারগাঁও মোড়ে অবস্থান নিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) বিকেল সারে ৩ টার দিকে আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে এ সময় মিরপুর থেকে ফার্মগেট এবং শিশুমেলা থেকে মহাখালী তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ শেষে আগারগাঁও মোড়ে এসে থামে। এরপর থেকে আগারগাঁও মোড় অবরোধের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করে। এসময় শিক্ষার্থীরা “সারাবাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে”, “যুদ্ধ হবে আরেকবার, করবো কোটা সংস্কার”, “আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “কোটা না মেধা, মেধা মেধা”, “আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে— ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেড) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে সারাদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তীব্র হলে সরকার কোটা বাতিল করতে বাধ্য হয়। ২০২১ সালে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করলে গত ৫ জুন কোটা বহালের রায় আসে। এরপর থেকেই সারাদেশে আবারও কোটা বিরোধী আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গত কয়েক দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল এবং সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে।