০৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

অটোরিকশা চালককে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার- ২

শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বানিয়াপট্রি গ্রামের মৃত.হোসেন আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক উসমান মিয়াকে ধারালো চাকুর আঘাতের মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ।

সোমবার (৮জুলাই) দুপুরে শেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম।

এসময় প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বানিয়াপট্রি গ্ৰামের মৃত.হোসেন আলীর ছেলে মোঃ আব্বাস আলী প্রকাশ আমার ভাই ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে,গত ৭জুলাই রাত অনুমান ১.১৫ ঘটিকার সময় ৩জন যাত্রী চন্দ্রকোনা বাজার থেকে নকলা উপজেলার বানেশ্বরর্দী ইউনিয়নস্থ মিলন বাজারে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। উসমান মিয়াকে বানেশ্বরর্দী বাজারে যাইতে বলে। কিন্তু এত রাতে সে বানেশ্বরর্দী বাজারে যাবেনা বলে অস্বীকার করে এবং বিবাদীদের নিকট অটোরিকশা ভাড়া চাইলে এক কথায় দুই কথায় কথা কাটাকাটি করে এক পর্যায়ে উসমান মিয়াকে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল ঘুষি মারে, তাদের মধ্যে একজন আসামি ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করিয়া বুকে, পিঠের ডান পাশে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আসামির ধারালো চাকুর আঘাতে বুক কেটে ফুসফুস বের হয়ে যায়। এমতাবস্থায় উসমান মিয়ার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত আসামিরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন সহ উসমান মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। উসমান মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। উসমান মিয়া মুমূর্ষ অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

পরে উসমান মিয়ার ভাই মোঃ আব্বাস আলী বাদী হয়ে নকলা থানায় মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম এর নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান এর পরামর্শে নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের মিয়ার নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনির হোসেন সহ নকলা থানার একাধিক টিম নকলা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৮ জুলাই আসামি (১)মোঃ সাকিবুল হাসান জয় (১৬) ও মোঃ তানভীর (২)বর্ণ (১৫)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।গ্রেপ্তার কৃত আসামিগণ উল্লিখিত ঘটনার দায় স্বীকার করেন এবং তাদের সাথে থাকা পালাতক অপর আসামি সিয়াম (১৭) নাম বলে দেয় ও সাথে ছিল বলে জানায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

হজাদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি জাফর,সাধারণ সম্পাদক আল আমিন

অটোরিকশা চালককে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার- ২

প্রকাশিত : ০৫:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বানিয়াপট্রি গ্রামের মৃত.হোসেন আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক উসমান মিয়াকে ধারালো চাকুর আঘাতের মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ।

সোমবার (৮জুলাই) দুপুরে শেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম।

এসময় প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বানিয়াপট্রি গ্ৰামের মৃত.হোসেন আলীর ছেলে মোঃ আব্বাস আলী প্রকাশ আমার ভাই ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে,গত ৭জুলাই রাত অনুমান ১.১৫ ঘটিকার সময় ৩জন যাত্রী চন্দ্রকোনা বাজার থেকে নকলা উপজেলার বানেশ্বরর্দী ইউনিয়নস্থ মিলন বাজারে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। উসমান মিয়াকে বানেশ্বরর্দী বাজারে যাইতে বলে। কিন্তু এত রাতে সে বানেশ্বরর্দী বাজারে যাবেনা বলে অস্বীকার করে এবং বিবাদীদের নিকট অটোরিকশা ভাড়া চাইলে এক কথায় দুই কথায় কথা কাটাকাটি করে এক পর্যায়ে উসমান মিয়াকে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল ঘুষি মারে, তাদের মধ্যে একজন আসামি ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করিয়া বুকে, পিঠের ডান পাশে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আসামির ধারালো চাকুর আঘাতে বুক কেটে ফুসফুস বের হয়ে যায়। এমতাবস্থায় উসমান মিয়ার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত আসামিরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন সহ উসমান মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। উসমান মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। উসমান মিয়া মুমূর্ষ অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

পরে উসমান মিয়ার ভাই মোঃ আব্বাস আলী বাদী হয়ে নকলা থানায় মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম এর নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান এর পরামর্শে নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল কাদের মিয়ার নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনির হোসেন সহ নকলা থানার একাধিক টিম নকলা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৮ জুলাই আসামি (১)মোঃ সাকিবুল হাসান জয় (১৬) ও মোঃ তানভীর (২)বর্ণ (১৫)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।গ্রেপ্তার কৃত আসামিগণ উল্লিখিত ঘটনার দায় স্বীকার করেন এবং তাদের সাথে থাকা পালাতক অপর আসামি সিয়াম (১৭) নাম বলে দেয় ও সাথে ছিল বলে জানায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস