০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

গাজীপুরে মাটি খুঁড়তে গিয়ে ২১ আগস্টে ব্যাবহৃত ১৬টি গ্রেনেড উদ্ধার

গাজীপুরে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য মাটি খোঁড়ার সময় গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকার বোম ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা ওইসব গ্রেনেড আলাদাভাবে বিষ্ফোরীত করে। এসব শক্তিশালী গ্রেনেড ২১ আগস্টে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানান বোম ডিসপোজাল টিমের সহকারী পুলিশ সুপার। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ ছায়াবিথী (বুম্বাইবাড়ী) এলাকায় গ্রেনেডের সন্ধান পায় মাটি কাটার শ্রমিকেরা। পরে তারা জায়গার মালিককে জানান।
ওই জমির মালিক প্রবাসী আবুল কাশেম। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। সে গত প্রায় চার বছর আগে দক্ষিন ছায়াবিথী এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি কেনেন। গ্রেনেড উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলের আশেপাশে উৎসুক জনতা নিরাপদ দূরত্বে থেকে পুলিশের কার্যক্রম দেখছিলেন।জায়গার মালিক আবুল কাশেম জানান, চার বছর আগে সাড়ে তিন কাঠা জমি কেনেন তিনি। ওই জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রাখেন। সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিতে চারদিন যাবত মাটি কাটা শ্রমিক দিয়ে গর্ত করা শুরু করছেন। সকাল পৌণে ৯ টার দিকে শ্রমিকেরা মাটি কাটার সময় চার ফুট গর্ত করার পর মটকির ভিতর পলিথিনে মোড়ানো গ্রেনেড সদৃশ বস্তু দেখতে পান। পরে তারা জানালে তিনি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি জানান। পরে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল টিমের একটি ইউনিট দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে আসে। এর আগে সকাল ১০টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) সহকারী কমিশনার ফাহিম আশজাদ জানান, বোম ডিসপোজাল টিমের পরামর্শে নিরাপত্তার জন্য আশপাশের স্থানীয় বাসাবাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম সরকার জানান, কয়েকদিন ধরে ওই স্থানে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য মাটি খোঁড়া হচ্ছে। স্থানীয়রা সকালে জানতে পারেন শ্রমিকেরা কাজ করার সময় মাটির চার ফুট নিচে একটি মাটির কলসের মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া গেছে।

বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহমুদুজ্জামান জানান, গাজীপুরের দক্ষিন ছায়াবিথী এলাকায় মাটি খননের সময় বিষ্ফোরক জাতীয় কিছু একটা পাওা গেছে। এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুরো টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসি। ১৫ সদস্যের ডিসপোজাল টিম তাদের রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রোবট দিয়ে গ্রেনেড নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখি মাটি খননের সময় একটি মটকির ভিতর (বড় আকৃতির কলস) পলিথিনে মোড়ানো শক্তিশালী গ্রেনেড যাকে আরজেএস গ্রেনেড বলা হয়। জায়গাটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমাদের কাছে থাকা রোবটের মাধ্যমে প্রত্যেকটা গ্রেনেডের পিনগুলো অক্ষত আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নেই। পরবর্তীতে আমরা আস্তে আস্তে সফলতার সাথে সবগুলো গ্রেনেড আলাদা করতে সক্ষম হই। আমাদের টিমের দুইজন সদস্য (বোমটেক) বুম স্যুট পড়ে ঘটনাস্থলে প্রত্যেকটি গ্রেনেড ডিসপোজ করতে সক্ষম হই। এখানে ১৬ টি গ্রেনেড ছিল এবং আরজেএস গ্রেনেড যা খুব শক্তিশালী। এটা কোন দেশের এটা এখন বলা যাচ্ছে না তবে দেখে বুঝা যাচ্ছে এগুলো অনেক আগের। তবে আমাদের দেশে ২১ আগস্টের সময় এই আরজেএস গ্রেনেড দিয়ে হামলা করা হয়েছিল। এটা পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার আছে। পরীক্ষা ছাড়া এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এটা নিয়ে যাবো এবং সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে দেওয়া হবে পরীক্ষার জন্য। তারা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানাতে পারবে। প্রত্যেকটা গ্রেনেড উচ্চ পাওয়ারের এবং খুব ঝঁকিপূর্ণ ছিলো। মটকির ভিতরে পলিথিনে মোড়ানো থাকায় একটা আরেকটার সাথে লেগে ছিল। সেখান থেকে আলাদা করা আমাদের জন্য খুবই সমস্যা হচ্ছিল। তারপরও আমরা রোবটের মাধ্যমে সাবধানে আলাদা করতে পেরেছি। এটা নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এবং আমরা আলাদাভাবে তদন্ত করবো। তদন্তের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না কত আগের এবং কারা এ শক্তিশালী গ্রেনেড এখানে রাখতে পারে। ওই গর্তের উপর একটি দেয়াল ঢাকনা হিসেবে দিয়ে আলাদা আলাদাভাবে গ্রেনেডগুলো বিষ্ফোরিত করা হয়। ঢাকার বোম ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা ৬ ঘন্টা চেষ্টা করে গ্রেনেডগুলো উদ্ধার ও বিষ্ফোরীত করে।

ঘটনাস্থলে র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর জুন্নুরাইন বিন আলমের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

স্থানীয়রা জানান, প্রত্যেকটি গ্রেনেডগুলো বিষ্ফোরিত করার সময় আশপাশের ভবন কেঁপে উঠে। এসময় পাশের ভবনগুলোতে গ্রেনেডের স্প্রিন্টারগুলো গিয়ে জানালার কাঁচ ফেটে ভেঙ্গে পড়ে যায়। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থল ও আশাপাশে নিকট দূরত্বে অবস্থান নেয়। গ্রেনেড বিষ্ফোরনের শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়।

বাড়ি নির্মাণ করার জন্য মাটি খোঁড়ার সময় গ্রেনেডসদৃশ বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার (৮ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টায় গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ ছায়াবিথী (বুম্বাইবাড়ী) এলাকায় গ্রেনেডের সন্ধান পায় মাটি কাটার শ্রমিকেরা। পরে তারা জায়গার মালিককে জানান। প্রবাসী আবুল কাশেম কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। সে গত প্রায় চার বছর আগে দক্ষিন ছায়াবিথী এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি কেনেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

গাজীপুরে মাটি খুঁড়তে গিয়ে ২১ আগস্টে ব্যাবহৃত ১৬টি গ্রেনেড উদ্ধার

প্রকাশিত : ০৯:২৯:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
গাজীপুরে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য মাটি খোঁড়ার সময় গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকার বোম ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা ওইসব গ্রেনেড আলাদাভাবে বিষ্ফোরীত করে। এসব শক্তিশালী গ্রেনেড ২১ আগস্টে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানান বোম ডিসপোজাল টিমের সহকারী পুলিশ সুপার। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ ছায়াবিথী (বুম্বাইবাড়ী) এলাকায় গ্রেনেডের সন্ধান পায় মাটি কাটার শ্রমিকেরা। পরে তারা জায়গার মালিককে জানান।
ওই জমির মালিক প্রবাসী আবুল কাশেম। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। সে গত প্রায় চার বছর আগে দক্ষিন ছায়াবিথী এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি কেনেন। গ্রেনেড উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলের আশেপাশে উৎসুক জনতা নিরাপদ দূরত্বে থেকে পুলিশের কার্যক্রম দেখছিলেন।জায়গার মালিক আবুল কাশেম জানান, চার বছর আগে সাড়ে তিন কাঠা জমি কেনেন তিনি। ওই জমির চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে রাখেন। সম্প্রতি বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিতে চারদিন যাবত মাটি কাটা শ্রমিক দিয়ে গর্ত করা শুরু করছেন। সকাল পৌণে ৯ টার দিকে শ্রমিকেরা মাটি কাটার সময় চার ফুট গর্ত করার পর মটকির ভিতর পলিথিনে মোড়ানো গ্রেনেড সদৃশ বস্তু দেখতে পান। পরে তারা জানালে তিনি গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি জানান। পরে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল টিমের একটি ইউনিট দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে আসে। এর আগে সকাল ১০টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) সহকারী কমিশনার ফাহিম আশজাদ জানান, বোম ডিসপোজাল টিমের পরামর্শে নিরাপত্তার জন্য আশপাশের স্থানীয় বাসাবাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম সরকার জানান, কয়েকদিন ধরে ওই স্থানে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য মাটি খোঁড়া হচ্ছে। স্থানীয়রা সকালে জানতে পারেন শ্রমিকেরা কাজ করার সময় মাটির চার ফুট নিচে একটি মাটির কলসের মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো গ্রেনেডসদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া গেছে।

বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহমুদুজ্জামান জানান, গাজীপুরের দক্ষিন ছায়াবিথী এলাকায় মাটি খননের সময় বিষ্ফোরক জাতীয় কিছু একটা পাওা গেছে। এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুরো টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসি। ১৫ সদস্যের ডিসপোজাল টিম তাদের রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রোবট দিয়ে গ্রেনেড নিয়ন্ত্রণে আনে। আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখি মাটি খননের সময় একটি মটকির ভিতর (বড় আকৃতির কলস) পলিথিনে মোড়ানো শক্তিশালী গ্রেনেড যাকে আরজেএস গ্রেনেড বলা হয়। জায়গাটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমাদের কাছে থাকা রোবটের মাধ্যমে প্রত্যেকটা গ্রেনেডের পিনগুলো অক্ষত আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নেই। পরবর্তীতে আমরা আস্তে আস্তে সফলতার সাথে সবগুলো গ্রেনেড আলাদা করতে সক্ষম হই। আমাদের টিমের দুইজন সদস্য (বোমটেক) বুম স্যুট পড়ে ঘটনাস্থলে প্রত্যেকটি গ্রেনেড ডিসপোজ করতে সক্ষম হই। এখানে ১৬ টি গ্রেনেড ছিল এবং আরজেএস গ্রেনেড যা খুব শক্তিশালী। এটা কোন দেশের এটা এখন বলা যাচ্ছে না তবে দেখে বুঝা যাচ্ছে এগুলো অনেক আগের। তবে আমাদের দেশে ২১ আগস্টের সময় এই আরজেএস গ্রেনেড দিয়ে হামলা করা হয়েছিল। এটা পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার আছে। পরীক্ষা ছাড়া এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এটা নিয়ে যাবো এবং সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে দেওয়া হবে পরীক্ষার জন্য। তারা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানাতে পারবে। প্রত্যেকটা গ্রেনেড উচ্চ পাওয়ারের এবং খুব ঝঁকিপূর্ণ ছিলো। মটকির ভিতরে পলিথিনে মোড়ানো থাকায় একটা আরেকটার সাথে লেগে ছিল। সেখান থেকে আলাদা করা আমাদের জন্য খুবই সমস্যা হচ্ছিল। তারপরও আমরা রোবটের মাধ্যমে সাবধানে আলাদা করতে পেরেছি। এটা নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এবং আমরা আলাদাভাবে তদন্ত করবো। তদন্তের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না কত আগের এবং কারা এ শক্তিশালী গ্রেনেড এখানে রাখতে পারে। ওই গর্তের উপর একটি দেয়াল ঢাকনা হিসেবে দিয়ে আলাদা আলাদাভাবে গ্রেনেডগুলো বিষ্ফোরিত করা হয়। ঢাকার বোম ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা ৬ ঘন্টা চেষ্টা করে গ্রেনেডগুলো উদ্ধার ও বিষ্ফোরীত করে।

ঘটনাস্থলে র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর জুন্নুরাইন বিন আলমের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

স্থানীয়রা জানান, প্রত্যেকটি গ্রেনেডগুলো বিষ্ফোরিত করার সময় আশপাশের ভবন কেঁপে উঠে। এসময় পাশের ভবনগুলোতে গ্রেনেডের স্প্রিন্টারগুলো গিয়ে জানালার কাঁচ ফেটে ভেঙ্গে পড়ে যায়। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থল ও আশাপাশে নিকট দূরত্বে অবস্থান নেয়। গ্রেনেড বিষ্ফোরনের শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়।

বাড়ি নির্মাণ করার জন্য মাটি খোঁড়ার সময় গ্রেনেডসদৃশ বস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার (৮ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টায় গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ ছায়াবিথী (বুম্বাইবাড়ী) এলাকায় গ্রেনেডের সন্ধান পায় মাটি কাটার শ্রমিকেরা। পরে তারা জায়গার মালিককে জানান। প্রবাসী আবুল কাশেম কাপাসিয়া উপজেলার খিরাটি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। সে গত প্রায় চার বছর আগে দক্ষিন ছায়াবিথী এলাকায় সাড়ে তিন কাঠা জমি কেনেন।