০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
॥ আসামীর নামের তালিকায় ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমানসহ ১৩২ জন

সিদ্ধিরগঞ্জে আইভীসহ ৫১২ জনের নামে হত্যা মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মিনারুল ইসলাম নামে একজন গার্মেন্টস কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ায় ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৫১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এ মামলায় আইভী ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক এমপি কায়সার হাসানাত, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল সহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো অজ্ঞাত আরও ৩০০/৪০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার বিকেলে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে এক নং আসামী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সারা দেশের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার নির্দেশ প্রদান করলে ২নং হতে ৫নং আসামীর নেতৃত্বে ৩০০/৪০০জন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বন্দুক, সাটারগান, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতি সহ অত্যাধুনিক দেশী ও বিদেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টাকালে আদমজী রোডস্থ আল আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সম্মুখে তাদের হাতে থাকা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে সামনের দিকে আগাতে থাকা অবস্থায় আসামীরা তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকে। তখন বাদীর ভাই মিনারুল ইসলাম তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী।
সে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ৬টায় মুজিব ফ্যাসনের সম্মুখে আসিলে ঘটনার সামনে পড়ে গেলে ২নং আসামী শামীম ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সে গুলি আমার ভাইয়ের বাম দিকের কিডনির নিচে লেগে গুলিবিদ্ধ হয়। আমার ভাই তৎক্ষনাৎ মাটিতে লুটিয়ে পরলে তাকে তার সাথে থাকা মোঃ সাইদুল ইসলাম, কাওসার ও ডালিম মোল্লা অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মামলার এজাহারে কারও নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়: ডিএমপি কমিশনার

॥ আসামীর নামের তালিকায় ওবায়দুল কাদের ও শামীম ওসমানসহ ১৩২ জন

সিদ্ধিরগঞ্জে আইভীসহ ৫১২ জনের নামে হত্যা মামলা

প্রকাশিত : ০৭:৩২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মিনারুল ইসলাম নামে একজন গার্মেন্টস কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ায় ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ ৫১২ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এ মামলায় আইভী ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক এমপি কায়সার হাসানাত, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল সহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো অজ্ঞাত আরও ৩০০/৪০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার বিকেলে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে এক নং আসামী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সারা দেশের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার নির্দেশ প্রদান করলে ২নং হতে ৫নং আসামীর নেতৃত্বে ৩০০/৪০০জন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বন্দুক, সাটারগান, পিস্তল, তলোয়ার, রামদা, চাপাতি সহ অত্যাধুনিক দেশী ও বিদেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টাকালে আদমজী রোডস্থ আল আমিন নগর পাওয়ার হাউজের সম্মুখে তাদের হাতে থাকা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে সামনের দিকে আগাতে থাকা অবস্থায় আসামীরা তাদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকে। তখন বাদীর ভাই মিনারুল ইসলাম তিনি একজন গার্মেন্টস কর্মী।
সে গত ২০ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ৬টায় মুজিব ফ্যাসনের সম্মুখে আসিলে ঘটনার সামনে পড়ে গেলে ২নং আসামী শামীম ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে সে গুলি আমার ভাইয়ের বাম দিকের কিডনির নিচে লেগে গুলিবিদ্ধ হয়। আমার ভাই তৎক্ষনাৎ মাটিতে লুটিয়ে পরলে তাকে তার সাথে থাকা মোঃ সাইদুল ইসলাম, কাওসার ও ডালিম মোল্লা অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।