০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

স্থলভাগের তেল-গ্যাসের খনির মজুত ফুরিয়ে আসছে, সতর্কবার্তা জাতিসংঘের

বিশ্বের স্থলভাগে এ পর্যন্ত যতগুলো উত্তোলনযোগ্য গ্যাস ও তেলের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে, সেগুলোর মজুত দ্রুত হারে কমছে। জাতিসংঘের জ্বালানি সম্পদ পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যানার্জি এজেন্সি (আইইএ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।

আইএএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বিশ্বের স্থলভাগে বর্তমানে ১৫ হাজার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের খনি আছে। বছরের পর বছর ধরে এই খনিগুলো থেকে জ্বালানি সম্পদ উত্তোলনের ফলে এসব খনির ৯০ ভাগের মজুত দ্রুত হারে কমছে। অদূর ভবিষ্যতে এসব খনির মজুত পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মজুত কমতে থাকার কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৫৫ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল এবং ১৮০০০ কোটি কিউবিক মিটার থেকে ২৭০০০ কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস কম উত্তোলন হচ্ছে।

আইএ-এর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরোল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বিশ্ব এখনও অনেকাংশে তেল এবং গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের স্থলভাগের খনিগুলোর মজুত যদি এভাবে ফুরিয়ে যেতে থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেবে। কারণ সমুদ্রের তলদেশে তেল ও গ্যাসের খনি অনুসন্ধান বেশ সময়সাপেক্ষ ও ব্যায়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনেও বিশ্ব এখন পর্যন্ত কাঙিক্ষত পর্যায়ে যেতে পারেনি।”

“এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রয়োজন বিনিয়োগ। কোম্পানিগুলো যদি স্থলভাগে নতুন খনি অনুসন্ধানে বিনিয়োগ না বাড়ায়, তাহলে আসন্ন সংকট এড়ানো খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।”

সূত্র : রয়টার্স

ডিএস./

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট নির্বাচন: বিএনপি সমর্থিত বাবুল-টুলু প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

স্থলভাগের তেল-গ্যাসের খনির মজুত ফুরিয়ে আসছে, সতর্কবার্তা জাতিসংঘের

প্রকাশিত : ০৪:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিশ্বের স্থলভাগে এ পর্যন্ত যতগুলো উত্তোলনযোগ্য গ্যাস ও তেলের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে, সেগুলোর মজুত দ্রুত হারে কমছে। জাতিসংঘের জ্বালানি সম্পদ পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যানার্জি এজেন্সি (আইইএ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।

আইএএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বিশ্বের স্থলভাগে বর্তমানে ১৫ হাজার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের খনি আছে। বছরের পর বছর ধরে এই খনিগুলো থেকে জ্বালানি সম্পদ উত্তোলনের ফলে এসব খনির ৯০ ভাগের মজুত দ্রুত হারে কমছে। অদূর ভবিষ্যতে এসব খনির মজুত পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মজুত কমতে থাকার কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৫৫ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল এবং ১৮০০০ কোটি কিউবিক মিটার থেকে ২৭০০০ কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস কম উত্তোলন হচ্ছে।

আইএ-এর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরোল এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বিশ্ব এখনও অনেকাংশে তেল এবং গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের স্থলভাগের খনিগুলোর মজুত যদি এভাবে ফুরিয়ে যেতে থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেবে। কারণ সমুদ্রের তলদেশে তেল ও গ্যাসের খনি অনুসন্ধান বেশ সময়সাপেক্ষ ও ব্যায়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনেও বিশ্ব এখন পর্যন্ত কাঙিক্ষত পর্যায়ে যেতে পারেনি।”

“এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রয়োজন বিনিয়োগ। কোম্পানিগুলো যদি স্থলভাগে নতুন খনি অনুসন্ধানে বিনিয়োগ না বাড়ায়, তাহলে আসন্ন সংকট এড়ানো খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।”

সূত্র : রয়টার্স

ডিএস./