০৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

পূর্ণাঙ্গ আক্রমণে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না সুইজারল্যান্ড: সেনাপ্রধান

সুইজারল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান টমাস সুয়েসলি বলেছেন, সুইজারল্যান্ড পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের মুখে পরে, তবে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কারণে সামরিক ব্যয় বাড়াতে হবে।

লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, সুইস এনজেডজেড সংবাদপত্রকে টমাস সুয়েসলি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং সাইবার আক্রমণ প্রতিহতে প্রস্তুত থাকলে সামরিক বাহিনী এখনো বড় ধরণের সরঞ্জাম ঘাটতির মুখোমুখি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যা করতে পারি না তা হলো, দূর থেকে আসা হুমকি বা এমনকি আমাদের দেশের ওপর পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা করা। এটা জানা কষ্টকর যে, প্রকৃত জরুরি পরিস্থিতিতে সমস্ত সৈন্যের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত থাকতে পারবে থাকবে (সরঞ্জাম ঘাটতির কারণে)।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ড সম্প্রতি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করছে- আর্টিলারি এবং স্থলব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করছে। পুরনো যুদ্ধবিমানগুলোকে এফ-৩৬এ যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু পরিকল্পনাটি ব্যয় বৃদ্ধি করে দিচ্ছে। সমালোচকরা কঠোর ফেডারেল অর্থায়নের মধ্যে কামান এবং যুদ্ধাস্ত্রের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

সুয়েসলি বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং ইউরোপকে অস্থিতিশীল করার রাশিয়ার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সামরিক বাহিনীর প্রতি মনোভাব পরিবর্তিত হয়নি।

তিনি সংঘাত থেকে সুইজারল্যান্ডের দূরত্ব, সাম্প্রতিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাব এবং ‘নিরপেক্ষতা সুরক্ষা প্রদান করে’- এমন ভ্রান্ত বিশ্বাসকে দায়ী করেন।

ডিএস./

জনপ্রিয়

শেরপুর–জামালপুর মহাসড়কে পরিবহন আইনে মোবাইল কোর্ট অভিযান

পূর্ণাঙ্গ আক্রমণে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না সুইজারল্যান্ড: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত : ০১:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সুইজারল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান টমাস সুয়েসলি বলেছেন, সুইজারল্যান্ড পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের মুখে পরে, তবে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কারণে সামরিক ব্যয় বাড়াতে হবে।

লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, সুইস এনজেডজেড সংবাদপত্রকে টমাস সুয়েসলি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং সাইবার আক্রমণ প্রতিহতে প্রস্তুত থাকলে সামরিক বাহিনী এখনো বড় ধরণের সরঞ্জাম ঘাটতির মুখোমুখি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যা করতে পারি না তা হলো, দূর থেকে আসা হুমকি বা এমনকি আমাদের দেশের ওপর পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা করা। এটা জানা কষ্টকর যে, প্রকৃত জরুরি পরিস্থিতিতে সমস্ত সৈন্যের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত থাকতে পারবে থাকবে (সরঞ্জাম ঘাটতির কারণে)।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ড সম্প্রতি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করছে- আর্টিলারি এবং স্থলব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করছে। পুরনো যুদ্ধবিমানগুলোকে এফ-৩৬এ যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু পরিকল্পনাটি ব্যয় বৃদ্ধি করে দিচ্ছে। সমালোচকরা কঠোর ফেডারেল অর্থায়নের মধ্যে কামান এবং যুদ্ধাস্ত্রের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

সুয়েসলি বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং ইউরোপকে অস্থিতিশীল করার রাশিয়ার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সামরিক বাহিনীর প্রতি মনোভাব পরিবর্তিত হয়নি।

তিনি সংঘাত থেকে সুইজারল্যান্ডের দূরত্ব, সাম্প্রতিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাব এবং ‘নিরপেক্ষতা সুরক্ষা প্রদান করে’- এমন ভ্রান্ত বিশ্বাসকে দায়ী করেন।

ডিএস./