কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা সাঈদের নেতৃত্বেই মোহামেডান ক্লাবে চলতো ক্যাসিনো। ভাড়া হিসেবে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা পেতেন লোকমান। র্যাবের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন লোকমান। জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম বেরিয়ে এসেছে তারাও আছেন নজরদারিতে।
ক্যাসিনো ব্যবসা এবং অবৈধভাবে বিদেশি মদ রাখার অভিযোগে বুধবার রাতে রাজধানীর মনিপুরী পাড়ার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মোহামেডান ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়াকে।
রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। প্রাথমিকভাবে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন তিনি। বলেন, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের সহায়তায় গড়ে তোলা হয় ক্যাসিনো। যা থেকে প্রতিদিন আয় হতো ৭০ হাজার টাকা।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মমিনুল হক সাঈদ মূলত তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধু। মমিনুল হক সাঈদ যেহেতু মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোনো সদস্য নয়, এজন্য সে মোহামেডান ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনা করাতে তাকে সহযোগিতা করেছেন দৈনিক ৭০ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে।
এছাড়া ক্যাসিনো থেকে আয়ের ৪১ কোটি টাকার বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ায় দুই ব্যাংকে জমা করেছেন বলেও জানায় র্যাব।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, এই ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে তিনি বিপুল অর্থ অর্জন করেছেন; প্রায় ৪১ কোটি টাকা। এছাড়া তার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকার। এই টাকার একটা বড় অংশ অস্ট্রেলিয়ার এএনজেড ব্যাংক এবং কমওয়েল্থ ব্যাংকের শাখায় গচ্ছিত রেখেছেন।
এ মুহূর্তে বিদেশে অবস্থান করছেন কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ।
বিজনেস বাংলাদেশ-বি/এইচ




















