০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রামপুরা থানাধীন ক্লুলেস রিক্সাচালক শাহ আলম হত্যার রহস্য উদঘাটনে গ্রেফতার: ৪

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের রামপুরা থানা একটি টিম গত ০৫ মে ২০২৪ খ্রিঃ মুগদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মুগদা থানাধীন মানিক নগর এলাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকার থেকে রিক্সাচালক শাহ আলম হত্যায় জড়িত ৪ জন আসমীদের গ্রেফতার ও একাধিক অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়েছে।

পলাকত আসামী শাহাবুদ্দিন (৩৬) গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ রাত অনুমান ৯.ঘটিকার সময় রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এ/বি এভিনিউ রোড নং-২ থেকে একজন অটো রিক্সাওয়ালা মোঃ শাহ আলম মিয়া (৬০) কে অজ্ঞান করে ১টি সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টি অটো রিকশা চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অটো রিক্সাওয়ালা মোঃ শাহ আলম মিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তার আত্বীয় স্বজন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম গত ১৪ এপ্রিল ২০২৪ সকাল অনুমান ০৭.২৫ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। ভিকটিমের ছেলে মোঃ সিয়াম আকন্দ বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে রামপুরা থানা পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে এবং ঘটনাস্থল রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এ/বি এভিনিউ সহ তার আশপাশ এলাকার ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এনালাইসিস করে ও বিভিন্ন রকম তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা মোঃ শরীফুল ইসলাম (৩২) ও তার সহযোগী মোঃ চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু ও শাহাবুদ্দিনকে সনাক্ত করে।

দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন গ্রেফতারকৃত আসামীদের গত ৪ মে ২৪ ইং রাতের বেলা মুগদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মুগদা থানাধীন মানিক নগর এলাকা থেকে মোঃ শরীফুল ইসলাম ও মোঃ চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু কে গ্রেফতার করে ও তাদের নিকট থেকে ৩২ টি চেতনা নাশক ট্যাবলেট ও একটি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চোরাই অটোরিক্সা নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকার ফুল মিয়া (৫৯) ও মোঃ আল আমিন (৩৮) এর নিকট বিক্রয় করে।উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকা থেকে ফুল মিয়া ও আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের নিকট থেকে ৭টি চোরাই অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।

বিগত ১ বছর যাবত মোঃ শরীফুল ইসলাম এর নেতৃত্তে সংগীয় শাহাবুদ্দিন ও মোঃ চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রিক্সাওয়ালাদের চায়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ (ভারতীয় ও বাংলাদেশী চেতনা নাশক ঔষধ) মিশিয়ে খাওয়ায়ে রিক্সাওয়ালাদের অজ্ঞান করে রিক্সাওয়ালাদের সুবিধাজনক স্থানে ফেলে রিক্সা চুরি করে নিয়ে যায়। চুরিককৃত রিক্সাগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চক্রের কাছে বিক্রয় করে।এ পর্যন্ত শতাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ শরীফুল ইসলাম (৩২)মোঃ চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু (৪০) ফুল মিয়া (৫৯) আলআমিন (৩৮) তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ধৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/DS

ট্যাগ :

রামপুরা থানাধীন ক্লুলেস রিক্সাচালক শাহ আলম হত্যার রহস্য উদঘাটনে গ্রেফতার: ৪

প্রকাশিত : ০৫:০০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের রামপুরা থানা একটি টিম গত ০৫ মে ২০২৪ খ্রিঃ মুগদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মুগদা থানাধীন মানিক নগর এলাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকার থেকে রিক্সাচালক শাহ আলম হত্যায় জড়িত ৪ জন আসমীদের গ্রেফতার ও একাধিক অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়েছে।

পলাকত আসামী শাহাবুদ্দিন (৩৬) গত ৮ এপ্রিল ২০২৪ রাত অনুমান ৯.ঘটিকার সময় রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এ/বি এভিনিউ রোড নং-২ থেকে একজন অটো রিক্সাওয়ালা মোঃ শাহ আলম মিয়া (৬০) কে অজ্ঞান করে ১টি সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টি অটো রিকশা চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অটো রিক্সাওয়ালা মোঃ শাহ আলম মিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তার আত্বীয় স্বজন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম গত ১৪ এপ্রিল ২০২৪ সকাল অনুমান ০৭.২৫ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। ভিকটিমের ছেলে মোঃ সিয়াম আকন্দ বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে রামপুরা থানা পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে এবং ঘটনাস্থল রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এ/বি এভিনিউ সহ তার আশপাশ এলাকার ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এনালাইসিস করে ও বিভিন্ন রকম তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অজ্ঞান পার্টির মূলহোতা মোঃ শরীফুল ইসলাম (৩২) ও তার সহযোগী মোঃ চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু ও শাহাবুদ্দিনকে সনাক্ত করে।

দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন গ্রেফতারকৃত আসামীদের গত ৪ মে ২৪ ইং রাতের বেলা মুগদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মুগদা থানাধীন মানিক নগর এলাকা থেকে মোঃ শরীফুল ইসলাম ও মোঃ চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু কে গ্রেফতার করে ও তাদের নিকট থেকে ৩২ টি চেতনা নাশক ট্যাবলেট ও একটি অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চোরাই অটোরিক্সা নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকার ফুল মিয়া (৫৯) ও মোঃ আল আমিন (৩৮) এর নিকট বিক্রয় করে।উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকা থেকে ফুল মিয়া ও আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের নিকট থেকে ৭টি চোরাই অটোরিক্সা উদ্ধার করা হয়।

বিগত ১ বছর যাবত মোঃ শরীফুল ইসলাম এর নেতৃত্তে সংগীয় শাহাবুদ্দিন ও মোঃ চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রিক্সাওয়ালাদের চায়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ (ভারতীয় ও বাংলাদেশী চেতনা নাশক ঔষধ) মিশিয়ে খাওয়ায়ে রিক্সাওয়ালাদের অজ্ঞান করে রিক্সাওয়ালাদের সুবিধাজনক স্থানে ফেলে রিক্সা চুরি করে নিয়ে যায়। চুরিককৃত রিক্সাগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চক্রের কাছে বিক্রয় করে।এ পর্যন্ত শতাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ শরীফুল ইসলাম (৩২)মোঃ চাঁন মিয়া ওরফে চান্দু (৪০) ফুল মিয়া (৫৯) আলআমিন (৩৮) তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ধৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/DS