০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ডিএমপির ‘অপরাধ পর্যালোচনা সভা’

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগরীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নগরবাসীকে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি চুরি প্রতিরোধে পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই ) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে গত মে ও জুন মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি এ নির্দেশনা দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিক সেবার পাশাপাশি চুরি প্রতিরোধে এলাকার নৈশ্য প্রহরী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। রাত্রিকালীন টহল ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যগণও নৈশ্যপ্রহরীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। ‍যে সকল চুরির ঘটনা ঘটেছে সেগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যেসকল বাসা-বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেগুলো সচল রাখার জন্য বাড়ির মালিকদের জানাতে হবে।

তিনি বলেন, মাদক উদ্ধার জনিত মামলার তদন্তে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তদন্ত প্রক্রিয়ার শুরুতে জব্দতালিকা থেকে শুরু করে অভিযোগপত্র দাখিল করা পর্যন্ত সকল কাজ আইন অনুযায়ী করতে হবে। যাতে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামিদের সাজা নিশ্চিত করা যায়।

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি, মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি ও অপমৃত্যু মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপির ট্রাফিক ও ক্রাইম বিভাগ দিনরাত্রি দায়িত্ব পালন করে ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা ও নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় এ দুই বিভাগকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গত মে ও জুন ২০২৪ মাসে ডিএমপির সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মে ও জুন মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা বিপিএম, পিপিএম-বার এর সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত আইজিপি ও অ্যাডিশনাল কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম-বার; অতিরিক্ত আইজিপি ও অ্যাডিশনাল কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোঃ শাহ আলম বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার);যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ডিএমপির ‘অপরাধ পর্যালোচনা সভা’

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত : ০১:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

ঢাকা মহানগরীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নগরবাসীকে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি চুরি প্রতিরোধে পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই ) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে গত মে ও জুন মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি এ নির্দেশনা দেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও নাগরিক সেবার পাশাপাশি চুরি প্রতিরোধে এলাকার নৈশ্য প্রহরী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। রাত্রিকালীন টহল ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যগণও নৈশ্যপ্রহরীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করতে হবে। ‍যে সকল চুরির ঘটনা ঘটেছে সেগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যেসকল বাসা-বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেগুলো সচল রাখার জন্য বাড়ির মালিকদের জানাতে হবে।

তিনি বলেন, মাদক উদ্ধার জনিত মামলার তদন্তে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। তদন্ত প্রক্রিয়ার শুরুতে জব্দতালিকা থেকে শুরু করে অভিযোগপত্র দাখিল করা পর্যন্ত সকল কাজ আইন অনুযায়ী করতে হবে। যাতে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামিদের সাজা নিশ্চিত করা যায়।

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি, মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি ও অপমৃত্যু মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপির ট্রাফিক ও ক্রাইম বিভাগ দিনরাত্রি দায়িত্ব পালন করে ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা ও নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় এ দুই বিভাগকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গত মে ও জুন ২০২৪ মাসে ডিএমপির সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মে ও জুন মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা বিপিএম, পিপিএম-বার এর সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত আইজিপি ও অ্যাডিশনাল কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম-বার; অতিরিক্ত আইজিপি ও অ্যাডিশনাল কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোঃ শাহ আলম বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার);যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস