০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আটকের ১২ ঘন্টা পর মুক্ত হলেন সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন

রাতভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ আটক হওয়া পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটক হওয়ার সময় তার সাথে থাকা অর্থ নির্বাচনী ব্যয়সীমার মধ্যে হওয়ায় তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে ১১ সহযোগীসহ আটক করেন র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে র‌্যাব জানিয়েছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি।
তবে গতরাতে আটকের পর সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব কমান্ডার এহতেশামুল হক খান জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান ভোটারদার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে টাকা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহীনুজ্জামান শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার নির্বাচনী প্রতীক আনারস। আগামীকাল বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপে এই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
র‌্যাব কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাহীনুজ্জামান বলেন, আমার নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২৫ লক্ষ টাকা। প্রচারণার শুরু থেকে মাইক, পোস্টার, ভ্যানভাড়া সহ বিভিন্ন কাজে যে ব্যয় হয়েছে সে টাকা আমি প্রচারণা শেষে পরিশোধের চুক্তি করেছিলাম। সে টাকাসহ সোমবার রাতে র‌্যাব আমাকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সকালে টাকার উৎস ও ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার পর নির্বাচনী আইন পর্যালোচনা করে তা আইনসম্মত হওয়ায় তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। এটা আসলে নিছক ভুল বোঝাবুঝি।
শাহীন আরো বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমার প্রতিপক্ষরা এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত । তারা এ ঘটনাকে নানা রঙ দিয়ে সাধারন ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে, আমি আমার দলের নেতাকর্মী ও সুজানগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমি নিশ্চিত ভোটের মাধ্যমেই তারা এর জবাব দেবে।
মঙ্গলবার রাতে শাহিনকে আটকের পর থেকে থানার সামনে আন্দোলন শুরু করেন শাহীনের সমর্থকরা। সকালে সুজানগর বাজারে সড়ক অবরোধ করে তারা শাহীনের মুক্তি দাবি করেন। মুক্তির খবর সেখানে পৌঁছালে আনন্দে মেতে ওঠেন নেতাকর্মীরা।
র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, দুপুরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শাহীনসহ তার সহযোগীদের। তবে টাকাগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি। তাকে সন্দেহমূলক আটক করা হয়েছিল।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

আটকের ১২ ঘন্টা পর মুক্ত হলেন সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন

প্রকাশিত : ০৫:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

রাতভর নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ আটক হওয়া পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটক হওয়ার সময় তার সাথে থাকা অর্থ নির্বাচনী ব্যয়সীমার মধ্যে হওয়ায় তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে ১১ সহযোগীসহ আটক করেন র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে র‌্যাব জানিয়েছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি।
তবে গতরাতে আটকের পর সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব কমান্ডার এহতেশামুল হক খান জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান ভোটারদার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে টাকা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহীনুজ্জামান শাহীন সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবারের উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার নির্বাচনী প্রতীক আনারস। আগামীকাল বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপে এই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
র‌্যাব কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাহীনুজ্জামান বলেন, আমার নির্বাচনী ব্যয়সীমা ২৫ লক্ষ টাকা। প্রচারণার শুরু থেকে মাইক, পোস্টার, ভ্যানভাড়া সহ বিভিন্ন কাজে যে ব্যয় হয়েছে সে টাকা আমি প্রচারণা শেষে পরিশোধের চুক্তি করেছিলাম। সে টাকাসহ সোমবার রাতে র‌্যাব আমাকে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সকালে টাকার উৎস ও ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার পর নির্বাচনী আইন পর্যালোচনা করে তা আইনসম্মত হওয়ায় তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। এটা আসলে নিছক ভুল বোঝাবুঝি।
শাহীন আরো বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে আমার প্রতিপক্ষরা এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত । তারা এ ঘটনাকে নানা রঙ দিয়ে সাধারন ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। তবে, আমি আমার দলের নেতাকর্মী ও সুজানগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমি নিশ্চিত ভোটের মাধ্যমেই তারা এর জবাব দেবে।
মঙ্গলবার রাতে শাহিনকে আটকের পর থেকে থানার সামনে আন্দোলন শুরু করেন শাহীনের সমর্থকরা। সকালে সুজানগর বাজারে সড়ক অবরোধ করে তারা শাহীনের মুক্তি দাবি করেন। মুক্তির খবর সেখানে পৌঁছালে আনন্দে মেতে ওঠেন নেতাকর্মীরা।
র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, দুপুরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শাহীনসহ তার সহযোগীদের। তবে টাকাগুলো জব্দ করে রাখা হয়েছে। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি। তাকে সন্দেহমূলক আটক করা হয়েছিল।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ