০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত গ্রেনেডের সন্ধান মিলেছে। গ্রেনেডটি মাটিচাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

বুধবার (৮ মে) রাতে ঈশ্বরদী পৌর শহরের এম এস কলোনি তিনতলা এলাকায় খনন কাজ চলমান একটি পুকুরে পরিত্যক্ত গ্রেনেডটির সন্ধান মেলে। এক শিশু সেটিকে খেলনা ভেবে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ের জমিতে খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন ধরে এম এস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছেন। বুধবার বিকেলে শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যান।

সে সময় তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া স্বর্ণা বাড়ির পেছনে গিয়ে ওপরের অংশে লাল টেপ মোড়ানো লোহার বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাবা সুবাস কুমার দাস দেখে ওটা গ্রেনেড বুঝতে পেরে পূর্বের স্থানে রেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাক বাহিনীর অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি যেকোনোভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়ে এসেছে।

ওসি আরো জানান, বর্তমানে গ্রেনেডটি মাটা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সবুজ আলীর তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বোম নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড

প্রকাশিত : ০৩:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত গ্রেনেডের সন্ধান মিলেছে। গ্রেনেডটি মাটিচাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

বুধবার (৮ মে) রাতে ঈশ্বরদী পৌর শহরের এম এস কলোনি তিনতলা এলাকায় খনন কাজ চলমান একটি পুকুরে পরিত্যক্ত গ্রেনেডটির সন্ধান মেলে। এক শিশু সেটিকে খেলনা ভেবে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ের জমিতে খোকন নামের এক মাছ ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন ধরে এম এস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছেন। বুধবার বিকেলে শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকেলে চলে যান।

সে সময় তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া স্বর্ণা বাড়ির পেছনে গিয়ে ওপরের অংশে লাল টেপ মোড়ানো লোহার বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাবা সুবাস কুমার দাস দেখে ওটা গ্রেনেড বুঝতে পেরে পূর্বের স্থানে রেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাক বাহিনীর অধ্যুষিত এলাকা ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি যেকোনোভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটি চাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়ে এসেছে।

ওসি আরো জানান, বর্তমানে গ্রেনেডটি মাটা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আম বাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সবুজ আলীর তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বোম নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে