০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রাজশাহীর আম বাজারে আসছে ১৫ মে

আগামী ১৫ মে থেকে রাজশাহীতে গাছ থেকে নিরাপদ গুটি জাতীয় আম পাড়া, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ শুরু হবে। তবে গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষ্মণভোগ ও মিষ্টি জাতের আম বাজারে আসবে ২৫ মে। এরপর ১০ জুলাই আশ্বিনা ও ২০ আগস্ট গৌরমতি আম বাজারে আসবে।

জেলা প্রশাসন থেকে আম বাজারজাতের জন্য এসব দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আম পরিবহন বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহবিষয়ক মতবিনিময় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। বাজারে যাতে অপরিপক্ব এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো আম বিক্রি করতে না পারে, সেজন্যেই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গাছে সব ধরনের গুটিজাতীয় আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় গুটি জাতের আঁটির আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়া ২৫ মে থেকে গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষণভোগ, ক্ষিরসাপাত-হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর আম সংগ্রহ করা যাবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ছালমা প্রমুখ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম নূর হোসেন নির্ঝর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাতসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও বাগান মালিকসহ ব্যবসায়ীরা।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :

রাজশাহীর আম বাজারে আসছে ১৫ মে

প্রকাশিত : ০৩:২০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

আগামী ১৫ মে থেকে রাজশাহীতে গাছ থেকে নিরাপদ গুটি জাতীয় আম পাড়া, সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ শুরু হবে। তবে গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষ্মণভোগ ও মিষ্টি জাতের আম বাজারে আসবে ২৫ মে। এরপর ১০ জুলাই আশ্বিনা ও ২০ আগস্ট গৌরমতি আম বাজারে আসবে।

জেলা প্রশাসন থেকে আম বাজারজাতের জন্য এসব দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে আম পরিবহন বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহবিষয়ক মতবিনিময় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহী আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত। বাজারে যাতে অপরিপক্ব এবং ভেজাল মিশ্রিত কোনো আম বিক্রি করতে না পারে, সেজন্যেই কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে এ ফল পাড়া, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বিষয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গাছে সব ধরনের গুটিজাতীয় আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এর আগে আম বাজারজাত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, স্থানীয় গুটি জাতের আঁটির আম ১৫ মে থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়া ২৫ মে থেকে গোপালভোগ, রাণীপছন্দ ও লক্ষণভোগ, ক্ষিরসাপাত-হিমসাগর ৩০ মে, ল্যাংড়া ১০ জুন, আম্রপালি ১৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ১০ জুলাই, বারি-৪ জাতের আম ৫ জুলাই, গৌড়মতি জাতের আম ১৫ জুলাই, ইলামতি ২০ আগস্ট থেকে পাড়া ও বাজারজাতকরণ করতে পারবেন আমচাষি, বাগান মালিক, আড়ত মালিক এবং ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছর আম সংগ্রহ করা যাবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) সাবিনা ইয়াসমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ছালমা প্রমুখ।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম নূর হোসেন নির্ঝর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাতসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও বাগান মালিকসহ ব্যবসায়ীরা।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে