০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

গাজীপুরে আগুনে শতাধিক বসতঘর-দোকান পুড়ে ছাই

গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় বুধবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির শতাধিক বসতঘর, দোকান ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা। পরে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের ৩টি ও কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ওই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির অর্ধশতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট পুড়ে গেলেও কেউ হতাহত হয়নি।

এক কলোনির বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকানসহ তার ৩১টি বসতঘর ও টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, মোহর আলীর ভাড়া দেওয়া হোটেল ও চায়ের দোকান থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পরে তা দ্রুত আশেপাশের কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি ৯৯৯ নম্বরে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানানো হয়।

অপর কলোনির মালিক মোহর আলী জানান, তার একটি হোটেলসহ ৩১টি বসতঘর পুড়ে গেছে।

আরেক কলোনির মালিক আব্দুর রহমান জানান, তার ৭০টির মতো বসতঘর ও টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে।

কলোনির মালিকরা জানান, স্থানীয় নায়েব আলী মাতব্বর ও তার ভাগিনা সোলেমান মিয়ার জমিতে তারা বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করে সেগুলো ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি নিজেরাও বসবাস করছেন।

ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, এলাকায় পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

ট্যাগ :

গাজীপুরে আগুনে শতাধিক বসতঘর-দোকান পুড়ে ছাই

প্রকাশিত : ০৩:১৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় বুধবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির শতাধিক বসতঘর, দোকান ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা। পরে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের ৩টি ও কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ওই আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির অর্ধশতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট পুড়ে গেলেও কেউ হতাহত হয়নি।

এক কলোনির বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকানসহ তার ৩১টি বসতঘর ও টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। তিনি দাবি করেন, মোহর আলীর ভাড়া দেওয়া হোটেল ও চায়ের দোকান থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পরে তা দ্রুত আশেপাশের কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি ৯৯৯ নম্বরে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানানো হয়।

অপর কলোনির মালিক মোহর আলী জানান, তার একটি হোটেলসহ ৩১টি বসতঘর পুড়ে গেছে।

আরেক কলোনির মালিক আব্দুর রহমান জানান, তার ৭০টির মতো বসতঘর ও টিভি ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে।

কলোনির মালিকরা জানান, স্থানীয় নায়েব আলী মাতব্বর ও তার ভাগিনা সোলেমান মিয়ার জমিতে তারা বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করে সেগুলো ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি নিজেরাও বসবাস করছেন।

ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, এলাকায় পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে