০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আদালতে যা বললেন খালেদা

ঢাকা: আদালতের ঘড়িতে তখন দুপুর সোয়া বারোটা। আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন খালেদা জিয়া। এর ১৫ মিনিট আগে দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিন মঞ্জুরের পর পনের মিনিট আদালত বিরতি দিয়ে খালেদা জিয়াকে তার আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়ে এজলাস হতে নেমে যান।
বিচারক পুনরায় এজলাসে উঠলে খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য শুরু করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আমিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানিমূলকভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও বানোয়াট। সব অভিযোগ স্ববিরোধী বক্তব্যে ভরপুর। এ ট্রাস্টে অর্থায়ন, পরিচালনা বা অন্য কিছুর সঙ্গে আমার নিজের ব্যক্তিগতভাবে কিংবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং এখনও নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনগত কর্তৃত্ব এবং এখতিয়ারের বাইরে এ মামলা দায়ের করেছে।

খালেদা জিয়া বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় বিচারের নামে দীর্ঘদিন ধরে আমি হয়রানি, পেরেশানি ও হেনস্থার শিকার হচ্ছি। আমার স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে আমার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম। দেশ জাতি ও জনগণের জন্য তাদের স্বার্থ ও কল্যাণে নিয়োজিত আমার প্রয়াস ও পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

খালেদা জিয়া আরও বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন ধারণা প্রবল যে, দেশে এখন ন্যায় বিচারের উপযোগী সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নাই। বিচার বিভাগ স্বাধীন ও স্বাভাবিকভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারছেন না। বিচারকদের পদোন্নতি, নিয়োগ ও বদলীর ক্ষমতা ব্যাপকভাবে ক্ষমতাসীনদের হাতে রয়ে গেছে। বিচারকদের মনে এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগের ভয় থাকা স্বাভাবিক। নিম্ন আদালতে এ পরিস্থিতি ও পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাব আরও প্রকট।

তারেক রহমানের মানি লন্ডারিং মামলার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একজন বিচারক অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। এ অপরাধে শাসক মহল উক্ত বিচারককে হেনস্থা ও হয়রানির

ট্যাগ :

আদালতে যা বললেন খালেদা

প্রকাশিত : ০৭:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

ঢাকা: আদালতের ঘড়িতে তখন দুপুর সোয়া বারোটা। আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন খালেদা জিয়া। এর ১৫ মিনিট আগে দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জামিন মঞ্জুরের পর পনের মিনিট আদালত বিরতি দিয়ে খালেদা জিয়াকে তার আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়ে এজলাস হতে নেমে যান।
বিচারক পুনরায় এজলাসে উঠলে খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য শুরু করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, আমিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানিমূলকভাবে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও বানোয়াট। সব অভিযোগ স্ববিরোধী বক্তব্যে ভরপুর। এ ট্রাস্টে অর্থায়ন, পরিচালনা বা অন্য কিছুর সঙ্গে আমার নিজের ব্যক্তিগতভাবে কিংবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং এখনও নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনগত কর্তৃত্ব এবং এখতিয়ারের বাইরে এ মামলা দায়ের করেছে।

খালেদা জিয়া বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় বিচারের নামে দীর্ঘদিন ধরে আমি হয়রানি, পেরেশানি ও হেনস্থার শিকার হচ্ছি। আমার স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে আমার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম। দেশ জাতি ও জনগণের জন্য তাদের স্বার্থ ও কল্যাণে নিয়োজিত আমার প্রয়াস ও পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

খালেদা জিয়া আরও বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন ধারণা প্রবল যে, দেশে এখন ন্যায় বিচারের উপযোগী সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নাই। বিচার বিভাগ স্বাধীন ও স্বাভাবিকভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারছেন না। বিচারকদের পদোন্নতি, নিয়োগ ও বদলীর ক্ষমতা ব্যাপকভাবে ক্ষমতাসীনদের হাতে রয়ে গেছে। বিচারকদের মনে এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগের ভয় থাকা স্বাভাবিক। নিম্ন আদালতে এ পরিস্থিতি ও পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাব আরও প্রকট।

তারেক রহমানের মানি লন্ডারিং মামলার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একজন বিচারক অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। এ অপরাধে শাসক মহল উক্ত বিচারককে হেনস্থা ও হয়রানির