০২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জামাই হত্যার ১১ দিন পর শ্বশুরের লাশ উদ্ধার

রাজবাড়ীতে জামাই হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই তার ঠিক ১১ দিনের মাথায় শ্বশুর সোবাহান মোল্লার (৫৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর রাতে জামাই জিল্লুরকে (৩৭) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাত ২টার দিকে জেলা সদরের বসন্তপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সোবাহানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাজবাড়ী সদর থানার এসআই রঞ্জন কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১৮ অক্টোবর রাতে সোবাহানের মেয়ে রুবি বেগমের স্বামী কলা ব্যবসায়ী জিল্লুরকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যা মামলায় তার আপন ভগ্নিপতি হিরুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সে জিল্লুর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছে। যার ফলে মামলার তদন্তকাজ অনেকটা এগিয়েছে। রিমান্ড শেষে রবিবার আদালতে মামলার তদন্ত অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিনই জঙ্গল থেকে জিল্লুর শ্বশুরের লাশ পাওয়া যায়।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সোবাহান আত্মহত্যা করেছেন। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

সোবাহান মোল্লার বড় ভাই মনিরদ্দিন মোল্লা জানান, রবিবার সকালে জামাই জিল্লুর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সোবাহানের থানায় যাবার কথা ছিলো। সকাল ৯টার দিকে গোসল করতে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি সোবাহান। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৩০/৪০ জন লোক বাড়ির পাশের একটি নির্জন জঙ্গলের গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।

তিনি আরও জানান, সোবাহানের মেয়ে রুবির ঘরে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। জামাই হত্যাকাণ্ডের পর মেয়ে ও নাতনীদের নিয়ে অনেক দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। এছাড়াও সোবাহান গত একমাস আগে এনজিও থেকে মোটা অংকের টাকা লোন নিয়ে ছেলেকে সৌদি আরব পাঠায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে এখনো ভালো কাজ পায়নি ছেলে। এসব মিলিয়ে মানসিক দুঃশ্চিন্তার কারণেও সোবাহান আত্মহত্যা করতে পারে বলেও ধারণা করা যাচ্ছে।

ট্যাগ :

জামাই হত্যার ১১ দিন পর শ্বশুরের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত : ১১:৫৬:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

রাজবাড়ীতে জামাই হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই তার ঠিক ১১ দিনের মাথায় শ্বশুর সোবাহান মোল্লার (৫৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর রাতে জামাই জিল্লুরকে (৩৭) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাত ২টার দিকে জেলা সদরের বসন্তপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে একটি গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সোবাহানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাজবাড়ী সদর থানার এসআই রঞ্জন কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১৮ অক্টোবর রাতে সোবাহানের মেয়ে রুবি বেগমের স্বামী কলা ব্যবসায়ী জিল্লুরকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যা মামলায় তার আপন ভগ্নিপতি হিরুকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সে জিল্লুর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছে। যার ফলে মামলার তদন্তকাজ অনেকটা এগিয়েছে। রিমান্ড শেষে রবিবার আদালতে মামলার তদন্ত অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিনই জঙ্গল থেকে জিল্লুর শ্বশুরের লাশ পাওয়া যায়।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সোবাহান আত্মহত্যা করেছেন। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

সোবাহান মোল্লার বড় ভাই মনিরদ্দিন মোল্লা জানান, রবিবার সকালে জামাই জিল্লুর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সোবাহানের থানায় যাবার কথা ছিলো। সকাল ৯টার দিকে গোসল করতে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি সোবাহান। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত ৯টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৩০/৪০ জন লোক বাড়ির পাশের একটি নির্জন জঙ্গলের গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।

তিনি আরও জানান, সোবাহানের মেয়ে রুবির ঘরে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। জামাই হত্যাকাণ্ডের পর মেয়ে ও নাতনীদের নিয়ে অনেক দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। এছাড়াও সোবাহান গত একমাস আগে এনজিও থেকে মোটা অংকের টাকা লোন নিয়ে ছেলেকে সৌদি আরব পাঠায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে এখনো ভালো কাজ পায়নি ছেলে। এসব মিলিয়ে মানসিক দুঃশ্চিন্তার কারণেও সোবাহান আত্মহত্যা করতে পারে বলেও ধারণা করা যাচ্ছে।