০২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সাবেক এমপি ওহাবের ৮ বছর কারাদণ্ড

দুর্নীতির দায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের সাবেক এমপি ও শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ ওহাবকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের স্পেশাল জজ আদালত।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণা শেষে বিচারক আসামি এম এ ওহাবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সরকারপক্ষের আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, এম এ ওহাব ২০০৮ সালের ১৫ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে তার সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন। দুদক তার হিসাব পর্যালোচনা করে ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৮৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৭ টাকার সম্পদ গোপনের তথ্য পায়। এরপর ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন।

তিনি আরো জানান, তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর দুদক যশোরের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন আসামি এম এ ওহাবের বিরুদ্ধে ৯০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করেন।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার বিচারক আসামি এম এ ওহাবকে দুদক আইনের একটি ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্য একটি ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন বিচারক।

এদিকে রায় প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী ও বিএনপির নেতারা। একইসঙ্গে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গলবার ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করেছেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।

ট্যাগ :

সাবেক এমপি ওহাবের ৮ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ১২:৫২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

দুর্নীতির দায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের সাবেক এমপি ও শৈলকূপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ ওহাবকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের স্পেশাল জজ আদালত।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণা শেষে বিচারক আসামি এম এ ওহাবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সরকারপক্ষের আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, এম এ ওহাব ২০০৮ সালের ১৫ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে তার সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন। দুদক তার হিসাব পর্যালোচনা করে ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৮৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭৭ টাকার সম্পদ গোপনের তথ্য পায়। এরপর ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন।

তিনি আরো জানান, তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৪ নভেম্বর দুদক যশোরের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন আসামি এম এ ওহাবের বিরুদ্ধে ৯০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করেন।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সোমবার বিচারক আসামি এম এ ওহাবকে দুদক আইনের একটি ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্য একটি ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৯৩ লাখ ৩৬৯ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন বিচারক।

এদিকে রায় প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী ও বিএনপির নেতারা। একইসঙ্গে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গলবার ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করেছেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।