০১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন : মামলার পরবর্তী তারিখ ৯ নভেম্বর

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।

আগামী ৯ নভেম্বর অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনে পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত। রাজধানীর বকশিবাজারে উমেষ দত্ত রোডে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ মামলায় তৃতীয় দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন বক্তব্য করেন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ও ২৬ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য পেশ করেন খালেদা জিয়া। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে পৌঁছান তিনি।

এ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই দুই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।

আজ শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার অšতবর্তী জামিনের মেয়াদ ধার্য তারিখের পরিবর্তে বেশি মেয়াদের জন্য (স্থায়ী জামিন)

দেয়ার আবেদন জানালে আদালত সেই আবেদন শুনানি নিয়ে নামঞ্জুর করেন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে শুনানির পরবর্তী দিন আগামী বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ধার্য করা হয়েছে।

গত ১৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে এ আদালত। আদালত জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এক লাখ টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত জানান, অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন খালেদা জিয়া। আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এ বিশেষ জজ আদালত।

ট্যাগ :

খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন : মামলার পরবর্তী তারিখ ৯ নভেম্বর

প্রকাশিত : ০৬:০০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।

আগামী ৯ নভেম্বর অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থনে পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আদালত। রাজধানীর বকশিবাজারে উমেষ দত্ত রোডে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ মামলায় তৃতীয় দিনের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন বক্তব্য করেন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ও ২৬ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য পেশ করেন খালেদা জিয়া। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে পৌঁছান তিনি।

এ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই দুই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।

আজ শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার অšতবর্তী জামিনের মেয়াদ ধার্য তারিখের পরিবর্তে বেশি মেয়াদের জন্য (স্থায়ী জামিন)

দেয়ার আবেদন জানালে আদালত সেই আবেদন শুনানি নিয়ে নামঞ্জুর করেন। আত্মপক্ষ সমর্থন করে শুনানির পরবর্তী দিন আগামী বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ধার্য করা হয়েছে।

গত ১৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে এ আদালত। আদালত জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এক লাখ টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত জানান, অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন খালেদা জিয়া। আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে এ বিশেষ জজ আদালত।