১০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

যে ৭ খাবার ফুসফুস ভালো রাখে

বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এতে দেখা দিচ্ছে নানা জটিল রোগ। সমস্যা দেখা দিচ্ছে ফুসফুসে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম হলো টমেটো। এতে থাকা লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্বাসযন্ত্রে সুরক্ষা স্তর হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া কমলা, পেয়ারা, আঙুর, লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল নিয়মিত খেলে এই সমস্যা দূর হবে। এসব ফল ফুসফুস ভালো রাখে। আসুন ফুসফুস ভালো রাখতে পারে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়:

১. আমলকি: গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আমলকি খেলে যকৃতে ধূলিকণার সব ক্ষতি ঠেকানো যায়। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি ঠেকাতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও আমলকির জুসের গুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, শরীরের সব ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে তা।

to

২. টমেটো: শরীরকে রোগ প্রতি রোধক্ষম করে তোলে টমেটো। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় টমেটোর এসব কার্যক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, টমেটোতে আছে দারুণ অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ প্রভাব, যা কোষকে বুড়ো হতে দেয় না। এ ছাড়াও টমেটো নানা রকম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। টমেটোর লাইকোপেন শ্বাসযন্ত্রে সুরক্ষা স্তর হিসেবে কাজ করে। বাতাসে থাকা ক্ষতিকর ধূলিকণার প্রভাব হিসেবে কাজ করে লাইকোপেন।

slide

৩. হলুদ: হলুদ পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। দূষিত কণার প্রভাব থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দিতে কাজ করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কফ ও অ্যাজমার সমস্যা সমাধানে হলুদ ও ঘির মিশ্রণ কাজে লাগে। এ ছাড়া হলুদ, গুড় ও মাখনের মিশ্রণ অ্যাজমা দূর করতে করে থাকে।

৪. তুলসি: তুলসি পাতা বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে ফুসফুসকে রক্ষা করতে পারে। এ ছাড়া বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসি গাছ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অল্প করে তুলসি রস খেলে শরীরের শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর হয়।

lemon

৫. লেবুজাতীয় ফল: কমলা, পেয়ারা, আঙুর ও লেবু এই জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। লেবুজাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ফুসফুসে বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলোর প্রভাব পড়তে পারে না।

৬. গুড়: অ্যাজমা ও ব্রংকাইটিসের মতো অনেক শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় কার্যকর হতে পারে গুড়। তিলের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে কম।

৭. সবুজ চা: প্রতিদিন দুই কাপ করে গ্রিন টি বা সবুজ চা খেতে পারেন। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে সবুজ চায়েন সঙ্গে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।

ট্যাগ :

যে ৭ খাবার ফুসফুস ভালো রাখে

প্রকাশিত : ০১:৪৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০১৭

বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এতে দেখা দিচ্ছে নানা জটিল রোগ। সমস্যা দেখা দিচ্ছে ফুসফুসে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম হলো টমেটো। এতে থাকা লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্বাসযন্ত্রে সুরক্ষা স্তর হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া কমলা, পেয়ারা, আঙুর, লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল নিয়মিত খেলে এই সমস্যা দূর হবে। এসব ফল ফুসফুস ভালো রাখে। আসুন ফুসফুস ভালো রাখতে পারে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিয়:

১. আমলকি: গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আমলকি খেলে যকৃতে ধূলিকণার সব ক্ষতি ঠেকানো যায়। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি ঠেকাতে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও আমলকির জুসের গুণ বর্ণনা করে বলা হয়েছে, শরীরের সব ধরনের ক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে তা।

to

২. টমেটো: শরীরকে রোগ প্রতি রোধক্ষম করে তোলে টমেটো। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় টমেটোর এসব কার্যক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, টমেটোতে আছে দারুণ অ্যান্টি-অক্সিডেটিভ প্রভাব, যা কোষকে বুড়ো হতে দেয় না। এ ছাড়াও টমেটো নানা রকম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। টমেটোর লাইকোপেন শ্বাসযন্ত্রে সুরক্ষা স্তর হিসেবে কাজ করে। বাতাসে থাকা ক্ষতিকর ধূলিকণার প্রভাব হিসেবে কাজ করে লাইকোপেন।

slide

৩. হলুদ: হলুদ পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। দূষিত কণার প্রভাব থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দিতে কাজ করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কফ ও অ্যাজমার সমস্যা সমাধানে হলুদ ও ঘির মিশ্রণ কাজে লাগে। এ ছাড়া হলুদ, গুড় ও মাখনের মিশ্রণ অ্যাজমা দূর করতে করে থাকে।

৪. তুলসি: তুলসি পাতা বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে ফুসফুসকে রক্ষা করতে পারে। এ ছাড়া বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসি গাছ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অল্প করে তুলসি রস খেলে শরীরের শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর হয়।

lemon

৫. লেবুজাতীয় ফল: কমলা, পেয়ারা, আঙুর ও লেবু এই জাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। লেবুজাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ফুসফুসে বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলোর প্রভাব পড়তে পারে না।

৬. গুড়: অ্যাজমা ও ব্রংকাইটিসের মতো অনেক শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় কার্যকর হতে পারে গুড়। তিলের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়। বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে কম।

৭. সবুজ চা: প্রতিদিন দুই কাপ করে গ্রিন টি বা সবুজ চা খেতে পারেন। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে সবুজ চায়েন সঙ্গে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।