১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আজ

ঢাকা : আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। বায়ান্নর এই দিনেই ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহীদের রক্তে।

পাকিস্তানি দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান ২১ ফেব্রুয়ারি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানিরা আমাদের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা। প্রতিবাদের লড়াইয়ে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ঢাকার রাজপথে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত করে সারা পূর্ববাংলা।

মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাথা অধ্যায়। রাষ্ট্রভাষার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখার কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাবরণ করতে হয়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।

বায়ান্নর অমর একুশের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের চেতনা ও দেশপ্রেম ধারণ করে ত্রিশ লাখ শহীদের বুকের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে মুক্ত হয় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, প্রিয় বাংলাদেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে সৃষ্টি হয় লাল সবুজের পতাকা, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।

মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদানের এই অনন্য ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। আজ বাঙালির সঙ্গে দিনটি পালন করবে সারাবিশ্ব।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আজ

প্রকাশিত : ১১:০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ঢাকা : আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। বায়ান্নর এই দিনেই ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহীদের রক্তে।

পাকিস্তানি দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান ২১ ফেব্রুয়ারি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানিরা আমাদের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা। প্রতিবাদের লড়াইয়ে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ঢাকার রাজপথে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত করে সারা পূর্ববাংলা।

মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাথা অধ্যায়। রাষ্ট্রভাষার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখার কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাবরণ করতে হয়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।

বায়ান্নর অমর একুশের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের চেতনা ও দেশপ্রেম ধারণ করে ত্রিশ লাখ শহীদের বুকের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে মুক্ত হয় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, প্রিয় বাংলাদেশ। পৃথিবীর মানচিত্রে সৃষ্টি হয় লাল সবুজের পতাকা, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।

মাতৃভাষার জন্য বাঙালির আত্মদানের এই অনন্য ঘটনা স্বীকৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। আজ বাঙালির সঙ্গে দিনটি পালন করবে সারাবিশ্ব।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ