১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুস্থ থাকার জন্য যেসব দরকার

সুস্থ থাকার জন্য ওজন কমানোর লক্ষ্যে নানা কসরত শুরু করেন অনেকেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রত্যাশা অনুযায়ী ওজন না কমলে মন খারাপ হয়। কিন্তু এই মন খারাপের বিষয়টি বা ওজন কমানোর বিষয়টি কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখেছেন কি?

আপনার ওজন কতটুকু হওয়া উচিত তা নির্ভর করে আপনার উচ্চতা ও শারীরিক গঠনের উপর। শখের বসে বা অন্যের দেখাদেখি ওজন কমানোর মিশনে নামবেন না। উল্টো তাতে অনেকরকম সমস্যায় পড়তে হতে পারে। মূল কথা হলো, স্লিম হওয়াটা কখনো কারও ফিটনেস গোল হতে পারে না। এর চেয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করাটা বরং অনেক বেশি কাজের। সেজন্য প্রথমত, আপনাকে সঠিক খাবার খেতে হবে। দ্বিতীয়ত সারাদিনে যথেষ্ট হাঁটাচলা এবং কিছু ব্যায়াম করতে হবে।

খাবার হচ্ছে আপনার শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সুষ্ঠুভাবে করার মূল জ্বালানি। ভুলভাল খাবার খেলে প্রচুর ব্যায়াম করেও কোনো লাভ নেই। এবার প্রশ্ন, কাকে বলে ভুলভাল খাবার? উত্তরও সোজা- যে খাবারে পুষ্টিগুণ কম, তা দিয়ে পেট ভর্তি করবেন না। তাতে না জুটবে পুষ্টি, না মিলবে শক্তি।

ফাস্টফুড কিংবা ভাজাপোড়া যেকোনো খাবারের চেয়ে তাজা ফল বা সবজি অনেক বেশি পুষ্টিকর। তার ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডান্টস সুস্থতা সুনিশ্চিত করে।

আস্ত দানাশস্য, ভালো মানের ফ্যাট আর প্রোটিন সুষম খাদ্যতালিকা রাখা উচিত। ওজন কমানোর জন্য যারা লবণ বা কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত চিনি, মিষ্টি বা চা-কফির প্রতি আসক্তি থাকাটাও খারাপ।

আমাদের শরীর আসলে আমাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। অর্থাৎ যেমনটা অভ্যাস করাবেন, তেমনটাই অভ্যাস হবে। শরীর কঠোর পরিশ্রম সহ্য করতে পারে, আবার বেশি আরাম-বিলাস পেলে ফ্যাট জমতে আরম্ভ করে। তখন বাড়তি ফ্যাটই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতিদিন অন্তত এক হাজার পা হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ফ্যাট ঝরাতে চাইলে আপনাকে পরিশ্রম করতেই হবে।

আপনি যখন শারীরিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠবেন, তখনই দেখবেন বাড়তি ওজন কমতে আরম্ভ করেছে। পাশাপাশি কমবে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও। ত্বক আর চুল হবে সুন্দর। তাই সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ আরিফ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

সুস্থ থাকার জন্য যেসব দরকার

প্রকাশিত : ০৯:০৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সুস্থ থাকার জন্য ওজন কমানোর লক্ষ্যে নানা কসরত শুরু করেন অনেকেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রত্যাশা অনুযায়ী ওজন না কমলে মন খারাপ হয়। কিন্তু এই মন খারাপের বিষয়টি বা ওজন কমানোর বিষয়টি কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখেছেন কি?

আপনার ওজন কতটুকু হওয়া উচিত তা নির্ভর করে আপনার উচ্চতা ও শারীরিক গঠনের উপর। শখের বসে বা অন্যের দেখাদেখি ওজন কমানোর মিশনে নামবেন না। উল্টো তাতে অনেকরকম সমস্যায় পড়তে হতে পারে। মূল কথা হলো, স্লিম হওয়াটা কখনো কারও ফিটনেস গোল হতে পারে না। এর চেয়ে সুস্থ থাকার চেষ্টা করাটা বরং অনেক বেশি কাজের। সেজন্য প্রথমত, আপনাকে সঠিক খাবার খেতে হবে। দ্বিতীয়ত সারাদিনে যথেষ্ট হাঁটাচলা এবং কিছু ব্যায়াম করতে হবে।

খাবার হচ্ছে আপনার শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সুষ্ঠুভাবে করার মূল জ্বালানি। ভুলভাল খাবার খেলে প্রচুর ব্যায়াম করেও কোনো লাভ নেই। এবার প্রশ্ন, কাকে বলে ভুলভাল খাবার? উত্তরও সোজা- যে খাবারে পুষ্টিগুণ কম, তা দিয়ে পেট ভর্তি করবেন না। তাতে না জুটবে পুষ্টি, না মিলবে শক্তি।

ফাস্টফুড কিংবা ভাজাপোড়া যেকোনো খাবারের চেয়ে তাজা ফল বা সবজি অনেক বেশি পুষ্টিকর। তার ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডান্টস সুস্থতা সুনিশ্চিত করে।

আস্ত দানাশস্য, ভালো মানের ফ্যাট আর প্রোটিন সুষম খাদ্যতালিকা রাখা উচিত। ওজন কমানোর জন্য যারা লবণ বা কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত চিনি, মিষ্টি বা চা-কফির প্রতি আসক্তি থাকাটাও খারাপ।

আমাদের শরীর আসলে আমাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকে। অর্থাৎ যেমনটা অভ্যাস করাবেন, তেমনটাই অভ্যাস হবে। শরীর কঠোর পরিশ্রম সহ্য করতে পারে, আবার বেশি আরাম-বিলাস পেলে ফ্যাট জমতে আরম্ভ করে। তখন বাড়তি ফ্যাটই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতিদিন অন্তত এক হাজার পা হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ফ্যাট ঝরাতে চাইলে আপনাকে পরিশ্রম করতেই হবে।

আপনি যখন শারীরিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠবেন, তখনই দেখবেন বাড়তি ওজন কমতে আরম্ভ করেছে। পাশাপাশি কমবে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও। ত্বক আর চুল হবে সুন্দর। তাই সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ আরিফ