বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের একটি।সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তারাই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টারে ব্যবসায়ীদের ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা মোঃ ওয়াহিদুল হাসান দিপু ।
ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী সবার মধ্যে থাকে না।একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা তিনিই যিনি ব্যবসায়ীদের মনের ভাষা পড়তে পারেন,চোখের দিকে তাকালেই ব্যবসায়ীদের চাওয়া পাওয়া বুঝতে পারেন,ব্যবসায়ীদের সবসময় খোঁজ খবর ও রাখেন ।
বিগত দিনগুলোতে রাজধানীর এলিপেন্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সিটি সেন্টারে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত ও নিপিড়িত।মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দেখার মতো কেউ ছিলেন না।বিগত দিনের নেতারা পুরো মার্কেটটি বাবার সম্পত্তি মনে করে মনগড়া সার্ভিস বিল বিদ্যুৎ বিল বাডিয়ে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা লোপাট করছে বলে ও অভিযোগ আছে।
বর্তমান মার্কেটে সরজমিনে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায় বিগত দিনের চেয়ে বর্তমানে ব্যবসায়ীরা অনেক ভালো আছেন।বিগত ১৬ টি বছর মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টারে কোনো ব্যবসায়ী ভালো ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেনি, বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ততকালীন সভাপতি ও সেক্রেটারী হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টারে একজন ব্যবসায়ী বলেন, রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে ব্যবসায়ীরা আজ সৌভাগ্যবান তারা এমনি একজন ব্যবসা বান্ধব নেতাকে পেয়েছেন যিনি নিজেই একজন সফল ব্যবসায়ী ।যিনি ব্যবসায়ীদের কথা শুনেন তাদের নিজের সাধ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়িয়েছেন।
রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে এদেশের মানুষ ২য় স্বাধীনতা অর্জনের স্বাদ পায়।স্বৈরাচার সরকার পতনের পরপরই স্বস্তি ফিরেছে দেশের প্রতিটি ব্যবসায়িক সেক্টরে ।
তিনি বলেন,আপনারা সবাই জানেন রাজধানীর সবচেয়ে সুপরিচিত কম্পিউটার মার্কেট মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার।দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ব্যবসায়ীরা আসে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে।বিগত ১৬ টি বছর মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ীরা মোটেও ভালো ছিলো না।
তিনি আরো বলেন’ এই মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নানান ওযুহাতে সার্ভিস বিল, বিদ্যুৎ বিল বাডিয়ে নিজেরা আত্নস্বাৎ করতো,বিল দিতে দেরি হলে ব্যবসায়ীদের নিজস্ব টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন ও করতো বলে ও অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা ।সুধু তাই নয় করোনা কালীন সময়ে যখন মার্কেট বন্ধ ছিলো সেই সময়ে ও ঐ চক্রটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক বর্গফুট হিসাব করে সার্বিস চার্জ নিয়েছেন ।আপনারা খবর নিয়ে দেখেন বর্তমানে ব্যবসায়ীরা ভালো আছেন,সর্বপরি ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা দিপু বলেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টার’কে নতুন স্তরে নিয়ে যেতে চাই,মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টারের পুরানো ঐতিহ্য ফিরে আনতে সকল ব্যবসায়ী’কে পাশে নিয়ে কাজ করে যাবো।
বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস