১১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কেন মাস্ক, কেন সাবান?

একটি কাশি দেয়ার পূর্বে একজনকে বড় করে নিঃশ্বাস নিতে হয়। তারপর প্রচণ্ড শক্তিতে কাশি হয়। তখন ফুসফুসের দম নেয়া বাতাসের সঙ্গে বের হয় ফুসফুসের মিউকাস।

এক একটা কাশিতে প্রায় ৩০০০ ড্রপলেট (কাশের কনা) নির্গত হয়। এই কাশকনা ঘন্টায় প্রায় ৫০ মাইল বেগে মুখ থেকে নিঃসৃত হয় এবং কয়েকফুট দূরে গিয়ে পড়তে পারে।

হাঁচির ব্যাপারটা আরো ভয়াবহ। হাঁচির মাধ্যমে নাক মুখ থেকে প্রচণ্ড বেগে প্রায় ৪০ হাজার ড্রপলেট বা জলীয় কনা। এই হাঁচিকনা, কাশ কনা থেকেও দ্রততায় নির্গত হয়, যা প্রায় ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগ। এ যেনো রকেট গতি।

একটা হাঁচি বা কাশির ড্রপলেটের মধ্যে একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী থেকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ( ১ মিলিয়ন =১০ লাখ) ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

আশপাশে ছড়িয়ে পড়া এই ড্রপলেটের ভেতর ভাইরাস কয়েক ঘন্টা সজীব থাকে এবং সুস্থ দেহে সংক্রমণ করতে পারে।

তবে রোগী যদি যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরেন তবে তার নাক মূখ থেকে নিঃসৃত এই হাজার হাজার ভাইরাস সমেত ড্রপলেট সকল মাস্কেই আটকা পড়ে যায়। আর রোগীর সামনে থাকা কেউ যদি মাস্ক পরেন তাহলে তার নাক মুখের ভিতর এই ভাইরাস ঢুকার আশংকা কমে যায়।

আরেকটি আশার কথা, এই ভাইরাস সাবান পানির ছোঁয়া পেলেই মারা যায়। সাবান পানিতে তার সংক্রমণ ক্ষমতা পুরোপুরি বিনষ্ট হয়। কারণ সাবানের ফেনায় ভাইরাসের বহিঃআবরন একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়।

লেখক: ডা. সাঈদ এনাম

সহকারী অধ্যাপক, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

কেন মাস্ক, কেন সাবান?

প্রকাশিত : ০৮:৩০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০

একটি কাশি দেয়ার পূর্বে একজনকে বড় করে নিঃশ্বাস নিতে হয়। তারপর প্রচণ্ড শক্তিতে কাশি হয়। তখন ফুসফুসের দম নেয়া বাতাসের সঙ্গে বের হয় ফুসফুসের মিউকাস।

এক একটা কাশিতে প্রায় ৩০০০ ড্রপলেট (কাশের কনা) নির্গত হয়। এই কাশকনা ঘন্টায় প্রায় ৫০ মাইল বেগে মুখ থেকে নিঃসৃত হয় এবং কয়েকফুট দূরে গিয়ে পড়তে পারে।

হাঁচির ব্যাপারটা আরো ভয়াবহ। হাঁচির মাধ্যমে নাক মুখ থেকে প্রচণ্ড বেগে প্রায় ৪০ হাজার ড্রপলেট বা জলীয় কনা। এই হাঁচিকনা, কাশ কনা থেকেও দ্রততায় নির্গত হয়, যা প্রায় ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগ। এ যেনো রকেট গতি।

একটা হাঁচি বা কাশির ড্রপলেটের মধ্যে একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী থেকে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ( ১ মিলিয়ন =১০ লাখ) ভাইরাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

আশপাশে ছড়িয়ে পড়া এই ড্রপলেটের ভেতর ভাইরাস কয়েক ঘন্টা সজীব থাকে এবং সুস্থ দেহে সংক্রমণ করতে পারে।

তবে রোগী যদি যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরেন তবে তার নাক মূখ থেকে নিঃসৃত এই হাজার হাজার ভাইরাস সমেত ড্রপলেট সকল মাস্কেই আটকা পড়ে যায়। আর রোগীর সামনে থাকা কেউ যদি মাস্ক পরেন তাহলে তার নাক মুখের ভিতর এই ভাইরাস ঢুকার আশংকা কমে যায়।

আরেকটি আশার কথা, এই ভাইরাস সাবান পানির ছোঁয়া পেলেই মারা যায়। সাবান পানিতে তার সংক্রমণ ক্ষমতা পুরোপুরি বিনষ্ট হয়। কারণ সাবানের ফেনায় ভাইরাসের বহিঃআবরন একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়।

লেখক: ডা. সাঈদ এনাম

সহকারী অধ্যাপক, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান