বাগেরহাটের মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলায় আরও ২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উভয় এলাকায় ৮ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

আক্রন্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ২১ জন শনাক্ত হলেন।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলম ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান মিলন জানান, উপজেলার হিজলা কাজিপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি(৪২) কুমিল্লার একটি জুটমিলে কাজ করতেন। গত ২০ মে তিনি বাড়িতে আসেন। করোনা উপসর্গ থাকায় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে যান। সেখানে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৩ মে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। ২৪ মে সে পুনরায় চিতলমারীর হিজলায় চলে আসে। ২৫ মে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এ খবর পেয়ে অবশেষে সোমবার রাতেই আক্রান্ত ব্যাক্তির বাড়িসহ আশেপাশের ৪ বাড়ি লকডাউন করা হয়।

অপরদিকে, ঢাকা থেকে মোল্লাহাটে আসা এক কিশোরীর (১৪) করোনা শনাক্ত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, গত ১৪ তারিখে ওই মেয়ে ঢাকা থেকে তার মামাবাড়ি টুঙ্গিপাড়া আসে। গত ২৪ তারিখ তার রিপোর্ট পজেটিভ হলেসে পালিয়ে টুঙ্গিপাড়া থেকে মোল্লাহাটে নিজ বাড়িতে আসে। এরপর সোমবার রাতে বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ওই এলকায় গিয়ে ৪ বাড়ি লকডাউন রা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক