১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক খুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্ততঃ আরো ১০জন। ঘটনাটি বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রত্নপুর গ্রামের তালুকদার পাড়া এলাকায় ঘটেছে।
গত ২৫ মে (সোমবার) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মাওলানা মুহাম্মদ এরফান (৩৮) রত্নপুর বুদা গাজী তালুকদার বাড়ীর নুরুল ইসলামের পুত্র। সে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা এলাকায় মুদির ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় ও পারিবাররিক সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার স্থানীয় দুদু মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ কালুর সাথে ৬ শতক (তিন গণ্ডা) জমি নিয়ে নিহত মাওলানা মুহাম্মদ এরফানের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ঈদের দিনই বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এক পক্ষ অপর পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপযার্য়ে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
কালুর পক্ষের লোকজন মাওলানা মুহাম্মদ এরফানের উপর হামলা চালায়। এ সময় মাওলানা মুহাম্মদ এরফানকে গুরুতরভাবে ছুরিকাঘাত করায় সে মাটিতে পড়ে যায়, ঘটনাস্থল থেকেে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আহত হয় অন্তত আরো ১০ জন। আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত ফজল আহমদ পুত্র জাফর আহমদ (৫৫) , মুহাম্মদ এমরান (২৮), মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (২৬), মুহাম্মদ আশেক (২৫), আবু মুসা (৬০), মুহাম্মদ ইউনুস (৪৫)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত আলী আহমদের পুত্র মুন্সি আলম (৫৫) ও মুহাম্মদ ইদ্রিস (৬০) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) কে প্রেরণ করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত এরফানের সাথে একই এলাকার দুুদু মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ কালুর সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ ৬ শতক(তিন গণ্ডা) জমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিল।
ঈদের দিন সন্ত্রাসী কালু তার গঠিত ও পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এলাকার চতুর্দিকে ঘিরে দেশীয় তৈর রাম দা, কিরিছ দিয়ে মাওলানা মুুুহাম্মদ এরফানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী কালু ও সন্ত্রাসী নুর উদ্দীনের নেতৃত্বে তারা পুনারায় হামলা গুলি চালায়।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ হীরক কুমার পাল জানান, রত্নপুর এলাকায় সংঘর্ষে আহত মাও. এরফান কে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরো ২জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের কে চট্টগ্রাম চমেকে হাসপাতালে প্রেরন করেছি। অন্যন্য আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে সামাজিক বিরোধে নিয়েই ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। তবে হামলার ঘটনার সঠিত তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা যায়।

 

জনপ্রিয়

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

প্রকাশিত : ০৭:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক খুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্ততঃ আরো ১০জন। ঘটনাটি বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রত্নপুর গ্রামের তালুকদার পাড়া এলাকায় ঘটেছে।
গত ২৫ মে (সোমবার) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মাওলানা মুহাম্মদ এরফান (৩৮) রত্নপুর বুদা গাজী তালুকদার বাড়ীর নুরুল ইসলামের পুত্র। সে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা এলাকায় মুদির ব্যবসা করতেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় ও পারিবাররিক সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার স্থানীয় দুদু মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ কালুর সাথে ৬ শতক (তিন গণ্ডা) জমি নিয়ে নিহত মাওলানা মুহাম্মদ এরফানের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ঈদের দিনই বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এক পক্ষ অপর পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপযার্য়ে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
কালুর পক্ষের লোকজন মাওলানা মুহাম্মদ এরফানের উপর হামলা চালায়। এ সময় মাওলানা মুহাম্মদ এরফানকে গুরুতরভাবে ছুরিকাঘাত করায় সে মাটিতে পড়ে যায়, ঘটনাস্থল থেকেে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আহত হয় অন্তত আরো ১০ জন। আহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত ফজল আহমদ পুত্র জাফর আহমদ (৫৫) , মুহাম্মদ এমরান (২৮), মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন (২৬), মুহাম্মদ আশেক (২৫), আবু মুসা (৬০), মুহাম্মদ ইউনুস (৪৫)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত আলী আহমদের পুত্র মুন্সি আলম (৫৫) ও মুহাম্মদ ইদ্রিস (৬০) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) কে প্রেরণ করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত এরফানের সাথে একই এলাকার দুুদু মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ কালুর সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ ৬ শতক(তিন গণ্ডা) জমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিল।
ঈদের দিন সন্ত্রাসী কালু তার গঠিত ও পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এলাকার চতুর্দিকে ঘিরে দেশীয় তৈর রাম দা, কিরিছ দিয়ে মাওলানা মুুুহাম্মদ এরফানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী কালু ও সন্ত্রাসী নুর উদ্দীনের নেতৃত্বে তারা পুনারায় হামলা গুলি চালায়।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ হীরক কুমার পাল জানান, রত্নপুর এলাকায় সংঘর্ষে আহত মাও. এরফান কে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরো ২জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের কে চট্টগ্রাম চমেকে হাসপাতালে প্রেরন করেছি। অন্যন্য আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে সামাজিক বিরোধে নিয়েই ওই যুবককে খুন করা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। তবে হামলার ঘটনার সঠিত তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা যায়।